বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল ১০টি এর উপকারিতা


বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের সকলের উচিত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খাবারের তালিকা প্রতিদিন যেকোনো ধরনের ফল রাখা। আমরা অনেকে ফল খাই শুধু মুখে স্বাদের জন্য।ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ জানিনা।

বাংলাদেশের- সবচেয়ে-জনপ্রিয়- মৌসুমি-ফল

আসলে মৌসুমী ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অনেক ফল আছে যেগুলো প্রাচীন কাল থেকে আছে এবং কিছু ফল আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর্টিকেল এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মৌসুমী ফল ১০ টি জনপ্রিয় ফল সম্পর্কে আলোচনা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল ১০টি এর উপকারিতা

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল ১০টি

বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃ ও কৃষি নির্ভর দেশ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। যেখানে প্রতি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ফলের সমাহরও দেখা যায়। এর মৌসুমী ফলগুলো শুধু যে সুস্বাদু তাই না বরণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও পুষ্টিগুণ। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। নিচে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ টি মৌসুমী ফল এবং স্বাস্থ্যের উপকারিতা সম্পর্কে জানি।

জনপ্রিয় মৌসুমী ফল আম খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 আম বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম। আমকে বলা হয় 'ফলের রাজা'। শুধু তার সাধও গন্ধের জন্য নয়, বরং এর পুষ্টিগণ ও স্বাস্থ্যের উপকারিতার কারণেও। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল মানে আমের মৌসুম। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর সহ দেশের নানা অঞ্চলে এই সুস্বাদু ফলের জন্য বিখ্যাত।

আম মূলত টক মিষ্টি ছাদের একটি মৌসুমী ফল যা গাছের জাত ও পাকা অবস্থায় উপর নির্ভর করে বিভিন্ন স্বাদের হয়ে থাকে। ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, র গোপালভোগ, আমরুপালি এসব হচ্ছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় আমের জাত। প্রত্যেকটা জাতের স্বাদ ও বৈশিষ্ট্য আলাদা।

আমের উপকারিতাঃ আমি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও এন্টি অক্সিডেন্ট। এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখে। এছাড়াও রয়েছে আঁশ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও নানা খনিজ উপাদান।১০০ গ্রাম আমে গড়ে পাওয়া যায়।

  • ক্যালরি ঃ৬০
  • কার্বোহাইড্রেটঃ১৫ গ্রাম
  • ফাইবারঃ ১.৬ গ্রাম
  • ভিটামিন সিঃ দৈনিক চাহিদার প্রায় ৬৭%
  • ভিটামিন এঃ চোখের জন্য উপকারী বিটা ক্যারোটিন

আম খেলে স্বাস্থ্যের উপকারিতাঃ আম খেলে আমাদের শরীরের যে স্বাস্থ্যের উপকারিতা হবে তা নিচে দেওয়া হল।

  • দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করে
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
  • ত্বক ও চুলের জন্য ভালো
  • হজমে সহায়তা করে
  • হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় প্রচালিত ফল। এটা এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। সহজলভ্য এবং দামে সস্তা হলো গুনে ভরপুর। এটি একটি এক বর্ষজ উদ্ভিদ। একবার ফল দিলে গাছ মারা যায়। হল এবং কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইংরেজিতে এর নাম Banana। বৈজ্ঞানিক নাম Musa spp পরিবার Musaceae। কলার প্রথমে উৎপত্তি ধরা দেয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া অঞ্চলে। প্রায় ৪০০০-৬০০০ বছর আগেও কলা চাষের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কলা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচে এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।

কলা মৌসুমী নয় এটা সারা বছর উৎপন্ন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন দেখা যায় বসন্ত ও বর্ষা ঋতুতে। কলা গাছ সাধারণত ৯ থেকে ১২ মাসে ফল দেই। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে কলা চাষ হয় তবে কিছু জেলা বিশেষভাবে বিখ্যাত। যেমন নরসিংদী, কুমিল্লা, জামালপুর, রংপুর, বরিশাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং বান্দরবান এসব অঞ্চলে কলা চাষ বেশি হয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কলার জাত হচ্ছে সাগর কলা, চাপা কলা, সবরি কলা,কাঁচ কলা এবং রঙ্গিন কলা।

কলার পুষ্টিগুণঃ একটি মাঝারি কলাতে যে পুষ্টিগুণ গুলো পাওয়া যায় আমাদের শরীরের উপকারের জন্য তা নিচে দেওয়া হল।

  • ক্যালরি: ৯০-১১০
  • কার্বোহাইড্রেট: ২৭ গ্রাম
  • ফাইবার: ৩ গ্রাম
  • প্রোটিন: ১.৩ গ্রাম
  • পটাশিয়াম: ৪২২ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন B6: দৈনিক চাহিদার ২০%
  • ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন  সামান্য পরিমাণ

স্বাস্থ্যের উপকারিতাঃ কলা খেলে শক্তি বৃদ্ধি করে। কলা প্রাকৃতিক চিনি দিয়ে দ্রুত শক্তি দেয় এটা খেলোয়ারদের জন্য আদর্শ ফল। হজমে সহায়ক হয়। কলার ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং হজম সহজ করে। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক প্রতিরোধ করে। ভিটামিন বি সিক্স ও ট্রিপটোফ্যান স্নায়ু  শান্ত করে ও মন ভালো রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সবরি জাত কলা। মধ্যম গ্লাইসেমিক সূচকের ফলে ডায়াবেটিকস রোগীরাও পরিমাণ মতন খেতে পারেন কলা।

বাংলাদেশের মৌসুমী ফল কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 ৪ জুলাই কাঁঠাল দিবস। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের জানা-অজানা আরো অবাক করা কিছু তথ্য দেয়া নেয়া যাক এক নজরে এই আর্টিকেলে। কাঁঠাল শুধু একটু সাধারণ ফল নয়। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এর বৈশিষ্ট্য, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের কারণে এটি বহু বছর ধরে বাঙালি সাংস্কৃতি, খাদ্যভাস ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে। কাঁঠাল হচ্ছে বহু বিজি ফল। কাঁঠালের গড় ওজন ১০-২৫ কেজি পর্যন্ত। আবার কখনো কখনো ৪০ কেজির বেশিও হয়। কাঁঠালের ইংরেজি নাম Jackfruit এবং বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus ও পরিবার Moraceae।

কাঁঠালের সর্বপ্রথম উৎপত্তিস্থান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতে কাঠাল জন্মায় তবে নিচে জেলাগুলো বিশেষভাবে পরিচিতি যেমন নরসিংদী, রাঙ্গামাটি, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং চট্টগ্রাম। কাঁঠাল জন্মায় গ্রীষ্মকালে (বৈশাখ- আষাঢ় মাস)। ফুল ফোটে ফাল্গুন মাসে আর ফলপাকে বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসে। কাঠাল মূলত একটি মৌসুমী ফল তবে কিছু অঞ্চলে আগাম জাত পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ সকালের স্বাস্থ্যকর খাবার ও ওজন বৃদ্ধির ১১ টি টিপস

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফলঃ কাঁঠালকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় আকৃতির ফল। এতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে এবং সহজলভ্য। গ্রাম বাংলার প্রত্যেকটি বাড়িতে একবার একাধিক কাঁঠাল গাছ প্রায় দেখা যায়। এটা বাঙালি সংস্কৃতি খাদ্যভাস এবং আতিথেয়তার প্রতীক।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কোয়ায় কাঁঠালের যে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা নিচে দেওয়া হল।

  • ক্যালোরি: ৯৫
  • কার্বোহাইড্রেট: ২৩ গ্রাম
  • ফাইবার: ১.৫ গ্রাম
  • ভিটামিন সি :১৩.৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন-A,B6
  • আরো পাওয়া যায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম।

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতাঃ কাঁঠাল খেলে শরীরের শক্তি বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফাইবার থাকার কারণে হজম শক্তি বাড়ায়। চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী ফল হচ্ছে কাঁঠাল। পটাশিয়াম হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কাঁঠাল পাকা খাওয়া যায় আবার কাজের অবস্থায় তরকারি হিসেবেও খাওয়া যায়।

রসালো ফল লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 লিচু বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল। টক-মিষ্টি শুধু যে খেতে ভালো তাই না বরং এতে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ছোট বড় সবার প্রিয় এই ফলটি গ্রীষ্মকালে অন্যতম আকর্ষণ। ইংরেজিতে এর নাম Lychee বৈজ্ঞানিক নাম Litchi chinensis পরিবার Sapindaceae। লিচুর উৎপত্তিস্থান হল দক্ষিণ চীন ও উত্তম ভিয়েতনাম।

লিচুর উৎপাদন অঞ্চল হচ্ছে বাংলাদেশ। জেলাগুলোর লিচু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। যেমন দিনাজপুর,(বোম্বাই লিচুর জন্য বিখ্যাত), রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ এবং মেহেরপুর। বিভিন্ন জাতের লিচু রয়েছে। জনপ্রিয় লিচুর জাত হলো, বোম্বাই লিচু, মাদ্রাজি লিচু, চীনা-৩, দিনাজপুর লিচু। লিচু একটি গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফল। সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসে ( মে-জুন) বাজারে আসে। ফুল ফুটে ফাল্গুন মাসে আর বৈশাখ জ্যৈষ্ঠতে ফল পাকে।


লিচুর পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতেযে পুষ্টিগুণগুলো থাকে তা নিচে দেওয়া হল।

  • ক্যালোরি:৬৬
  • কার্বোহাইড্রট:১৭ গ্রাম
  • ফাইবার:১.৩ গ্রাম
  • ভিটামিন- সি: দৈনিক চাহিদার প্রায় ১৯৯%
  • ভিটামিন-B6, পটাশিয়াম, কপার
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল

লিচু খাওয়ার উপকারিতাঃ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী ফল। লিচুতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। লিচুর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফিনল উপাদান কোষকে ক্ষয় হতে দেয় না। এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের সহায়ক। ইসলাম ধর্মে ফল খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত রয়েছে আর লিচু রোজার সময় ইফতারের একটি প্রিয় ফল।

জাম ফল খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 জাম আমাদের দেশে একটি পরিচিতি ফল। রঙে কালচে বেগুনি আর ছাদের মিষ্টি টক মিশ্রিত এই ফলটি শুধু খেতে ভালো নায় বরং স্বাস্থ্যগুনো ভরপুর। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী ফল হিসেবে বিবেচিত। জাম কে ইংরেজিতে বলা হয় Black Plum,Java Plum,Indian Blackberry বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium cumini পরিবার Myrtaceae। জামের উৎপত্তিস্থান ভারত বর্ষ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া।

এছাড়াও বাংলাদেশের যেসব জেলায় জাম বেশি জন্মে যেমন ময়মনসিংহ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, যশোর এবং ঢাকা এছাড়াও দেশের প্রায় সব জায়গায় জাম গাছ দেখা যায়। জাম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। সাধারণ জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাসে (মে-জুলাই) মাসে পাওয়া যায় এই ফল। জাম গাছে ফুল ফুটে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ফল পাকা বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে।

জামের পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১০০ গ্রাম জামে যে পুষ্টি গুণগুলো পাওয়া যায় তা দেওয়া হলো।

  • ক্যালোরি:৬০
  • কার্বোহাইড্রেট:১৪ গ্রাম
  • প্রোটিন: ১ গ্রাম
  • ফাইবার: ০.৯ গ্রাম
  • ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান

জাম খাওয়ার উপকারিতাঃ জামে থাকা জ্যামবোলিন উৎপাদন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। জামের আঁশ ও প্রাকৃতিক এসিড হজম প্রক্রিয়াকে উন্নতি করে। জামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। জামের আয়রন শরীরে হিমাগ্লোবিন বাড়াই যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে। জাম দাঁত ও মারে সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

ডায়াবেটিসের জন্য জামের বীজ গুঁড়ো ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া জ্বর ও অজীর্ণতা, পেট ফাপায় ইত্যাদি চিকিৎসা জাম এর বীজ ব্যবহৃত হয়। জামপাতার রস গলা ব্যথা বা মুখে ঘা হলে ব্যবহার করা হয়।জাম রস শরবত জেলি আচার চাটনি বানানো যায়।

জনপ্রিয় মৌসুমী ফল তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল তরমুজ। বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত সুস্বাদু ও রসালো মৌসুমী ফল। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর ফলে চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। গরমে যখন শরীর ঘেমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন এক টুকরো ঠান্ডা তরমুজ যেন প্রাণ প্রশান্তি আনে। শুধু ছাদে নয় তরমুজ পুষ্টিগুনে দারুন উপকারী। তরমুজকে ইংরেজিতে বলা হয় Watermelon বৈজ্ঞানিক নাম Citrullus lanatus পরিবার Cucurbitaceae। তরমুজের উৎপত্তিস্থান হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বহু জাতের তরমুজ আছে লাল তরমুজ, হলুদ তরমুজ, লাল ও সবুজ তরমুজ, কালো তরমুজ, বীজ বিহীন তরমুজ ইত্যাদি।

বাংলায় তরমুজের বাণিজ্যিক চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। যেমন পটুয়াখালী, ভোলা, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, এবং কুড়িগ্রাম। এছাড়াও রয়েছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। তরমুজ প্রধানত গ্রীষ্মকালীন ফল। বাংলাদেশের ফাল্গুন থেকে জ্যৈষ্ঠ (ফেব্রুয়ারি-মে মাস) পর্যন্ত তরমুজ পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় মার্চ- এপ্রিল মাসে।

তরমুজের পুষ্টিগুণঃ ১০০ গ্রাম তরমুজ খেলে আমাদের শরীরের যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে তা নিচে দেওয়া হল।

  • ক্যালোরিঃ ৩০  ক্যালরি
  • পানিঃ ৯২%
  • চিনিঃ ৬ গ্রাম
  • ফাইবারঃ ০.৪ গ্রাম
  • ভিটামিন সিঃ৮.১ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন এ (বিটা ক্যারোটিন) ঃ৫৬৮ IU
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ লাইকোপেন

তরমুজ খাওয়ার উপকারিতাঃ দেহের পানির ঘাটতি পূরণ করে তরমুজ খেলে। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। তরমুজে থাকা পটাশিয়াম ও সাইট্রুলিন হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নতি করে এবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন বি চোখের জন্য উপকারী। ত্বক ও চুলের জন্য ভালো তরমুজ ফল। এন্টি ক্যান্সার উপাদান আছে তরমুজ ফলে।

পেয়ারা ফল খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

পেয়ারা বাংলাদেশের অতি পরিচিত এবং সহজলভ্য এবং জনপ্রিয় একটি ফল। এটা কাঁচা ও পাকা দুই ভাবি খাওয়া যায়।পেয়ার স্বাদ  টক-মিষ্টি ও অনেকটাই সতেজ কর। এটা শুধু খেতে ভাল নয় এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। ইংরেজিতে বলা হয় Guava বৈজ্ঞানিক নাম Psidium guajava পরিবার Myrtaceae পেয়ারার উৎপত্তি স্থান মধ্য আমেরিকা। পিয়ারা বিভিন্ন জাতের বা কালারের হয় যেমন সাদা, লাল, সবুজ রংয়ের পেয়ারা পাওয়া যায়।

এছাড়াও বাংলাদেশের যেসব এলাকায় পেয়ারা বেশি হয়।যেমন বরিশাল, যশোর, নাটোর, সাতক্ষীরা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ। তবে স্বরূপকাঠির পেয়ারা বিখ্যাত।পেয়ারা দুই মৌসুমে পাওয়া যায় গ্রীষ্মকালীন পেয়ারা জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে (মে- জুন) পাওয়া যায়। শীতকালীন পেয়ারা যা হয় আশ্বিন-পৌষ (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) মাসে পাওয়া যায়। তবে এখন প্রায় সারা বছর পেয়ারা চাষ হচ্ছে।

পেয়ারা খাওয়ার পুষ্টিগুণঃ ১০০ গ্রাম পিয়ারা খেলে যে পুষ্টিগুণগুলো পাওয়া যায় তা হল।

  • ক্যালরিঃ৬৮ ক্যালরি
  • পানিঃ৮১%
  • ভিটামিন সিঃ২২৮ মিলিগ্রাম
  • ফাইবারঃ৫৮ গ্রাম
  • ভিটামিন এঃ ৬২৪ IU
  • ক্যালসিয়ামঃ ১৮ মি.গ্রা
  • আয়রনঃ ৩.৩৬ মি.গ্রা
  • অ্যান্টি অক্সিডেন্টঃ লাইকোপেন, কেরোটিন

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতঃ পেয়ারা খেলে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। পেয়ারা ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস। এটি ঠান্ডা, সর্দি ভাইরাস প্রতিরোধের সাহায্য করে। পেয়ারা খেলে হজমে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। পেয়ারা কম ক্যালরি এবং বেশি ফাইবার যুক্ত তাই এটি ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।

কাঁটালেবু খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রিয় একটি ভিন্ন ধর্মের লেবুর জাত হলো কাঁটালেবু। এটি দেখতে সাধারণত মাঝারি আকারের হয়।সবুজভ-হলুদ বর্ণের এবং চামড়া কিছুটা খসখসে ও কাটাযুক্ত হয়।স্বাদে টক, তবে ঘ্রাণে বেশি তীব্র। অনেকে এটাকে বড়ই লেবু নামে চিনেন। ইংরেজিতে বলা হয় Wild Lime,Spiny Lemon। বৈজ্ঞানিক নাম Citrus macroptera পরিবার Rutaceae। স্থানীয় এলাকায় যেসব নামে ডাকে চট্টগ্রামে একে শাত্ত লেবু, সিলেটে জুয়া লেবু নামে ডাকা হয়।

কাঁটালেবু সাধারণত বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং উত্তরবঙ্গে কিছু এলাকায় বেশি জন্মে। এটি বন জঙ্গলে পাহাড়ি এলাকায় স্বাভাবিকভাবে জন্মে। বাংলাদেশের এটি একটি মৌসুমী ফল। এর ফলন সময় হলো ফাল্গুন ও চৈত্র (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) মাসে ফুল আসে। এবং ফল পাকে আষাঢ় ও আশ্বিন (জুন-সেপ্টেম্বর) মাসে।

কাঁটা লেবুর পুষ্টিগুণঃ ১০০ গাম কাটালেবু খেলে শরীরের জন্য যে উপাদান ও পরিমাণ এবং পুষ্টিগুণ গুলো পাওয়া যায় তা হল।

  • ক্যালরিঃ ৩০ ক্যালরি
  • ভিটামিন সিঃ ৩০-৭০মি.গ্রা
  • ক্যালসিয়াম ঃ ৪০ মি.গ্রা
  • আয়রনঃ ০.৬ মি.গ্রা
  • ফাইবারঃ ২.৮ গ্রাম
  • পটাশিয়ামঃ ১২০ মি.গ্রা

কাঁটা লেবু খাওয়ার উপকারিতাঃ কাটালিবু খেলে আমাদের শরীরের হজমে সাহায্য করে। টক জাতীয় ইয়ে ফল হজম শক্তি বাড়ায় গ্যাস অম্বল কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। চা বা পানিতে কাটালেবুর রস ও খোসা দিয়ে ফুটিয়ে খেলে ঠান্ডা কাশি কমে যায়। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে কাটা লেবু। এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকায় ত্বকের ইনফেকশন কমায়। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

ডালিম খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশের জনপ্রিয় উপকারী ফল গুলোর মধ্যে ডালিম বা আনার অন্যতম। এটি শুধু একটি সুস্বাদু ফল নাই বরং প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডালিমের টক- মিষ্টি স্বাদ এবং এর পুষ্টিগুণ এক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা আছে। বাংলাতে বলা হয় ডালিম বা আনার। ইংরেজিতে নাম হল Pomegranate বৈজ্ঞানিক নাম Punica granite পরিবার Lythraceae। 

ডালিমের মূল উৎপত্তি স্থান হল প্যারিস বর্তমানে ইরান ভারত আফগানিস্তান অঞ্চল। এছাড়াও বাংলাদেশের যেসব এলাকায় ডালিম জন্মায় যেমন রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, কুষ্টিয়া এবং কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে। ডালিম ফুল ফোটে মার্চ-এপ্রিল মাসে। আর ফল ফাঁকে জুলাই-অক্টোবর মাসে। তবে বর্তমানে আধুনিক চাষের ফলে প্রায় সারা বছর বাজারে ডালিম পাওয়া যায়।

ডালিমের পুষ্টিগুণঃ ১০০ গ্রাম ডালিমের বীজের যে পরিমাণ উপাদান ও পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা হল।

  • ক্যালরি :৮৩ ক্যালরি
  • ফাইবারঃ ৪ গ্রাম
  • ভিটামিন সিঃ ১০ মি.গ্রা
  • ভিটামিন K: ১৬ মাইক্রোগ্রাম
  • পটাশিয়ামঃ ২৩৬ মি.গ্রা
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর Punicalagins Anthocyanins রয়েছে।

ডালিম খাওয়ার উপকারিতাঃ ডালিম রক্তে বিশুদ্ধকরণে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা বা অ্যানামিয়াম দূর করতে কার্যকর। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টকে সুরক্ষা দেয় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে। ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। ডালিমের নির্যাস রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ডালিমের নির্যাস স্তন ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধসহ ভূমিকা রাখতে পারে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

 নারিকেল খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল হল নারিকেল।নারিকেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটু অপরিহার্য ফল। এটা শুধু রান্নার উপাদান নয় বরং সৌন্দর্য চর্চা স্বাস্থ্য রক্ষা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও ব্যবহার হয়ে থাকে। এই এক ফলে রয়েছে অসাধারন পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা এবং নানা বিধি ব্যবহার। নারিকেল শুধু একটি ফল নয় এটি আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। নারকেলের উৎপত্তিস্থান হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েট চার্ট

 নারকেল বাংলাদেশের জন্মায় যেমন উপকূলীয় অঞ্চলে, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালী।নারকেল গাছ সাধারণত বছর জুড়ে ফল দেই তবে বর্ষাকাল এবং শরৎকালে নারকেল উৎপাদন তুলনামূলক বেশি হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক নারকেল গাছ বছরে গড়ে ৫০-১০০ তিন নারিকেল  দিতে পারে।

নারিকেলের পুষ্টিগুণঃ প্রতি ১০০ গ্রাম নারকেলের শাঁস যা আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। নারিকেলের যে উপাদান ও পরিমাণ এবং পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা হল।

  • ক্যালরিঃ ৩৫৪ ক্যালরি
  • চর্বিঃ৩৩ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেটঃ ১৫ গ্রাম
  • প্রোটিনঃ ৩ গ্রাম
  • ফাইবারঃ ৯ গ্রাম
  • ভিটামিন সিঃ ৩.৩ মি.গ্রা
  • ম্যাঙ্গানিজঃ ১.৫ মি.গ্রা
  • ক্যালসিয়ামঃ ১৪ মি.গ্রা

নারিকেল খাওয়ার উপকারিতাঃ নারকেলের তেল ত্বক মিশ্রণ ও চুল ঝলমল করতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। নারকেলে থাকা লাউরিক এসিড জীবনো ধ্বংস করে এবং শরীরকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। নারিকেলের ফাইবার হজম সহায়তা করে। নারিকেল তেল রক্তের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়। নারিকেলের পানি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর যার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে দারুন কার্যকর হিসেবে কাজ করে।

FAQ: বাংলাদেশের মৌসুমী ফল সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ কোনটি সবচেয়ে পুষ্টিকর ফল?

উত্তরঃ সবচেয়ে পুষ্টিকর ফল সাধারণ আভোকাডো, বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি ব্লুবেরি এবং আমও ধরা হয়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন কোন ফল দেশি ফল হিসাবে পরিচিতি?

উত্তরঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্মমন্ডলী এবং উপগ্রীষ্মমন্ডলী ফল পাওয়া যায়। এদের মধ্যে জনপ্রিয় ফলের নাম হলো আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস এবং জাম।

প্রশ্নঃ কোন ফলে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি থাকে?

উত্তরঃ সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি ফল হলো কাকাডু প্লাম।

প্রশ্নঃ শীতকালীন ফল কি কি?

উত্তরঃ শীতকালে বাজারে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। যার মধ্যে কয়েকটি হল যেমন আপেল, কমলালেবু, জলপাই, বরই, আমলকি, বেদানা, পেয়ারা, শাকালু, আঙ্গুর, কেউই এবং নাশপাতি পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ কোনটি সবচেয়ে মিষ্টি ফল?

উত্তরঃ সাধারণত আমকে মিষ্টির ফল হিসাবে ধরা হয়।

শেষ কথা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল ১০টি এর উপকারিতা

আজকের এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মৌসুমি ফল ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সেই সাথে বাংলাদেশের প্রকৃতি, আবহাওয়া ও মাটি এমন ভাবে গঠিত যে প্রতি ঋতুতে এখানে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ও গুণের মৌসুমী ফল জন্মায়। প্রতিটি ফল শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থ্য উপকারের দিক থেকে অনন্য। ফল শুধু আমাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে না বরং আমাদের অর্থনীতি তো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বাংলাদেশের মৌসুমী ফল গুলো শুধু খাবার হিসাবে নয় আমাদের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ। ঈদ, পূজা বা বিয়ের অনুষ্ঠানে এসব ফলের ব্যবহার গ্রামীণ হাট হাটে ফল বেচাকেনা কিবা পাড়ার ছাদে ফলের চারা লাগানো ছবি আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। একেকটা ফল যেন একটি ঋতুর প্রতিনিধি এবং স্মৃতির প্রতীক।

তাই আমাদের সকলের উচিত ফলগুলোকে সংরক্ষণ করা এবং বেশি করে চাষ করা। আগামী প্রজন্মকে ফলভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভাসে উপলব্ধি করা। প্রকৃতির এ উপহারকে ভালবাসুন, চর্চা করুন আর দেশি ফল খেয়ে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। আমার এই আর্টিকেলটা পড়ে আপনার যদি উপকার হয় তাহলে আপনার মতামতি কমেন্ট বক্সে জানান। এবং এরকম তথ্যবহুল জানতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url