সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েট চ্যাট
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এই প্রশ্নটা অনেকের মনে। বাংলাদেশের প্রায় অনেক মানুষ অস্বাস্থ্যকর ও আনহেলদি। আপনি কি ওজন নিয়ে অনেক চিন্তিত আছেন। আপনার কি মনে হচ্ছে কি করলে আমার সমস্যা সমাধান হবে। তাহলে আপনাকে বলব সকালে যেসব খাবারগুলো
খেলে ওজনের সমস্যা নেই এবং সমাধান আছে। আপনি কি আপনার শরীরের ওজন বাড়াতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।এই আর্টিকেলে মধ্যে সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে এবং ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চ্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে-ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চ্যাট
- সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
- ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চ্যাট
- দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
- ওজন বৃদ্ধির জন্য সঠিক পদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা
- ওজন বাড়ানোর মূল লক্ষ্য
- ওজন বৃদ্ধিতে খাদ্য পরিবর্তনের কিছু অতিরিক্ত টিপস
- কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন ওজন বৃদ্ধির সময়
- ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু সতর্কতা
- কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
- শেষ কথা সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েট চ্যাট
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
আমরা সকলে চাই সুস্বাস্থ্য। আমাদের শরীর যেন ভালো থাকে। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরের জন্য ভালো না আবার অতিরিক্ত কম এজন্য আমাদের শরীরের জন্য ভালো না। শরীরের ওজন কম হলে রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা কমে যায়। তাই আমাদের শরীরে পুষ্টিকর খাবারের দরকার। এখন আমরা জানবো সকালে খালি পেটে কি খাবার খেলে ওজন বাড়ে। চলুন নিচের বিস্তারিত আলোচনা জেনে নেওয়া যাক।
দুধঃ আমাদের শরীরে যত ধরনের পুষ্টি দরকার প্রায় সবগুলো দুধে পাওয়া
যায়। দুধে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি ১২ আছে। দুধ খেলে আমাদের
শরীরে হাড় গুলো মজবুত রাখে এবং রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। দুধের একটি বড় সুবিধা
হচ্ছে সব খাবারের সাথে এক গ্লাস দুধ খাওয়া যায় আপনি সকালে খাবারের সাথে দুধ
খেলে আপনার শরীরের ওজন বাড়তে সাহায্য করবে।
কলাঃ সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য অন্যতম হচ্ছে কলা। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি৬, ফাইবার, ক্যালরিতে ভরপুর। সকালে খালি পেটে একটা বা দুইটা কলা খেলে এটি শরীরের শক্তি যোগায় এবং শরীরের ক্যালরি চাহিদা পূরণ করে। কলা খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তিতে সাহায্য করে, হার্টের হার্টের রোগী ঝুঁকি কমানো মত একটি সম্পর্ক আছে কলার।
ডিমঃ ডিমকে বলা হয় প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন। ডিম রয়েছে ভিটামিন এ,
ভিটামিন বি ২, ঝিংক আছে, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার।এটা
শরীরের পেশি ও শক্তি বাড়াতে কার্যকারী। সকালে খালি পেটে একটা বা দুইটা ডিম
বা তার সাথে পোহা বা রুটি খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং শরীরের ক্যালরি
যোগ হবে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিমে অতিরক্ত প্রোটিন থাকার
কারণে শরীরের ক্ষুধা কমায়। আবার ডিম আমাদের চোখ ভালো রাখে, রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়, ত্বক ভালো রাখে।
খেজুরঃ সকালে খালি পেটে খাবারের জন্য অন্যতম ফল হচ্ছে খেজুর। খেজুরে
রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফলিক এসিড এবং ফাইবার আছে। খেজুর
খেলে আমাদের শরীরে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
সকালে খাবারের সাথে দুইটা খেজুর খেলে শরীর স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে।
ঘি এবং রুটিঃ ঘি হলো প্রাকৃতিক ফ্যাট যা ওজন বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে খালি পেটে রুটির সাথে এক বা দুই চামচ দিয়ে নিচে খাওয়া ওজন বৃদ্ধি করার জন্য একটি আদর্শ উপায়। ঘি বা রুটি একসাথে খেলে শরীরের দ্রুত ক্যালরি যোগ হয় হজম শক্তি বাড়ায় শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
শুকনো ফল এবং বাদামঃ শুকনো ফল এবং বাদাম সকালে খালি পেটে খাওয়ার একটি
অন্যতম খাবার। যেমন কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, খেজুর খাওয়া সকালে খালি পেটে
খাওয়া ওজন বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মধ্যে প্রোটিন ফ্যাট এবং ফাইবার
রয়েছে যা শরীরের ক্যালরি বুদ্ধিতে সাহায্য করে। কিভাবে খাওয়া উচিত তাহলে করুন
এক মুঠো শুকনো ফল ও বাদাম খান। দুধের সাথে মিশে খেতে পারেন।
ওটমিল এবং বাদামঃওটমিলে ফাইবার এবং বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও
প্রোটিন রয়েছে। এটা শরীরে অনেকক্ষণ শক্তি দেয় এবংপেশি গঠনের সহয়তা করে। দুধ বা
দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে ওটমিল এবং কাঠবাদাম মিশিয়ে খান সকালে খালি পেটে খেলে
আপনার শরীরেরওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
আলু সিদ্ধ বা ভাজাঃ আলু একটি অন্যতম জনপ্রিয় খাবার যা দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। আলোতে রয়েছে দ্রুত শক্তিকারী কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো উৎস। আলু খেলে দ্রুত ক্যালরি বাড়াই এবং শক্তি দেয়। সকালে সিদ্ধ বা হালকা ভাজা হালাল খান এটি সাদেও সুস্বাদু পুষ্টির দিক থেকে অনেক বেশি কার্যকরী।
অ্যাভোকাডোঃ সকালে খাবারের সাথে ওজন বাড়ানোর জন্য অ্যাভোকাডো খান। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ভরপুর । অ্যাভোকাডো একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর ফল। এটি সুষম ওজন বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী অ্যাভোকাডো টোস্ট বা স্মুদি মিশিয়ে খান।
পিনার বাটারঃ পিনাট বাটারে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট
অ্যাসিড , খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। এটি পেশি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।, পাউরুটির
সঙ্গে পিনাট বাটার খেতে পারেন সকালে নাস্তায়।
স্মুদি এবং শেকঃ ফল দুধ বাদাম এবং প্রোটিন পাউডার মিশ্রণে একটি পুষ্টিকর স্মুদি তৈরি করেন। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর সমাধান।সকলের নাস্তা কলা দুধ এবং বাদাম দিয়ে তৈরি স্মুদি পান করুন। এতে করে আপনার শরীরে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
তিলের বীজ এবং গুড়ঃ তিলের বীজ এবং গুড় একসঙ্গে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর
এবং শক্তি দায়ক খাবার। এটি ক্যালরি বাড়ায় এবং শরীরকে শক্তি দেয়। এই দুটি
উপাদান একসাথে মিস করে লাড্ডু বানিয়ে রাখেন। সকালে খাবারের সময় একটা বা দুইটা
না ঢুকলে আপনার শরীরে জন্য অনেক উপকারী।
ড্রাইফুড এবং বীজঃ কাজুবাদাম কাঠবাদাম আখরোট এবং চিয়া সিড ক্যালরি এবং
ফ্যাট চমৎকার উৎস। ওজন বাড়াতে প্রয়োজন ফ্যাট এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। সকালে খালি
পেটে এক মুঠো ড্রাই ফুড এবং চিয়া সীড পানিতে ভিজিয়ে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস
করুন। এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমবে এবং ওজন বাড়াতে
সাহায্য করবে।
ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চ্যাট
শুধু সকালের খাবার খেলে হবে না তার সাথে কিছু ডায়েট মেন্টেন করতে হবে আমরা এখন
জানবো সকালে খাবারের জন্য ডায়েট চ্যাট নিয়ম সম্পর্কে
সকালের নাস্তাঃ ৬০০ ক্যালরি(সকাল ৭.৩০-৮টা)
খাবারের নাম | পরিমান | বর্ণনা |
---|---|---|
রুটি বা খিচুড়ি | ২টা রুটি (১০০ গ্রাম) | ২টা গমের রুটি বা দেড় কাপ খিচুড়ি (চাল+ডাল মিশানো) |
ডিম | ১টা | ১টা সিদ্ধ ডিম |
শাক সবজি | ২ সারভিং (১ কাপ) | ১/২ কাপ পাতা যুক্ত শাক এবং১/২ কাপ সবজি |
দুধ | ১ সারভিং | ১ গ্লাস দুধ(চর্বি ছাড়া) |
সিজনাল ফল | ১ সারভি | ১ সারভিং সিজনাল ফল |
মধ্য সকালের নাস্তাঃ২০০ ক্যালোরি(সকাল ১০.৩০-১১টা)
খাবারের নাম | পরিমাণ | বর্ণনা |
---|---|---|
বাদাম | ৩০ গ্রাম | ৩০ গ্রাম খোসা ছাড়া বাদাম |
শসা/পাকা পেঁপে | ১টা/১০০গ্রাম | ১টা শসা/১০০গ্রাম পাকা পেঁপ |
দুপুরের খাবারঃ ৭০০ ক্যালোরি (দুপুর১.৩০-২ট)
খাবারের নাম | পরিমাণ | বর্ণনা |
---|---|---|
ভাত | ৪ সারভিং | ২ কাপ ভাত |
মাছ/মাংস | ২ সারভিং | ১২০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (ফ্যাট বা হাড় ছাড়া) |
ডাল | ১ সারভিং | ১ কাপ ঘন ডাল |
শাক সবজি | ৩ সারভিং (২ কাপ) | ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক এবং ১ কাপ রান্না করা সবজ |
বিকালের নাস্তাঃ ২০০ ক্যালোরি (বিকালে৫.৩০-৬টা)
খাবারের নাম | পরিমাণ | বর্ণনা |
---|---|---|
ছোলা | ৩০ গ্রাম | ৩০ গ্রাম ছোলা/বুট |
সিজনাল ফল | ২ সারভিং | ২ সারভিং সিজনাল ফল |
চা/কপি | ১ কাপ | ১ কাপ চিনি ছাড়া স্কিম মিল্ক দিয়ে তৈর |
রাতের খাবারঃ ৫০০ ক্যালোরি (রাত ৯টা -৯.৩০)
খাবারের নাম | পরিমাণ | বর্ণনা |
---|---|---|
২ টা রুটি | ২ টা রুটি ১০০গ্রাম | ২ টা গমের আটার রুটি |
মাছ/ মাংস | ১ সারভিং | ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ/মাংস(ফ্যাট বা হাড় ছাড়া মাংস) |
শাক সবজি | ২ সারভিং(দেড় কাপ) | ১ কাপ পাতা যুক্ত শাক এবং ১/২ কাপ রান্না করা সবজ |
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
দ্রুত ওজন বাড়াতে হলে আপনাকে ক্যালোরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে
হবে। যা আমাদের শরীরের জন্য কার্যকরী। সেই সাথে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে
হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে। কিছু কিছু খবর আছে যা খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে শরীরের।
যেমন ডিম, কলা, বাদাম, পনির, মাংস, আলু, মিষ্টি আলু, গুঁড়ো দুধ এবং ঘি ওজন
বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ সকালে কি খেলে দ্রুত ওজন কমে
সকালে এসব খাবার খেলে আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে চোখ ভালো রাখে ত্বক সুস্থ রাখে এবং
হার্টের রোগীর ঝুঁকি কমায়। শরীরে ক্যালরি প্রোটিন ভিটামিন খনিজ ইত্যাদি
আমাদের শরীর বা স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
ওজন বৃদ্ধির জন্য সঠিক পদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা
ওজন বাড়ানো মানে এই না যে আপনার যা মন চাইবে আপনি তাই খেতে পারবেন। আপনাকে খেতে
হবে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার। এজন্য
আমাদের সঠিক খাদ্য বা জীবন ধারণের মধ্য দিয়ে সুষম ভাবে ওজন বৃদ্ধির জন্য
সঠিক পদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা অবলম্বন করতে হবে।
ওজন বাড়ানোর মূল লক্ষ্য
- শরীরে পেশি বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু চর্বি নয় পেশির পরিমাণ বাড়ানো উচিত শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য।
- আমাদের শরীরের ওজন ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সুষম পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে শরীরের।
- আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে খাবারগুলো খাই সেগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। আমরা যা নিত্য দিনে খাবার খায় সে অনুযায়ী ক্যালোরি পরিমাণটা বেশি খাওয়া ভালো।
- আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্য কে ভালো রাখার জন্য আমাদের খাবারের পাশাপাশি খাবারের একটি ডায়েট চ্যাট ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
ওজন বৃদ্ধিতে খাদ্য পরিবর্তনের কিছু অতিরক্ত টিপস
- বেশি করে খাবার খাবেন না। অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খাবেন।
- যে কোন খাবার খাবেন না যে খাবারগুলো পুষ্টিকর সেগুলো খাবেন।
- উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নিন শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। ওজন বৃদ্ধির জন্য।
- নিয়মিত মতন ঘুমাবেন বেশি রাত জাগবেন না।
- প্রতিদিন এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন এতে আপনার পেশি বৃদ্ধি পাবে।
- অতিরক্ত চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন ওজন বৃদ্ধির সময়
- যে খাবারে অতিরক্ত চিনি বা মিষ্টি দেওয়া আছে সে খাবার গুলো এড়িয়ে চলুন।
- ফাস্টফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন না যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- অতিরিক্ত কোমল পানীয় খাবেন না যা আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য কে ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।
- যে খাবারে অতিরক্ত লবণ আছে সে খাবার বর্জন করুন।
- বাইরের ভাজাপোড়া খাবেন না।
- রান্নার সময় খাবারে অতিরিক্ত তেল বা মসলা যুক্ত করবেন না।
ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু সতর্কতা
আমরা সকলেই ওজন বাড়াতে চাই এবং তার জন্য পুষ্টিকর খাবারও খেতে চাই। তার মানে এই না যে আপনি ওজন বাড়ার জন্য যে কোন খাবার খেতে পারবেন। সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েট চ্যাট করার পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন নিচে জেনে নিই কি কি সতর্কতা।
পুষ্টিকর ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাব কিন্তু অতিরক্ত খাব না।খাবারের সময় খাবার খাব। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ও সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করা জরুরী।
অতিরিক্ত চিনি লবণ টেস্টিং সল্ট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
সঠিক নিয়মে ঘুমাতে হবে এমন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে না এতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। ঘুম ভালো হলে মানসিক চাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে।
আসে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে।
ওজন বাড়াতে হলে আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্য বাড়া একটি ধৈর্য কর। তাই আমাদের প্রতিদিন নিয়ম মতো ব্যায়াম করতে হবে আর পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
ওজন বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন ভিটামিন নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
ওজন বাড়তে ভিটামিনের অভাব হয়। যেমন ভিটামিন ডি এর অভাবে ওজন
বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ করে। ওজন বাড়ানোর জন্য ভিটামিন পরিমাণ মতো নিশ্চিত করা
জরুরি স্বাস্থ্যের জন্য। শরীরে ওজন বাড়ানোর জন্য ভিটামিন জাতীয়
খাবারগুলো খেতে হবে তাহলে শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
শেষ কথা সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েট চ্যাট
সকালে খালি পেটে সঠিক এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ওজন বৃদ্ধির জন্য অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। কলা দুধ ডিম খেজুর এগুলো প্রাকৃতিক উপাদান এগুলো নিয়মিত খেলে
শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমরা ইতিপূর্বে উপরে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি।
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে ও ডায়েটে চ্যাট ওজন বৃদ্ধির জন্য
কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা
ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি একটু সুস্থ জীবন যাপন করবেন।
এ আর্টিকেলের মাধ্যমে সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়লে ও ডায়েট চার্ট
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যদি আর্টিকেলটা পড়ে উপকার হয়
তাহলে কমেন্ট বক্সে এসে আপনার মতামতটি জানান। আর এরকম স্বাস্থ্যকর টিপস পেতে
ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url