অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম-অনলাইন ট্রেনের টিকিট ক্রয়


অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম অনেকে এখনো জানে না। বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেলওয়েরল টিকিট কাটার সবচেয়ে সহজ উপায় হল অনলাইন টিকেট বুকিং সিস্টেম। বর্তমানে এখন বাসা থেকে ল্যাপটপ মোবাইল কম্পিউটার এর মাধ্যমে কেনা যায়।

অনলাইন-ট্রেনের- টিকেট-কাটার- নিয়মআপনি যদি ঘরে বসে ট্রেনের টিকেট চান কাটতে চান তাহলে আর্টকেলটা মনযোগ সহকারে এবংটিকিট কাটার জন্য কি কি লাগে যেমন কাগজপত্র,পেমেন্টের নিয়ম, টিকিটকনফার্মেশন এবং সমস্ত তথ্যএই টিকিট কাটার সময় সব আর্টিকেলের মধ্যে পাবে।ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হয় কিভাবে।

পেজ সূচিপত্রঃ অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম-অনলাইন ট্রেনের টিকিট ক্রয়


অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম

এতক্ষণ আমরা জানলাম ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য যা যা প্রয়োজন। চলুন এখন তাহলে অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম গুলো জেনে নিন। ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ধাপে ধাপে অনুসরণ করি।

অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটের মধ্যে যেতে এখানে ক্লিক করুন। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানা প্রদান করে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর আপনি কোথায় যাবেন সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখের ট্রেন বাছাই করুন।

ট্রেন বাছাই করার পরে পরবর্তী ধাপে আপনার সিট কনফার্ম করেন। অনলাইন পেমেন্ট করে আপনি টিকিট চেক করে নিন। অনলাইন খুব সহজে আপনি ঘরে বসে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন খুব সহজে ঝামেলা ছাড়াই।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম করা সেরা ১০ টি উপায়

ধাপ ১ঃ প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন । তারপর গুগল ক্রোম ব্রাউজার অথবা ভিজিট করুন গুগল প্লে স্টোর থেকে এলসেবা অ্যাপ আপনার ফোনে ইন্সটল করে রাখুন। এতে করে আপনার অনলাইন ট্রেনের টিকিট কাটতে সুবিধা হবে।


ধাপ২ঃ তারপর আপনি ওয়েবসাইট টাকে লগইন করুন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। ওয়েবসাইট কিংবা


apps প্রবেশ করার পর রেজিস্ট্রেশন বাটন এ ক্লিক করুন। আপনার যেটা সচল মোবাইল নাম্বার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সঠিক জন্ম তারিখ প্রদান করে ভেরিফাই সম্পন্ন করুন। পরবর্তী ধাপে একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন আপনার ইমেইলে। পোস্ট অফিস কোড এবং ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে রেজিস্টেশন সম্পন্ন করতে হবে।



ধাপ ৩ঃ মোবাইল নম্বর সফলভাবে ভেরিফাই করুন। তারপর আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এ কোটিতে আপনাকে অবশ্যই ভেরিফাই করতে হবে।আপনার মোবাইলে আসা কোডটি অবশ্যই ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে সঠিকভাবে লিখে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করতে হবে তারপর আপনার একাউন্টে সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে এবং সক্রিয়ভাবে আপনি আপনার একাউন্টে লগইন করতে পারবেন। আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করার পর পরবর্তীতে আপনি একবারDisclaimer এর শর্ত পড়ে Agree বাটনে ক্লিক করুন।


ধাপ৪ঃ তারপর আপনার নির্ধারিত ট্রেন ও সিট বাছাই করুন। আপনার যাত্রা সময় ও আসনের ধরন অনুযায়ী আপনি আপনার পছন্দ ট্রেন ও সিটে বাছাই করতে পারবেন। এজন্য আপনার পছন্দ ট্রেনের সিট খালি থাকা থাকলে  View Seats বাটনে ক্লিক করার পরে সিট বুকিং করতে পারবেন। শিশুদের টিকিটের মূল্য পরিবর্তন ধাপে করা হবে তার জন্য আপনাকে যেতে হবে Continue Purchase বাটনে ক্লিক করতে হবে।



ধাপ৫ঃ যাত্রী তথ্য প্রদান করুন। আপনি পরবর্তীতে যতগুলো সিট বুকিং করেছেন সে যাত্রীদের নাম এবং তারা শিশু বা বয়সে কিনা এটা অবশ্যই সিলেট করতে হবে। যদি কোন শিশুর বয়স তিন বছর থেকে ১২ বছরের মধ্যে হয় তাহলে তাকে অবশ্যই Passanger Type Child সিলেট করতে হবে।Child সিলেট করলে তাদের ভাড়া কমে যাবে।

ধাপ৬ঃ টিকিটের মূল্য পরিশোধ করুন টিকিট কাটার পরে। আপনাকে টিকিটের মোট ভাড়া পরিমাণ,ভ্যাট,ব্যাংক চার্জ ও মোট খরচের পরিমাণ দেখানো হবে। টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য আপনি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ অথবা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। Confirm Purchase বাটনে ক্লিক করে আপনি পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন। 



ধাপ ৭ঃ টিকিট ডাউনলোড ওপেন করুন।পরবর্তী ধাপে সফলভাবে পেমেন্ট করার সাথে সাথে আপনার সামনে Bangladesh Railway E Train System থেকে একটি টিকিট ইস্যু করা হবে. উক্ত টিকিটটি আপনার ব্রাউজার থেকে ডাউনলোড করা যাবে এবং আপনার প্রোফাইলে Purchase history থেকে চাইলে আপনি পরেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী।

এছাড়া আপনার সুবিদার্থে টিকিটের একটা কপি আপনার ইমেইল ঠিকানায় পাঠাও না হবে আপনার ইমেইলে ইনবক্স ফোল্ডারে পাওয়া না গেলে আপনি অবশ্যই স্প্যাম ফোল্ডার থেকে টিকিট চেক করেপাবেন এবং টিকিটটা অবশ্যই ফোর সাইজের প্রিন্ট করে নিতে হবে।

অনলাইন ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য যা প্রয়োজন হয়

অনলাইন ট্রেনের টিকিট কাটতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগে না। তবে প্রাথমিকভাবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্র (NID), মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পত্রে অনুযায়ী জন্ম তারিখ প্রয়োজন হয়ে থাকে।

  • ইন্টারনেট সংযোগ থাকা লাগবে যা আপনার মোবাইলের ডাটা ও ওয়াইফাই কানেক্ট থাকা লাগবে।
  • স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহারের জন্য।
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশনের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন।
  • আপনার যে মোবাইল নাম্বার চালু আছে সেটা লাগবে।OTP ভেরিফিকেশন এর জন্য অবশ্যই লাগবে।
  • টিকিট কাটার পরে আপনি বিকাশে নগদ এবং রকেটে অথবা ভিসা বা মাস্টার কার্ডে পেমেন্ট করতে পারবেন।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সঠিক জন্ম তারিখ লিখতে হবে।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট ক্রয়

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার ক্রয়ের জন্য রেল সেবা বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হলো। রেজিস্ট্রেশন করে টিকিট কেনা যায়।



এছাড়াও বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা যায়।আপনি বাংলাদেশ রেলওয়ের e-ticketing ওয়েব সাইটে গিয়েও টিকিট কাটতে পারেন। কিছু থার্ট-পাটি অ্যাপ  যেমন ট্রেন ম্যান থাকো ট্রেনের টিকিট কেনা যায় তবে সে ক্ষেত্রে যাচাই করে টিকেট ক্রয় করা ভালো।

অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার সময়

অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম বা ক্রয় করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। তবে আপনি দিনরাত 24 ঘন্টায় যে কোন সময় ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আজ থেকে আগামী চার দিন পর্যন্ত অনলাইন ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটতে হলে আপনাকে অবশ্যই google প্লে স্টোর থেকে Rail Sheba অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনার মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হবে অথবা আপনি আপনার মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে railapp.railway.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস

ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেনা যায়। এখানে প্রবেশ করে নাম ইমেইল এড্রেস মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার দিয়ে প্রোফাইল সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট চালু হয়ে যাবার পর ট্রেনের টিকিট কেনা যাবে।

বিকাশ অ্যাপসের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম

  • ট্রেনের টিকিট বিকাশ অ্যাপ দিয়েও কিনতে পারবেন।
  • টিকিট কিনতে বিকাশ অ্যাপ এ প্রবেশ করে অ্যাপ এ টিকিট আইকন থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে।
  • এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই- টিকেটিং সার্ভিস স্কিন আসবে।
  • এখানে যাত্রা শুরুর স্থান, গন্তব্য, তারিখ টিকিটের সংখ্যা এসব তথ্য দিয়ে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে।
  • গ্রাহকের প্রয়োজনীয় টিকিট থাকলে Purchase এ যেতে হবে।
  • রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের নিবন্ধিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
  • এরপর বিকাশ দিয়ে ভাড়া দেয়ার গেটওয়ে আসবে।
  • গেটওয়ের বিকাশ নাম্বার দিলে ফোনে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে।
  • এই কোড ও পিন নাম্বার দিয়ে টিকিট নিশ্চিত করলে ইমেইল করে টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হবে তবে এক্ষেত্রে রেলওয়ের ই-টিকিটের account করে রাখতে হবে।

চেক করবেন যেভাবে ট্রেনের টিকিট

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট চেক করার জন্য ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে। এবার ওপরে ডান পাশে মেনু অপশন থাকা Verify Ticket অপশনে ক্লিক করুন। ট্রেনের টিকিট ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর এবং টিকিটের ওপরে অংশে থাকা PNR নাম্বার লিখুন। এবার নিচে থাকা Verify Tickets অপশনে ক্লিক করলে Ticket Verified দেখতে পাবেন এবং আপনার ভ্রমন রুট দেখাবে।

আপনি চাইলে মোবাইলে BD Railway Ticket অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজে ট্রেনের টিকিট চেক করতে পারবেন। অ্যাপ এ প্রবেশ করে টিকিট যাচাই অপসনে ক্লিক করুন। এখান থেকে আপনি ট্রেনের টিকিট এবং কাউন্টার টিকিট দুটাই চেক করতে পারবেন।

অনলাইন টিকিট চেক করার জন্য Online Ticket এ অপশনে ক্লিক করে টিকিট নাম্বার এবং টিকিটের ব্যবহার করা মোবাইল নম্বর লিখুন। এরপর ক্যাপচা পূরণ করে Verify Ticket অপশনে ক্লিক করলে টিকেট চেক করতে পারবেন।

আপনি যদি স্টেশন কাউন্টার থেকে কাটা ট্রেনের টিকিট চেক করতে চান তাহলে কাউন্টার টিকিট অপশনে ক্লিক করুন এরপর আপনার টিকিট নাম্বার বা পি এন আর নাম্বার লিখুন। ক্যাপচা পূরণ করে ভেরিফাই এর টিকিট অপশনে ক্লিক করলে আপনার ট্রেনের টিকিট চেক করে দেখতে পারবেন।

অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিভাবে সংগ্রহ করবেন

অনলাইনে টিকিট ক্রয় এর জন্য ই-টিকিট ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর প্রোফাইলের তথ্য হালনাগাদ করার পরে আপনার পছন্দ গন্তব্য যে ট্রেন খুঁজে বের করে পেমেন্ট সম্পন্ন করে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি চাইলে ওয়েবসাইটে গিয়েও টিকিট ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম

আপনার কাটা ট্রেনের অগ্রিম ফেরত নেওয়ার জন্য ভ্রমণের নির্দিষ্ট সময় পূর্বে কাউন্টারে গিয়ে টিকিট ফেরত দিতে হবে। মনে রাখবেন টিকিট ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে সময় অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন চার্জ করা হবে। ট্রেন যাত্রার সর্বনিম্ন ১২ ঘণ্টা আগে আপনার ক্রয়-কিত ট্রেনের টিকিট ফেরত দিতে হবে।

টিকেট ফেরত নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত পাবেন না আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু চার্জ কেটে নেওয়া হবে। চলুন নিচ থেকে জেনে নি টেনের বুকিং করা অগ্রিম টিকিট ফেরত দেওয়ার চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

  • ৬ ঘন্টার কম সময়ে টিকিট ফেরত প্রযোজ্য হবে না।
  • ৬ ঘন্টা আগে ভাড়া ৭৫% চার্জ কর্তন করা হবে।
  • ১২ ঘন্টা আগে ভাড়া ৫০% চার্জ কর্তন করা হবে।
  • ২৪ ঘন্টার আগে ভাড়া ২৫% চার্জ কর্তন করা হবে।
  • ৪৮ ঘন্টা আগে এসি ক্লাস ৪০ টাকা কর্তন করা হবে, প্রথম শ্রেণি ৩০ টাকা কর্তন করা হবে, অন্য শ্রেণীর ২৫ টাকা কর্তন করা হবে।

ট্রেনের টিকিট নিয়ে সর্বশেষ আপডেট

আপনি যদি ট্রেন ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই ট্রেনের টিকিট কাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে একজন ব্যক্তির ৪টির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। যার নামে টিকিট ক্রয় করা হবে তিনি যদি ভ্রমণের সেদিন না যাই সে ক্ষেত্রে সব টিকেট বাতিল হিসেবে গণ্য করা হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে বাসের এবংবিমানের টিকিট কাটার নিয়ম

ট্রেন ভ্রমণ করার সময় অবশ্যই ট্রেনের টিকিটের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভ্রমণ করবেন। অফলাইন টিকিটের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য।

FAQ: অনলাইন ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ অনলাইন ফ্রি ট্রেনের টিকিট কিভাবে সংগ্রহ করব?

উত্তরঃ আপনার কি স্মার্টকার্ডের অথবা টিকিট অফিসে বা টিকিট মেশনি যেখানে পাওয়া যাবে সেখানে বিনামূলের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে।

প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকিট বুকিং কতদিন আগে খুলবে?

উত্তরঃ ট্রেনের শুরুর স্টেশনে যাত্রা তারিখ বাদ দিয়ে আপনি ৬০ দিন আগে টিকিট বুক করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ কিভাবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়?

উত্তরঃ ই-সেবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটা যায়।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্প লাইন নাম্বার কত?

উত্তরঃ যাত্রীরা যেকোনো নাম্বার থেকে ১৩১ নাম্বারে কল করলে রেল সংক্রান্ত তথ্য, সেবা ও সহায়তা গ্রহণ করতে পারবে।

প্রশ্নঃ পি এন আর স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করব?

উত্তরঃ 139 নম্বরে রেল ওয়ে কে মেসেজ করে আপনি সহজে আপনার পি এন আর স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। আপনার 10 সংখ্যার পি এন আর (হাইফেন ছাড়া) টাইপ করুন, এটি 139 নাম্বারে পাঠান এবং সর্বশেষ পিএনআর স্ট্যাটাস পান। আপনি বিকল্প ভাবো এসএমএস পাঠাতে পারেন নম্বর 5676747।

প্রশ্নঃ ১২টার পর কি টিকিট বুক  করা যাবে?

উত্তরঃ বুকিং সময় রাত১২.২০ থেকে রাত১১.৪৫ মিনিট পর্যন্ত।

শেষ কথা অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম-অনলাইন ট্রেনের টিকিট ক্রয়

অনলাইন ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম এবং অনলাইন ট্রেন টিকিট ক্রয় কিভাবে করতে হবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানালাম। বর্তমানে এখন ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে আর ঝামেলা না এখন ঘরে বসে আপনি আপনার পছন্দের ভ্রমণের জায়গা জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন খুব সহজে।

এখনো যারা স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনেন তারা আজ একবার অনলাইনে চেষ্টা করে দেখুন টিকিট কাটার। এতে করে সময় বাজবে ঝামেলা কমবে এবং ভ্রমণ হবে আরামদায়ক।আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আপনার যদি এ আর্টিকেল নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url