অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও উপায়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। বর্তমানে ফেক কল বা স্প্যাম কলের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই ফেক কলের কারণে মানুষ অনেক বড় বিপদ পড়ছে। এটা এমন একটি কল যেটা মানুষ বুঝতে পারছে না যে এটা ফেক কল।
এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ফেক বা স্প্যাম কল বন্ধ করা সহজ নিয়ম, সেটিং টিপস, এবং স্ক্যাম কল প্রতিরোধ করার সহজ উপায়।আর্টিকেলটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনি খুব সহজে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক ও স্প্যাম কল বন্ধ করার উপায় গুলো সহজে বুঝতে পারবেন এবং নিজে নিজে করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও উপায়
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও সহজ উপায়
- অপারেটর লেভেলে স্প্যাম কল ব্লক করা
- স্ক্যাম ও ফিশিং কল কিভাবে চিনবেন
- ফেক কল কি এবং কেন এটা বেড়েছে
- অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা
- FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- উপসংহার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও উপায়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও সহজ উপায়
বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে মোবাইল ফোন। তবে এটির সঙ্গে
এসেছে ঝামেলা। যার মধ্যে অন্যতম হলো ফেক কল বা স্প্যাম কল। প্রায় আমরা
অজানা নাম্বার থেকে কল পাই, যা সময় নষ্ট করে অনেক সময় ভিডিও সৃষ্টি করে এবং
কখনো কখনো ব্যক্তিগত তত্ত্ব চুরি বা প্রতারণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কলটা
মানুষের জীবনে ভয়ানক বিপদ। এ কলের কারণে অনেক মানুষরাও জীবন চলে যাচ্ছে। অনেকে
বুঝতে পারে না যে এটা ফেক কল। কারণ এই ফেক কলের কারণে মানুষ প্রতারণা শিকার
হচ্ছে। আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে
ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম, উপায় এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে জানব।
- গুগল ফোনে অ্যাপ থেকে স্প্যাম প্রোটেকশন চালু করুনঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার জন্য আপনাকে গুগল ফোনে অ্যাপ থেকে স্প্যাম প্রোটেকশন চালু করতে হবে। এই প্রোটেকসন চালু করা ও সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। প্রথমে ফোনের অ্যাপ খুলুন। ওপরের ডান দিকের তিনটার ডট বাটন চাপুন। তারপরে সেটিং এ যান। কলার আইডি ও স্প্যাম অপশনটা চাপুন।স্প্যাম কল ফিল্টার চালু করুন আইডি ও স্প্যাম প্রোটেকশন চালু করুন। এগুলো করা হয়ে গেলে এগুলো করা হয়ে গেলে গুগল সক্রিয়ভাবে সন্দেহজনক নম্বর শনাক্ত করবে এবং নম্বর ব্লক করবে।
- অজানা নম্বর সাইলেন্স বা ব্লক করাঃ আমাদের প্রায় সকলের মোবাইলে অজানা নাম্বার থেকে প্রায় কল আসে। যেটা অনেকটাই বিরক্তকর।এ অজানা নাম্বারটা ব্লক করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে প্রথমে সেটিংস গিয়ে কল ব্লক করা নাম্বার এ যান। অজানা নাম্বার থেকে কল ব্লক করুন অপশন চালু করুন। এতে আপনার কনট্যাক্টে নেই এমন নাম্বার গুলো ফোনে করবে না।
- স্প্যাম নম্বর ম্যানুয়ালি ব্লক করাঃ আপনার নাম্বারে বারবার একটি কল আসছে যেটা আপনার কাছে বিরক্তকর মনে হচ্ছে। সে নাম্বারটা কে আপনি সরাসরি ব্লক করতে চান এর জন্য আপনাকে করতে হবে। প্রথমে কল হিস্ট্রি বা রিসেন্ট অল এ যান। নির্দিষ্ট নাম্বারটি সিলেক্ট করুন। ব্লক বা স্প্যাম রিপোর্ট কল চাপুন। তারপরে সেই নম্বর থেকে আর আপনার ফোনে কল করতে পারবেনা।
- ডু নট ডিস্টার্ব মোড ব্যবহার করা (DND): আপনি রাতে ঘুমিয়ে আছেন হঠাৎ করে আপনার ফোন বেজে উঠলো। আপনি কলটা কেটে দিলেন কিন্তু বারবার কল আসছে। আবার ধরেন আপনি অফিসে কাজ করছেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ এর মধ্যে হঠাৎ বারবার একটা নাম্বার থেকে কল করছে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য আপনি ফোনে ডু নট ডিস্টার্ব চালু করে রাখতে পারেন। এর জন্য প্রথমে সেটিং এ গিয়ে সাউন্ড ও ভাইব্রেশন অপসনের কাছে ডু নট ডিস্টার্ব চালু করতে হবে। শুধুমাত্র আপনার কন্ট্রাকে বা আপনার পরিচিত নাম্বার গুলো অনুমোদন করুন কল আসার জন্য। এতে শুধু যাদের আপনি অনুমোদন দিয়েছেন তারা কল করতে পারবে।
- ট্রুকলার বা হায়া অ্যাপ দিয়ে অটো ব্লক করাঃ যদি ফোনের ডিফল্ট সিস্টেম ভালো কাজ না করে তাহলে বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন যেমন ট্রুকলার, হায়া এবং কল ব্লকার। এজন্য করনীয় হচ্ছে অ্যাপ ইন্সটল করুন। তারপরে অটো স্প্যাম ব্লকিং বা স্প্যাম কল ফিল্টার চালু করুন। অ্যাপটি সক্রিয়ভাবে যেগুলো ফেক বা স্প্যাম কল সনাক্ত করে ব্লক করে দিবে অটোমেটিক।
- মোবাইলে অপারেটরের ডিএনডি সার্ভিস ব্যবহার করাঃ বাংলাদেশের সব অপারেটরের ডু নট ডিস্টার্ব (DND) সার্ভিস আছে। যেমন গ্রামীণফোনে ১০০ বা ১২১ নম্বরে কল করে ডু নট ডিস্টার্ব চালু করুন। আবার রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক এ এসএমএস বা কল করে ডু নট ডিস্টার্ব চালু করা যায়। এতে টেলিকম লেভেল থেকে প্রফেশনাল বা মার্কেটিং কল বন্ধ হয়ে যায়।
অপারেটর লেবেল স্প্যাম কল ব্লক করা
বাংলাদেশের সব মোবাইল অপারেটর যেমন গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল এবং
বাংলালিংক এগুলোতে ডু নট ডিস্টার্ব সার্ভিস আছে যা ব্যবহার করে আপনি সরাসরি
অপারেটর লেভেলে প্রফেশনাল ও স্প্যাম কল বন্ধ করতে পারবেন। এটি সবচেয়ে কার্যকর
কারণ এখানে আপনার নম্বরের জন্য অপারেটর কল ফিল্টার করে দেই। ফলে ফোনে কল আসার আগে
বিরক্তকর কল গুলো ব্লক হয়ে যায়। এজন্য আপনার ফোন থেকে ১০০ বা ১২১ নম্বরে কল
করুন। এতে কল অপারেটর গাইড অনুসরণ করে ডিএনডি সার্ভিস চালু করুন। এতে করে
প্রফেশনাল কল, বিজ্ঞাপন কল এবং স্প্যাম কল বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও
গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে সার্ভিস সক্রিয় করা যায়।
আরো পড়ুনঃ
AI দিয়ে ঘরে বসে টাকা ইনকামের ৭টি উপায়
আপনার ফোন থেকে নির্দিষ্ট ডিএনডি নম্বর বা এসএমএস কোড ব্যবহার করুন। যেমন রবি বা
এয়ারটেল ১৫৫২ করে ডু নট ডিস্টার্ব চালু করা যায়। যারা বাংলালিংক ব্যবহার
করেন তারা এসএমএস বা কলের মাধ্যমে সার্ভিস অন করতে পারেন। নির্দোষনা অনুযায়ী
প্রফেশনাল এবং অপ্রয়োজনে কল বন্ধ হয়ে যাবে। সার্ভিস চালু হওয়ার পরে আপনি কেবল
গুরুত্বপূর্ণ বা অনুমোদিত নম্বর থেকে কল পাবেন। ডু নট ডিস্টার্ব ব্যবহারের
সুবিধা হচ্ছে প্রফেশনাল ও স্প্যাম কল অনেকটাই কমে যায়। ফোনে কল ব্লক হওয়ার
আগে অপারেটর ফিল্টার করে দেয়। নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত হয়।
স্ক্যাম ও ফিশিং কল কিভাবে চিনবেন
স্ক্যাম বা ফিশিং কল হল এমন কল যা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, টাকা প্রতারণা বা
ব্যাংকিং তথ্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়। এগুলো অনেক সময় খুব বাস্তবসম্মত লাগে।
তাই সাবধান না হলে সবাই প্রতারিত হতে পারে। এসব কলের কারণে অনেক মানুষ বিপদের
সম্মুখীন হয়। এমনকি অনেকে এর ধোঁকাবাজি পড়ে সব তথ্য দিয়ে বিপদে পড়ে।
এসব স্ক্যাম ফিশিং কল কিভাবে চিনবো তার উপায় গুলো নিচে দেওয়া হলো। আসুন
উপায় গুলো জেনে নিন।
- আপনার ফোনে অজানা বা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসবে। যদি ইমোর নাম্বার থেকে কল আসে যা আপনার কন্টাকে নাই। আপনার পরিচিত নাম্বার না হলে কল ধরার প্রয়োজন নাই।স্ক্যামাররা +৮৮ শুরু বা প্রায় ভিন্ন দেশের নাম্বার বা অজানা কোড ব্যবহার করে।
- স্ক্যামাররা এমনভাবে কথা বলবে বা কলকারী দাবি করতে পারে আপনার একাউন্টের সমস্যা হয়েছে, আপনার টাকা ব্লক হতে চলছে। তারা চাপ দিয়ে দ্রুত তথ্য চাইতে পারে।
- অনেক সময় আপনার কাছে ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে। ওটিপি, পিন, ব্যাংক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হলো স্ক্যাম কল। আপনার ব্যাংক কখনো ফোনে এমন তথ্য চাইবে না। তাই এসব কল সব সময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- স্ক্যামাররা মানুষকে পুরস্কার বা টাকার জেতার লোভ দেখায়। আপনি জিতেছেন আপনার লটারি অনলাইন কনফার্ম করুন। এগুলো হচ্ছে স্ক্যাম বা ফিশিং কলের অন্যতম চিহ্ন। এ ধরনের ফলে বিশ্বাস করবেন না। এ ধরনের আসলে সরাসরি আইনের আশ্রয় নিন।
- স্ক্যামাররা অনেক সময় অজানা লিংক বা ইউআরএল পাঠায়। এসএমএস বা whatsapp লিঙ্ক পাঠিয়ে কল করার পর তথ্য চাই। ক্লিক করলে আপনার ফোনে ম্যালওয়ার ইনস্টল হতে পারে। এতে করে অনেক সময় বিপদ হতে পারে বা আপনার তথ্য হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- অনেক সময় মানুষকে চাপ ও ভয় দেখায়। যেমন আপনি গ্রেফতার হবেন বা আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে তারা ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে চাই।
- কলকারী দাবি অস্বাভাবিক মনে হলে সতর্ক হোন। উদাহরণ আপনার ফোনে হ্যাকার ঢুকেছে, আপনি প্রাপ্য টাকা পেয়েছেন ইত্যাদি। উপরের যে কল ফোনের ফেক বা স্প্যাম কল চেনার উপায় আলোচনা করলাম এরকম হলে অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিন।
ফেক কল কি এবং কেন এটি বাড়ছে
বর্তমানে আমরা সবাই অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করছি। যার ফলে আজকাল আমরা সবাই মোবাইলে ফেক বা স্প্যাম কল পাচ্ছি। এ ধরনের কল সাধারণত স্ক্যামার বা রোবোটিক কলের মাধ্যমে আসে। অনেক সময় এ কল গুলোর উদ্দেশ্য হয় যেমন ব্যাংকিং তথ্য চুরি করা, ওটিপি বা পিন, ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলা এবং বিজ্ঞাপনের জন্য বিরক্ত করা। বাংলাদেশে এ ধরনের কলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ব্যবহারকারীদের।অনেক প্রতিবেদন বলছে যে দৈনিক কমপক্ষে ১-২ টি স্ক্যাম কল আসে। তাই এখন সময় ফোনকে ফেক কল থেকে সুরক্ষিত করা।বর্তমানে ফেক কলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণগুলো হলো।
- ব্যক্তিগত নম্বর ডেটা লিক হওয়া। ফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন অ্যাপ, ওয়েবসাইট ফোন নম্বর রেজিস্ট্রেশন করা এবং কিছু অ্যাপ বা সাইড এ ডেটা নিরাপদ ভাবে সংরক্ষণ করে না। হলে স্ক্যামাররা সহজে নম্বর হাপিয়ে নেই।
- অনেক সময় ব্যবহারকারীর বিভিন্ন অ্যাপকে ফোনবুক বা কল লগ এক্সেস এর অনুমতি দেয়। কিছু অ্যাপকে ডাটা ব্যবহার করে স্ক্যাম কল বা বিজ্ঞাপন পাঠায়।
- কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান প্রোমোশনাল কল পাঠায়। নতুন প্রোডাক্ট বিক্রি, অফার জানানো বা কাস্টমার আকর্ষণ করা। এতে ব্যবহারকারীরা ফোনে অপ্রয়োজনা কল আসে।
- প্রযুক্তি উন্নতির কারণে এখন কল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানো যায়।স্ক্যামাররা রোবোটিক বা প্রোগ্রামেটিক ফল ব্যবহার করে বহু মানুষকে একসাথে করলে।
- যদি কেউ কখনো অজানা নম্বর বা শেয়ার করা লিঙ্কে ফোন নম্বর দেই। এ ধরনের ব্যবহারকারী ডেটা সহজে স্প্যামারদের হাতে পড়ে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা
আজকের ডিজিটাল যুগে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের জীবনেরও ঝুঁকি। তবে সঙ্গে আছে
বিভিন্ন নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন স্প্যাম কল, স্ক্যাম, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার
এবং ব্যক্তিগত তথ্যচুরি। তাই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম এর
পাশাপাশি সঠিক নিয়মে ফোন ব্যবহার করা খুবই জরুরী। যেমন
আরো পড়ুনঃ
মোবাইল দিয়ে বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- অজানা নম্বর থেকে আশা কল বা মেসেজের সতর্ক থাকুন।
- অ্যাপ ইন্সটল করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- নতুন অ্যাপ ইন্সটল করার সময় পারমিশন বা অনুমতি চেক করুন। অপ্রয়োজনীয় পারমিশন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন যেমন কল লগ কন্টাক্ট বা এসএমএস এক্সেস।
- অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপের নতুন আপডেট সর্বদা ইন্সটল করুন। আপডেট এর মাধ্যমে নিরাপত্তা দুর্বলতা দূর হয় এবং ফোনকে হ্যাকার বা ম্যালওয়ার থেকে রক্ষা করা যায়।
- ফোনের পাসওয়ার্ড এবং বায়োমেট্রিক নিরাপত্তের ব্যবহার করুন। ফোনের পাসওয়ার্ড, পিন বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করুন। যদি ফোন সমর্থন করে ফিঙ্গার প্রিন্ট বা ফেস আনলক ব্যবহার করুন। এতে ফোন হারানো বা চুরি হলে ব্যাক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
- যদি অজানা লিংক আসে তাহলে ক্লিক করবেন না। এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে করে স্ক্যামাররা লিংকে ম্যালওয়ার বা ভাইরাস ইন্সটল করতে পারে।
- ফোনে vpn এবং পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় সতর্কতা থাকবেন। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করলে ব্যক্তিগত তথ্য লিক হতে পারে। সম্ভব হলে বিশ্বাসযোগ্য ভিপিএন ব্যবহার করুন। ব্যাংকিং বা পেমেন্ট সংক্রান্ত কাজ পাবলিক ওয়াইফাই তে করবেন না।
- ক্লাউড সার্ভিস বা এসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ নিয়মতন রাখুন। হারিয়ে যাওয়া বা ফোন তুলি হল ডেটা নিরাপদে থাকবে।
- অটো লক এবং স্কিন টাইম আউট ব্যবহার করুন।
- ফেক অ্যাপ এবং স্ক্যাম কল চিনতে সচেতন থাকুন।
FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ কোম্পানির কল এড়ানোর উপায়?
উত্তরঃ অপ্রয়োজনীয় কোম্পানি বা প্রফেশনাল কল ব্লক করতে ফোনের
স্প্যাম ফিল্টার, ব্লক নাম্বার এবং ডু নট ডিস্টার্ব সার্ভিস চালু করুন।
তাহলে আর কল আসবে না।
প্রশ্নঃ কিভাবে স্প্যাম কল বন্ধ করতে হয়?
উত্তরঃ স্প্যাম কল বন্ধ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ফোনের কল ব্লকিং ফিচার এবং
স্প্যাম প্রোটেকশন অন করা। অজানা ও সন্দেহজনক নম্বর ব্লক করুন এবং ডু নট
ডিস্টার্ব সার্ভিস ব্যবহার করুন যাতে প্রোমাশনাল কল না আসে।। প্রয়োজনীয় মোবাইল
অপারেটর প্রমো কল ব্লক সার্ভিস সক্রিয় করা যেতে পারে। এভাবে নিয়ম মেনে চলে
আপনার ফোনে স্প্যাম কলের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
প্রশ্নঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কি মেসেজ ব্লক করা যায়?
উত্তরঃহ্যাঁ,অ্যান্ড্রয়েড ফোনে টেক্সট মেসেজ ব্লক করা যায় এবং এই ফিচারটি
ফোনের ফিল্টার মেসেজ অ্যাপে থাকে। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট নম্বর ব্লক করতে পারেন
অথবা স্প্যাম ফিল্টার চালু করে অজানা প্রোমোশনাল মেসেজও বন্ধ করতে
পারেন।
উপসংহার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও উপায়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আর সেই সাথে প্রযুক্তি উন্নতির সাথে ফোনের মডেল চেঞ্জ হচ্ছে। প্রযুক্তি উন্নতির সাথে মানুষের উপকার হচ্ছে। ঠিক তেমনি মানুষ বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন সবাই ব্যবহার করল অনেক মানুষ আছে যারা এখনো সঠিক ভাবে ফোন ব্যবহার করতে জানে না। ফলে তারা ফেক কল কোনটা সেটা বুঝতে পারছে না। যার কারণে এই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এবং ভয়ংকর বিপদের মুখ্য হচ্ছে। তাই আসুন সবাই মিলে সচেতন হই এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক কল বন্ধ করার নিয়ম ও উপায় গুলো ফলো করি।
উপরে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ফেক বা স্প্যাম কল বন্ধ করার নিয়ম ও
উপায়গুলো আলোচনা করেছি। এবং কিভাবে ফোন নিরাপত্তার সাথে ব্যবহার করবেন সেই
সম্পর্ক সতর্কতা দিয়েছি। আমরা সবাই মিলে যদি সচেতন হই তাহলে অবশ্যই এসব সমস্যা
থেকে সমাধান পাওয়া যাবে। এ আর্টিকেল পরে আপনার যদি উপকার আসে তাহলে আপনার বন্ধু
বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন এবং আপনার মতামতি কমেন্ট বক্সে জানান ধন্যবাদ।

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url