অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম করার ১০টি সেরা উপায়

অনলাইন-প্যাসিভ- ইনকাম-করার- ১০টি-সেরা-উপায়

এর উৎস কোথায়, কি করলে কাজ পাবো, প্যাসিভ ইনকামের ধরন কি, এর কাজ শিখতে হলে কি কি দক্ষতা লাগে এ সকল বিষয়ে আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো।প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

পেজ সূচিপত্রঃ প্যাসিভ ইনকাম করার ১০টি সেরা উপায়

প্যাসিভ ইনকাম কি

প্যাসিভ ইনকাম দুইভাবে করা যায় এক্টিভ ইনকাম আর প্যাসিভ ইনকাম। প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি আয় যেখানে একবার কাজ করে রেখে দিলে তারপর সেখান থেকে ইনকাম আসতেই থাকে।প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি আয়ের উৎস যেখানে আপনি সরাসরি বা প্রতিদিন কাজ না করেও নিয়মিত টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি একবার পরিশ্রম বা বিনিয়োগ করলে এরপর সেটা থেকে বারবার টাকা আসতে থাকে। প্যাসিভ ইনকাম বলতে আমরা এটাও বুঝে থাকি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকায় আয় করা। বিষয়টা অনেকটাই এরকম কেননা খুব বেশি কাজ বা এফোর্ট না দিয়ে ইনকাম করা পদ্ধতি হলো প্যাসিভ ইনকাম।
আপনি যদি আপনার করার ডিজাইন তৈরি করে মাইক্রোস্টোক সাইডে আপলোড করে রাখেন এবং আপনার তৈরি  সকল ডিজাইন সারা বছর বিক্রি হতে থাকে তাহলে কেমন হয়। আর এটাই মূলত প্যাসিভ ইনকাম একবার ডিজাইন করে করলে সারা বছর ধরে বিক্রি হবে আর আপনার ইনকাম আসতেই থাকবে যাকে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম।
একজন ব্যক্তি তার আর্থিক অবস্থা উন্নতির জন্য চাকরির পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারে তাই জীবনযাত্রা মান উন্নত করার জন্য বর্তমান যুগে মূল কাজের পাশাপাশি বা চাকরির পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম থাকা জরুরী এটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য অনেক ভালো আপনি নিজের ইনকাম দিয়ে কিছুটা হলো আপনার জীবনযাত্রা উন্নত করতে পারবেন।

অ্যাক্টিভ ইনকামঃঅ্যাক্টিভ ইনকাম হচ্ছে কাজ করলে টাকা আসবে আর কাজ না করলে টাকা নাই।আপনি যতক্ষণ কাজ করতে পারবেন, যতক্ষণ সময় ও শ্রম দিতে পারবেন ততক্ষণ আপনার আয় আসবে। আপনি অসুস্থ কাজ করতে পারছেন না আপনার ইনকাম বন্ধ এবং শূন্য। একটিভ ইনকামের জন্য আপনাকে অন্যের আন্ডারে কাজ করতে হবে। মাসের শেষে নির্দিষ্ট একটি অ্যামাউন্টের টাকা পাবেন আর এটাই হচ্ছে একটিভ ইনকাম।

প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন

আমাদের সবার জীবনে টাকার প্রয়োজন টাকা ছাড়া আজকাল কোন কিছু পাওয়া যায় না। বর্তমান সমাজ সভ্যতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হলে আপনাকে টাকা ইনকাম করতে হবে। টাকা ইনকাম করা রাস্তা খুব একটা সহজ না।আপনি যে কাজ করতে যান আপনাকে শ্রম ধৈর্য পরিশ্রম দিতে হবে সেই ক্ষেত্রে প্যাসিভ ইনকামের কিছু সুবিধা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে সব সময় কাজ করতে হবে না। আপনি নির্দিষ্ট সময়ে একটি কাজ সব সাজিয়ে গুছিয়ে রাখলে সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে। আপনার মূল ইনকাম বা কাজের সাথে প্রতি মাসে এক্সট্রা আর কিছু ইনকাম এড হলে সেটা আপনার ভবিষ্যতের জীবনের জন্য অনেক ভালো। কারণ সবাই সুন্দর ভবিষ্যত জীবন চাই তার জন্য টাকার দরকার।

কিভাবে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করবেন

প্যাসিভ ইনকাম কি প্যাসিন ইনকাম কেন প্রয়োজন আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন এখন চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে শুরু করবেন প্যাসিভ ইনকাম আসলে প্যাসিভ ইনকাম করার কোন তো নানা মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে থেকে আমি আপনাকে বেস্ট থারটি সম্পর্কে বলব এগুলোতে যদি প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ১০০০-৫০০০ডলার ইনকাম করা আপনার জন্য কোন সমস্যাই হবে না আপনি সহজেই ডলার বা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এফইলিয়েট মার্কেটিং  ও ব্লগিং মার্কেটিং এই দুটো প্যাসিড ইনকাম এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট।

 অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য অনেকগুলো সাইট রয়েছে তার মধ্যে অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম করা ১০টি সেরা উপায় গুলো নিজের আলোচনা করা হলো যা আপনাদের জীবনযাত্রার মান কিছুটা হলে উন্নত হবে এই প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে।

ব্লগিং ওয়েবসাইট

জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং যেখানে আপনি লেখালেখি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। যেখানে আপনি দুই তিন ঘণ্টা কাজ করলেই হবে। কিছু নির্দিষ্ট টপিক বা নিশ বানিয়ে সিলেক্ট করলে লেখালেখি করলে দ্রুত সফলতা পাওয়া যাবে। যেমন মজাদার খাবারের রেসিপি আইডিয়া ক্যারিয়ারের গাইডলাইন ভ্রমণের গাইডলাইন অথবা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে কোন তথ্য বাংলা এবং ইংরেজি উভয়ের ক্ষেত্রে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং ওয়েবসাইট এমন একটি ডিজিটাল জায়গা যেটা এক ধরনের ভার্চুয়াল ডাইরি। ব্লগিং ওয়েবসাইট হল একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে ব্লগার তাদের জ্ঞান, তথ্য, ব্যক্তিগত, অভিজ্ঞতা লিখে প্রকাশ করেন যা,ওয়েব্লগ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। আপনি নিজের ব্লগ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে  আর্টিকেল লিখে পোস্ট আপলোড করে সেখানে অ্যাড দেখিয়ে গুগল এডসেন্স থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

ইউটিউব এর মাধ্যমে  অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং

একজন ভালো মানের ইউটিউবার তার তৈরি করা ভিডিও কনটেন্ট মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপর ইনকাম করে থাকে। তবে সেই ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কনটেন্ট যেন ভাল মানের হয়। আপনি চাইলে কোন রকম ইনভেসমেন্ট ছাড়া ইউটিউবের ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে amazon অ্যাপেলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং বিশ্বের এক নম্বর ই-কমার্স  ওয়েবসাইট। এ মার্কেটে প্রতিদিন লক্ষ কোটি প্রডাক্ট বেচাকেনা হয়। আর বিভিন্ন amazon এর প্রোডাক্ট অ্যাপেলিয়েট করে expload মার্কেট এরা ইনকাম করছে হাজার হাজার ডলার।
অনলাইন-প্যাসিভ- ইনকাম-করার- ১০টি-সেরা-উপায়


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের জন্য অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম। এই উপায়টি কাজে লাগাতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি নিজের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্যের পণ্য অনলাইনে প্রচার করে আর কেউ যদি আপনার দেওয়ার লিঙ্ক মাধ্যমে সেটি কিনে থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। এখন ভাবুন তো আপনি একবার লিংক শেয়ার করলে তা থেকে বারবার ইনকাম আসছে এটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

বর্তমান দেশে এমন বাইরের দেশগুলোতে ইউটিউবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর ডিমান্ড খুব দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখন মানুষ কোন পণ্য কেনার আগে ইউটিউবের ভিডিও আকারে সেটার রিভিউ ভালোভাবে দেখে নেই ইউটিউবের মাধ্যমে। অ্যামাজন এফিলিয়েট করে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনাকে ক্যামেরার সামনে আসতে হবে না ক্যামেরা সামনে না আসে ভালো মানের একটি নিশ সিলেক্ট করে আপনি সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল ফেসবুক পেজ একবার কাজ করে রেখে দিলে সেখান থেকে আয় ধরনের পদ্ধতি যেটা  প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারলে দীর্ঘ মেয়াদী আয়ের সম্ভব। আপনি যদি অডিয়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য প্রচার করতে পারেন তাহলে আপনাকে ই-কমার্স কোম্পানি কিছু পরিমাণ কমিশন দিয়ে থাকে আর এটাই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম আরো একটি সেরা মাধ্যম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ধরেন আপনি কোন ডিজাইন ক্রিয়েট করে সেটা আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম বা youtube আপলোড করে রাখলেন সেখান থেকে আপনার ইনকাম আসবে। আপনি যদি প্রফেশনাল মানে একজন ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্রিয়েট টিভি এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন Microstock সাইড গুলোতে সেল করে প্যাসিভ ইনকাকাম করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

ই-কমার্স মার্কেটিং জন্য instagram এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে ।প্রায় ১.৪ + বিলিয়ন একটিভ ইউজার আছে instagram। ইনস্টাগ্রাম মূলত ফটো ভিডিও শেয়ারিং এপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম। সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে instagram একটি মোবাইল ফোকাস সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম। ম্যাক্সিমাম মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আপনি ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। আপনার হাতে মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং করে কিছু সিক্রেট ফলো করলে।

ক্রিপ্টোকারেন্সী

আজকাল আমরা একটা কথা প্রায় শুনে থাকি সেটা হল বিটকয়েন। এটা হল শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সী একটি কারেন্সি। যেমন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মুদ্রা দেখতে পায় যেমন টাকা, ডলার, ইউরো, রুপি,পাউন্ড এবং এসব মুদ্রার মান যেমন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে তেমন ক্রিপ্টোকারেন্সির বিভিন্ন কারেন্সি রয়েছে যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম,থ্রোন,ডগিকয়েন ইত্যাদি। বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য 25000 ডলারেরও বেশি তাই আপনার যদি ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ইনভেস্ট করা সম্ভব থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো মানের একটি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস

বর্তমান সময়ের প্যাসিভ ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হলো প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস।Print on Demand কে সংক্ষেপেPOD বলা হয়ে থাকে। পিন অন ডিমান্ড নামটি শুনে বুঝতে পারছেন এখানে কোন কিছু আপনাকে প্রিন্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ কাস্টমার এর ডিমান্ড অনুযায়ী আপনাকে প্রোডাক্ট ডিজাইন করে প্রিন্ট করে দিতে হবে যেমন টি-শার্ট, মগ, বই ,ক্যানভাস ইত্যাদি। সময়ের সাথে সাথে দেব এবং দেশের বাইরে এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইলে অ্যাপ তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম

আমাদের মোবাইলে যে অ্যাপ ব্যবহার করি এই অ্যাপগুলো কিন্তু কেউ না কেউ তৈরি করেছে। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এমন একটা দক্ষতার যেটা ডিমান্ড বা চাহিদা সর্বদাই মার্কেটে থাকবে। আপনি যদি প্রফেশনাল একজন এড ডেভেলপমেন্ট হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি সেখান থেকেও আপনার মূল ইনকামের পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম কত পারবেন।

বই পাবলিশ করে প্যাসিভ ইনকাম

অ্যামাজন হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের এক নম্বর ই-কমার্স সাইট।প্রতিদিন লক্ষ কোটি প্রডাক্ট কেনাবেচা হচ্ছে এ্যামাজন থেকে আরে অ্যামাজন অনলাইনে ডিজিটাল বইয়ের প্ল্যাটফর্ম কে বলা হয় amazon। পৃথিবীর সব বিখ্যাত নতুন পুরাতন সব ধরনের বই সেখানে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে আপনার লেখা বই পাবলিশ করা জন্য এমাজন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারবেন সেখান থেকেও আপনার প্যাসিভ ইনকাম আসবে। ধরেন আপনি একটা বই লিখলেন সেটা প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হবে কিন্তু আমাজান মার্কেটপ্লেসে আপনাকে আপনার বইয়ের পাবলিশ করার জন্য সবথেকে উত্তম মাধ্যম। আর এই বই পাবলিশ থেকেই আপনার প্যাসিভ ইনকাম আসবে।

বাড়ি এবং ফ্ল্যাট বিক্রি

আপনার যদি একটা বাড়ি থাকে তাহলে সেখান থেকেও আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। ধরেন শহরে আপনার একটা বাড়ি আছে আপনি সেখানে থাকেন না তাহলে আপনি বাড়িটা ভাড়া দিতে পারেন আর ভাড়ার মাধ্যমে আপনার প্যাসিভ ইনকাম হবে। শহরে দিন দিন বাড়ি ভাড়া চাহিদা অনেক বেড়ে
অনলাইন-প্যাসিভ- ইনকাম-করার- ১০টি-সেরা-উপায়


গেছে। আপনার মূল ইনকামের পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া টা হচ্ছে আপনার প্যাসিভ ইনকাম। ধরেন আপনি একটা  বাড়ি কিনেছেন। তার জন্য একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট দিয়ে একটা বাড়ি কিনেছেন।আপনি কিছু বছর পর বাড়িটা বিক্রি করবেন তখন দাম তার দ্বিগুণ হবে এই দামের দুই গুণটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

কার্টুন অ্যানিমেশন থেকে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি চাইলে কার্টুন এনিমেশন তৈরি করা প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনার কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। কার্টেন এনিমেশন হল গোপাল ভাঁড় ঠাকুরমার ঝুলি পঞ্চতত্ত্বের মন্ত্র নাট বল্টুর মতো কাটুন তৈরি করতে পারবেন তাই বলা যায় প্যাসিভ ইনকামের জন্য কার্টুন এনিমেশন হতে পারে আপনার জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনি একবার কার্টুন এনিমেশন তৈরি করে আপনার ইউটিউব টিভি বিজ্ঞাপনে দিয়ে দিলে সেখান থেকে আপনার মূল ইনকামের পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম হবে।

প্যাসিভ ইনকাম কখন করবেন

প্যাসিভ ইনকামের কোন সময় নেই। আপনি যখন চাইবেন তখন করতে পারবেন। তবে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার আগে আপনাকে আপনার কাজের স্কেল দক্ষতা অর্জন করতে হবে তার সাথে অর্থের বিনিয়োগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে। কেননা আপনি কোন জায়গায় টাকা বিনিয়োগ করলে সেখান থেকে আপনার টাকা আসবে। আপনার যদি কাজের স্কেল, দক্ষতা, অর্থে বিনিয়োগ করার মত না থাকে তাহলে প্যাসিভ ইনকাম করা অতটা সহজ হবে না।

আপনি যদি নির্দিষ্ট ইনকামের পিছনে না ছুটে যদি প্যাসিভ ইনকামের দিকে ঝুকেন তাহলে এটা আপনার জন্য একটা বড় বোকামি হবে।কেননা প্যাসিভ মানে হল নির্দিষ্ট ইনকামের পাশাপাশি আয় তাই প্রথমে আপনাকে আগে একটা নির্দিষ্ট ইনকামের সোর্স তৈরি করতে হবে। প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কিভাবে একটি নির্দিষ্ট আয়ের উৎস তৈরী করবেন। তারপর সেটা কাজে লাগে আপনাকে প্যাসিভ আয়ের উৎস বের করতে হবে তাই আমাদের জীবন বা জীবনযাত্রা সুন্দর করতে দুই ধরনের আয়রে দরকার।

শেষ কথা অনলাইনের প্যাসিভ ইনকাম

আসলেই পৃথিবীতে কোন কাজ সহজ নয় যে কাজ করতে যাবেন সেটাই কঠিন। শুধু আপনাকে কাজগুলো সহজ করে নিতে হবে। এজন্য যে কাজ করেন না কেন সেটা নিষ্ঠার সাথে ধৈর্যের সাথে করতে হবে। প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্রে ঠিক তাই শুরুতে আপনাকে অনেক শ্রম দিতে হবে ধৈর্য রাখতে হবে। আপনার কাজ শিখা হয়ে গেলে সেগুলো মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে হবে তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে আপনার প্যাসিভ ইনকাম শুরু হবে।

আর্টিকেলটিতে অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আপনি পড়ে আপনার যদি ইনকামের শুরু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে শুরু করেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি উপকার হয় বা প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে জানতে চাইলে ইনবক্সে এসে কমেন্ট করেন। এবং আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করেনএবং মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url