নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ আপনি পাবেন এ আর্টিকেলের মাধ্যমে। বা আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনি নবজাতকের কি ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের অর্থসহ খুজছেন তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।আর্টিকেলের মধ্যেপাবেন ইসলামিকনাম।

এবং অর্থসহ সকল বর্ণ দিয়ে নামের তালিকা পাবেন। এবং সেই সাথে থাকছে ইংরেজি উচ্চারণ। আপনি যদি আপনার সন্তানের জন্য ইসলামিক নাম অর্থসহ খুঁজেন তাহলে এই আর্টিকেলের মধ্যে সুন্দর সুন্দর নাম পেয়ে যাবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের

নবজাতকর ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের নাম অর্থসহ রাখা আবশ্যক।সন্তান জন্ম নেওয়ার পরে প্রত্যেকটা অভিভাবক তার সন্তানের নামটা যেন সুন্দর, আধুনিক এবং পাশাপাশি নামটা যেন ইসলামিক হয় এরকম নাম রাখতে চাই। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় নাম সার্চ করে থাকে। মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ থাকলে অবশ্যই নামটা ইসলামিক হওয়া উচিত। আপনি যদি আপনার সন্তানের জন্য ইসলামিক নাম অর্থসহ এবং ইংরেজি উচ্চারণ সহ খুঁজেন তাহলে আর্টিকেলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন সুন্দর সুন্দর নাম। চলুন নিচে নবজাতক ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের একটি তালিকা দেয়া হলো।

নাম নামের অর্থ ইংরেজি উচ্চারণ
আয়েশা জীবিত,সমৃদ্ধশালী Ayesha
ফাতিমা পবিত্র,অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকা Fatim
মরিয়ম পবিত্র নারী,আল্লাহর বান্দী Maryam
হুমাইরা লালচে রঙের সুন্দরী Humairah
আসমা সেরা,উচ্চ মর্যাদার Asma
রুকাইয়া উন্নত,উচ্চ স্থান প্রাপ্তা Ruqayyah
সুমাইয়া মর্যাদাপূর্ণ Sumayyah
আমাতুল্লাহ আল্লাহর দাসী Amatullah
জাহরাহ ফুল,উজ্জল আলো Zahrah
লুবনা সুগন্ধি গাছের নাম Lubna
সাইফা পবিত্র, সুরক্ষা দানকারী Saifah
হাফসা নবী (সাঃ) এর স্ত্রী,সিংহী Hafsa
আইমান বরকতময়,আশীর্বাদ প্রাপ্ত Aiman
রাইহানা সুগন্ধি ফুল Rayhana
সাফা পবিত্রতা,স্বচ্ছতা Safa
মাহেরা জ্ঞানী,প্রতিভাবান Maherah
জান্নাতুল জান্নাতের Jannatul
ইনায়া দয়া,যত্ন Inayah
হালিমা ধৈর্যশীলা,নম্র Halima
সাবিহা সুন্দরী,উজ্জল মুখশ্রী Sabiha
নাবিলা উচ্চ মর্যাদার,মহীয়সী Nabeela
আইশা নূর জীবিত ও আলোর প্রতীক Ayesha Noor
সারাহ আনন্দ,সুখী Sarah
মুনিরা আলোকিত,উজ্জল Munirah
রাইদা পথপ্রদর্শক নারী Raida
সাজিদা সিজদাকারিনী Sajidah
আমিনা বিশ্বস্ত,নিরাপদ Aminah
মারওয়া পবিত্র পাহাড়ের নাম Marwa
বুশরা সুংবাদ Bushra
নাইমা শান্তি,প্রশান্তি Naima
ইকরা পড়া,শিক্ষা গ্রহন Iqra
রাবেয়া বসন্ত,উন্নত Rabiya
তাহিরা পবিত্র নারী Tahira
মাহিনুর চাঁদের আলো Mahinur
জান্নাত আরশি জান্নাতের সিংহাসন Jannat Arshi
নাজাহ সফলতা Najah
রুকাইয়া জাহরা উন্নত ও আলোকিত Ruqayyah Zahra
হাজেরা ত্যাগী,ধৈর্যশীল Hajerah
মাহেরা জান্নাত জ্ঞানী,জান্নাতের Maherah Jannat
সামিহা দয়ালু,উদার Samiha
রাইহানাতুল জান্নাত জান্নাতের ফুল Rayhanatul Jannat
সাফিনা নৌকা,নিরাপদ আশ্রয় Safina
ফারিহা আনন্দিত,খুশি Fariha
আফরিন প্রশংসনীয় Afreen
ইশরাত আনন্দ,সুখ Israt
মারিয়াহ পবিত্র,কোমল Mariah
আয়াত কোরআনের আয়াত,নিদর্শন Ayat
সাবরিন ধৈর্যশীলা Sabrin
নূরাইশা আলোকিত জীবন Nooraisha
ইলহাম অনুপ্রেরণা,ইশারা Ilha

ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব

ইসলামিক নাম রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এটি সন্তানের জন্য একটি সুন্দর পরিচয় বহন করেন এবং এর মাধ্যমে ইসলামের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ভাবে সংযুক্ত স্থাপন করা যায়। তার জন্য একটি সুন্দর স্থানে নাম রাখা প্রত্যেক বাবা-মা কর্তব্য। নবজাতকের নাম রাখা কেবল একটি পরিচয় দেওয়ার বিষয় নয় বরং এটি একটি ইসলামী দায়িত্ব। একটি ভালো ও অর্থসহ ইসলামিক নাম শুধু দুনিয়ার জন্য নয় আখিরাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

একটু ভাবুন তো যদি কারো নাম মদন হয়। সেই ব্যক্তি লেখাপড়া করে উচ্চ পদে যে ইঞ্জিনিয়ার বা পলিটিশিয়ান হলেন। তখন তাকে ডাকা হল মদন ইঞ্জিনিয়ার বা মদন পলিটিশিয়ান। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে। তাই ইসলামিক নাম অর্থসহ এবং সুন্দর নাম রাখা অত্যন্ত জরুরী। রাসূল (সাঃ) বলেছেন 'তোমরা তোমাদের সন্তানদের সুন্দর নাম দাও,।

শিশুর নাম তার পরিচয় বহন করে।ভালো নামে একটি সুন্দর দেয়া বা আশিবাদ হিসাবে বিবেচিত হয় নামের মধ্য দিয়ে ইসলামিক আদর্শ ইতিহাস ও আসার অনুষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় কিয়ামতের দিন মানুষ নিজেও তার বাবার নাম দিয়ে ডাকা হবে। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন 'তোমাদেরকে তোমাদের নাম ও পিতার নাম ধরে ডাকা হবে তাই তোমরা তোমাদের জন্য ভালো নাম রাখ,।

আরো পড়ুনঃ ম বর্ণ দিয়ে বাচ্চাদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

রাসুল (সাঃ) বলেন 'আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান,।(হাদিসঃ ২১৩২) বাচ্চাদের বা মেয়েদের বা ছেলেদের নাম রাখার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে নামটা যেন ইসলামিক নাম হয়। নাম রাখার সময় মনে রাখতে হবে নামের অর্থ অবশ্যই ভালো হতে হবে। মহান সাহাবীদের নামে নাম রাখা উত্তম। আল্লাহর গুণবাচক নামের আগে আমাত যুক্ত করে নাম রাখা সুন্নত। যেমন আব্দুল্লাহ এনায়েতুল্লাহ।

নেতিবাচক অর্থ বা শির্কপূর্ণ নাম এড়িয়ে চলতে হবে। এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর তার নাম ছিল "আসিয়াহ" (অর্থ-অপরাধিনী)। নবী (সাঃ) তার নাম পরিবর্তন করে দেন জামিলা যার অর্থ সুন্দরী। (সহীহ মুসলিম)। অবশ্যই যখন সন্তানের নাম রাখা হবে তখন নামের অর্থসহ ভালোভাবে জেনে নাম রাখতে হবে।

মেয়েদের নাম রাখার নিয়ম

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ রাখার সময় নিয়ম মানতে হবে।ইসলামের শিশুর নামকরণ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। সাধারণত সুন্দর ও অর্থসহ নাম রাখা আল্লাহর দাসত্বসূচক নাম যেমন আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহমান এবং নবীদের নামে নাম রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে।অন্যদিকে খারাপ অর্থবোধক, মূর্তি বা দেব- দেবীর নামে অথবা আল্লাহর নামের সাথে সামঞ্জস্যহীন শব্দের ব্যবহার করে নাম রাখা উচিত নয়। চলো নিচে নাম রাখা কিছু ইসলামিক নিয়মগুলো জেনে নিন।

  • সুন্দর অর্থবহ নাম রাখা।
  • আল্লাহর দাসত্বসূচক নাম রাখা।
  • নবীদের নামে নাম রাখা।
  • মন্দ অর্থযুক্ত নাম পরিহার করা।
  • মূর্তির নামে নাম রাখা উচিত না।
  • নাম পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে উৎসাহিত করা।
  • জন্মের পর দ্রুত নাম রাখা। যেমন সপ্তম দিন অথবা জন্মের পরপরই।
  • মেয়েদের নাম নির্বাচনের সতর্কতা থাকা।
  • এমন নাম রাখতে হবে যেটা অর্থ ভালো এবং কিয়ামতের দিন এ নাম তার কাজে আসবে।
  • ইসলামে নামের অর্থ খুব গুরুত্বপূর্ণ ইমন নাম রাখা উচিত যার অর্থ ভালো পবিত্র এবং ইতিবাচক যেমন আব্দুল্লাহ (অর্থ আল্লাহর দাস) ফাতেমা (পবিত্র নারী) আয়েশা (জীবিত, সমৃদ্ধশীল)।

মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখা প্রয়োজন কেন

মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখার প্রয়োজন কারণ এটি নামের মাধ্যমে সন্তানের পরিচয় প্রকাশ পায় এবং নাম শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠন ও ভূমিকা রাখে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখা গুরুত্ব অনেক। রাসুল (সাঃ) বলেন শিশুদের সুন্দর নাম রাখা নির্দেশ দিয়েছেন এবং নামের মাধ্যমে আখেরাতে মানুষের পরিচয় নির্ধারিত হবে বলে উল্লেখ করেছেন। তাই সন্তানের জন্য ইসলামিক নাম নির্বাচন করা পিতা-মাতার দায়িত্ব।

  • মানুষের নাম পরিচয় বহন করে এবং সমাজে তাকে পরিচিত করে তুলে।
  • ইসলামিক নাম সাধারণত অর্থ হয়ে থাকে যা শিশুর জন্য শুভকামনা বয়ে আনে।
  • ব্যক্তিত্বের ওপর প্রভাব ফেলে।
  • ধর্মীয় অনুশাসন হয়। ইসলাম সুন্দর নাম রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং এটি একটি ইবাদতের হিসাবে বিবেচিত হয়।
  • কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেককে নাম তার নাম ধরে ডাকবেন তাই নামের গুরুত্ব অপরিসীম।
  • রাসূল (সাঃ) বলেছেন সুন্দর নাম রাখতে এবং অন্যদের উৎসাহ করতে যা আমাদের জন্য অনুকরণীয়।
  • ইসলামে যে নামগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে নামগুলো পরিহার করা ভালো।
  • খারাপ অর্থ বা গুনাগুন বহন করে এমন নাম পরিহার করা উচিত কারণ এটি শিশুর ওপর নতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • ইসলামিক নাম সন্তান এর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে।
  • সুন্দর নাম রাখার শিশুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি অংশ।
  • নাম রাখার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে নামটা যেন ইসলামিক এবং অর্থসহ থাকে।
  • এমন একটা নাম রাখতে হবে যেটা কিছু ভবিষ্যত জীবনে এবং আখেরাতে কল্যাণকর হয়।
  • বড় বড় আলেম বা হুজুরের কাছ থেকে বা হাদিসের মাধ্যমে নামের তালিকা গুলো জানতে হবে ব্যাখ্যা সহ।

মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে নিবেন যেভাবে

মেয়েদের ইসলামিক নাম নির্বাচন করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত।প্রথমে নামের অর্থ এবং তাৎপর্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।নামের উৎস এবং ইসলামিক ঐতিহ্য অনুযায়ী নামের অর্থ যাচাই করা উচিত। এছাড়া নামটি যেন শ্রুতি মধুর এবং সহজ হয় তা খেয়াল রাখতে হবে।নামের সাথে শিশুর ব্যক্তিত্বের মিল থাকলে ভালো। এমন নাম নির্বাচন করতে হবে যেটা ভবিষ্যৎ ও আখিরাতের জন্য কল্যাণ করা হয়। মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে নেবেন যেভাবে চলুন সেগুলো একটু জেনে নিন।

অর্থঃ সন্তান জন্মের পর নাম রাখার জন্য অবশ্যই ইসলামিক অর্থসহ নাম রাখতে হবে। নামটা যেন কুরআন বা হাদিসের আলোকে হয়। কারণ প্রত্যেক বাবা-মার উচিত ছেলে বা মেয়ে নাম অর্থসহ রাখা। কারণ একটা নাম শুধু নাম না এটা হচ্ছে তার ভবিষ্যৎ এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য কল্যাণকর হতে পারে। নাম রাখার সময় মনে রাখতে হবে নামটা যেন অর্থ ভালো হয়। আপনি যদি না পারেন তাহলে আপনার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে শিশুর নাম রাখবেন।

আরো পড়ুন: ত বর্ণ দিয়ে বাচ্চাদের ইসলামিক নাম ও অর্থসহ

ইসলামী ইতিহাসে উল্লেখিত নারীদের নাম অনুসরণ করা উত্তমঃ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্ত্রীগণ ও সাহা বিয়াদের নাম ইসলামী আদর্শ ভরপুর। তাদের নামের মাধ্যমে শিশুকে একটা ভালো আদর্শ ও পরিচয় দেওয়া যায়। যেমন খাতিজা (রাঃ), ফাতিমা (রাঃ), আয়েশা (রাঃ), হাফসা (রাঃ), উম্মে সালমা (রাঃ) উম্মে কুলসুম (রাঃ) ইত্যাদি।

মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে বা সময় এমন নাম নির্বাচন করতে হবে যেটা সহজ এবং ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক নৈতিক বাচক এবং নামের অর্থটা যেন ভালো হয় এসব নির্বাচন করে একটা সুন্দর নাম রাখতে হবে। যাতে করে নামের সাথে শিশুর ব্যক্তিত্ব তো মিলে যায়।

মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ রাখতে হবে এখানে বেশ কিছু জনপ্রিয় মেয়েদের ইসলামিক নাম। সুন্দর সুন্দর বাছাই করা কিছু মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থ সহ নামের তালিকা দেওয়া হল। এই তালিকাতে মেয়েদের বিভিন্ন অক্ষরের ইসলামিক নাম পাবেন। এই তালিকাটি তে অনেক সুন্দর সেরা আধুনিক মেয়েদের ইসলামিক নাম রয়েছে নামটি দেখে আশা করি আপনার ভালো লাগবে।

নাম অর্থ
খাদিজা আগে জন্মগ্রহনকারী
সালওয়া প্রশান্তি
রাওদা বাগান,জান্নাতের
জিলান ভালো আচরণকারী,কোমল
মাইশা জীবন,বেঁচে থাকা
জুয়াইরিয়া ছোট যুবতী,নবীর স্ত্রীদের একজন
আলভিনা দয়ালু,মিষ্টভাষী
আয়েশা জীবন্ত,সুখী জীবন
হাফসা সিংহী,শক্তিশালী
আসিয়া সৎঈমানদারী নারী
রুমাইসা ফুলের মত কোমল
আমিনা নিরাপদ, বিশ্বস্ত
লুবনা বুদ্ধিমতি,
ইমান বিশ্বাস,ঈমান
নুর আলো,উজ্জলতা
আরওয়া সুন্দরী,
সাবিরা ধৈর্যশীলা
আইলা চাঁদের আলো,হালকা
যাইনাব পবিত্র গাছের নাম,সুন্দরী
নাফিসা মূল্যবান,সম্মানিত

মেয়েদের ইসলামিক পূর্ণাঙ্গ নাম

মেয়েদের নাম রাখার ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করে রাখতে হবে। নাম রাখার সময় এটা মনে রাখতে হবে কুরআন হাদিস বা ইসলামিক ইতিহাস ভিত্তিক নাম রাখতে হবে। আবার সেই সাথে রাখতে হবে নামের উপাধি। এমন একটা নাম রাখতে হবে যেটা ইসলামিক পূর্ণাঙ্গ নাম হয়। চলুন নিচে মেয়েদের ইসলামিক পূর্ণাঙ্গ নামের তালিকা তৈরি করা হলো।

নাম
নামঃআয়েশা তাসনি অর্থঃসুখী জীবন ইংরেজি উচ্চারণঃAyesha Tasnim
নামঃহালিমা ইয়ামেনা অর্থঃধৈর্যশীলা,সৌভাগ্যশালী ইংরেজী উচ্চারণঃHalima Yamena
নামঃইয়াসিরা নুমাইরা অর্থঃসহজ করে দেওয়া ইংরেজি উচ্চারণঃYasira Numaira
নামঃআকিলা ফাওজিয়া অর্থঃ জ্ঞানী,বিচক্ষণ,বিজয়ী ইংরেজি উচ্চারণঃAqila Fauziya
নামঃশাইস্তা আমানাহ অর্থঃভদ্র,নম্র ইংরেজি উচ্চারণঃShaista Amanah
নামঃ মাহিরা জয়নাব অর্থঃদক্ষ,সুন্দরী ইংরেজি উচ্চারণঃ Mahira Zaynab
নামঃআফরিন তাহসিন অর্থঃউত্তম কাজ ইংরেজি উচ্চারণঃ Afrin Tahsin
নামঃনাশিতা জামান অর্থঃ সক্রিয়,আত্মবিশ্বাসী ইংরেজি উচ্চারণঃNashita Zaman
নামঃমালিহা শিফা অর্থঃআকর্ষণীয়,আরোগ্য
নামঃরাইহানাতুল বাসরি অর্থঃজান্নাতি ফুল ইংরেজি উচ্চারণঃRaihanatul Basr

ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

আমরাও ওপরে নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের অর্থ সহ জেনেছি। এখন ছেলেদের ইসলামিক নাম রাখা অর্থসহ প্রত্যেক পিতা-মাতা কর্তব্য। নাম রাখা সময় অবশ্যই সবদিক বিবেচনা করে রাখতে হবে। কোরআন ও হাদিস ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক এবং শিশুর ব্যক্তিত্ব সাথে মিশিয়ে নাম রাখতে হবে। ইসলামিক নাম যেমন ধর্ম দিক দিয়েও। সুন্দর ইসলামিক নাম একটি শিশুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিসিএস করে মুসলমানদের জন্য ইসলামিক নাম রাখার যেমন তার ইসলামের প্রতিও ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ পায় তেমনি সওয়াব হয়।

আল্লাহ চাইলে একজন পাপী বান্দাকে বেহেশতে নিতে পারে তাই সকল মুসলমানদের উচিত ইসলামিক নাম অর্থসহ রাখা। তালিকার মাধ্যমে ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ দেয়া হলো।

নাম অর্থ
আব্দুল্লাহ আল্লাহর বান্দা
আব্দুর রহমান পরম করুণাময়ের বান্দা
আকিব পুরষ্কার
মুহাইমিন রক্ষাকারী
ইলহাম আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরণা
মারুফ সুপরিচিত,ভালো কাজ
ফারিস সাহসী
রাফসান উন্নত,মহৎ
ওমর জীবন
সাদিক সত্যবাদ

FAQ: নবজাতকের ইসলামিক নাম সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় মেয়েদের নাম কোনটি?

উত্তরঃ পুরুষদের জন্য আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান আল্লাহর প্রিয় নাম। মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি কোন নাম। তবে ফাতিমা, জয়নাব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এগুলো উত্তম নাম।

প্রশ্নঃ আল্লাহর উপহারের আরবি নাম কি?

উত্তরঃ আল্লাহর উপহার এর আরবি নাম হল আতাউল্লাহ অথবা হিবাতুল্লাহ।

প্রশ্নঃ পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম কি?

উত্তরঃ পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম 'মুহাম্মদ'। তবে বানান ভিন্ন রকম হতে পারে।

প্রশ্নঃ তাবাসসুম নামের অর্থ কি?

উত্তরঃ তাবাসসুম নামের অর্থ হল হাসি, মৃদু হাসি বা স্মিত হাসি।

শেষ কথা নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ

নবজাতকের ইসলামিক সুন্দর নাম মেয়েদের এবং অর্থসহ রাখা আমাদের মুসলমানদের উচিত। নবজাতকের জন্য নাম রাখা শুধু একটি সাংস্কৃতিক কথা নয় বরং এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। একটি শিশুর নাম তার পরিচয় চরিত্রের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী এমন নাম নির্বাচন করা উচিত যা সুন্দর অর্থবোধক তো পবিত্র এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির উপযোগী হয়।

কোরআন ও হাদিসের নাম রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন ভালো এবং অর্থবোধক নাম রাখতে। খারাপ নাম গুলো পরিবর্তন করতে বলেছে। তাই শিশুদের নাম নির্বাচন করার সময় শুধু সৌন্দর্য নয় বরং এর পবিত্রতা অর্থে ইসলামিক উৎস এর দিকগুলো বিবেচনা করা জরুরী। সন্তানের নাম রাখার সময় অবশ্যই পিতামাতাদের কোরআন এবং হাদিসের আলোকে অর্থসহ নাম রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

পিতা-মাতা শুধু যদি না পারে তাহলে পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারে সন্তানের নাম রাখার জন্য। বা বিভিন্ন হাফেজ বা আলিমদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনার সন্তানের জন্য একটি নাম বেছে নিতে পারবেন এ আর্টিকেলের মাধ্যমে। এই আর্টিকেলটা পড়ে আপনার যদি উপকার হয় তাহলে আপনার মতামতি কমেন্ট বক্সে এসে জানান ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url