ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ এবং অনলাইন আবেদন ফরম


ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ অনেকে এখন সঠিকভাবে জানে না। ই- পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে। বর্তমানে পাসপোর্ট বিভিন্ন জায়গায় লাগে। ভ্রমণ, বিদেশে কাজ, ব্যবসা কিংবা বাইরে পড়াশুনা করতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট অত্যন্ত জরুরী। ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট-করার- নিয়ম-ও-খরচ

প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বাংলাদেশের সরকার চালু করেছে ই-পাসপোর্ট যা আগে মেশিন রেডিবল (MRP)পাসপোর্ট এর তুলনায় আরও আধুনিক নিরাপত্তা ও দ্রুত প্রসেস হয়। আমরা এখানে আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানবো ই-পাসপোর্ট করার  নিয়ম ও খরচ এবং অনলাইন আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করতে হবে।

পেজ সূচিপত্রঃ ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ এবং অনলাইন আবেদন ফরম

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে আমরা এখন জানবো।বর্তমানে ই পাসপোর্ট করাটা অনেক জরুরী। কারণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন ই পাসপোর্ট এর দরকার। বিশেষ করে পাসপোর্ট ছাড়া বাইরের দেশগুলোতে যাওয়া সম্ভব না। ই-পাসপোর্ট বানাতে কিছু নিয়মাবলী আছে। আমরা এখন ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে জানব। তার জন্য ই পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।

অনলাইন আবেদনঃ ইমগ্রেসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ওয়েবসাইট গিয়ে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করতে পারেন। আপনি যদি নিজে করতে না পারেন তাহলে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে আপনি অনলাইন আবেদন ফরম করতে পারবেন। অনলাইন আবেদন ফরম করার জন্য ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হল।

পাসপোর্ট ফ্রি পরিশোধঃ অনলাইন (ekpay) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট ফ্রি পরিশোধ করতে পারবেন। যেমন ভিসা, মাস্টার কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, বিকাশ, নগদ, রকেট,উপে, ডিমানি, ওকে ওয়ালেট, ব্যাংক এশিয়া, ব্রাক ব্যাংক, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ইউসিবি, এবি ব্যাংক, ডিবিবিএল, মিডল্যান্ড ব্যাংক, এমবিএল রেইনবো।অনলাইন ই-চালান পেমেন্ট স্লিপ চেক এবং ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন অথবা এখানে ক্লিক করেন

অফলাইন এ-চালানের মাধ্যমে দেশের সকল সরকারি অথবা বেসরকারি ব্যাংক থেকে পরিশোধ করা যাবে।আপনি যদি ঘরে বসে নিজে অফলাইনে পেমেন্ট করতে চান তাহলে ওয়েবসাইট গিয়ে করতে পারবেন।অফলাইন এ-চালান পেমেন্ট স্লিপ চেক এবং ডাউনলোড করতে ওয়েবসাইট যেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম- অনলাইন টিকিট ক্রয়

কাগজপত্র সংগ্রহঃ আপনি যখন অনলাইনে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন তখন আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিতে হবে। যা যা চাইবে পাসপোর্ট এর জন্য তাই তাই দিতে হবে এবং আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এর জন্য আবেদনকারীর বয়স ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

আবেদন জমা দেওয়াঃ আপনার আবেদন ফরমটি পূরণ হয়ে গেলে আপনি ভালোভাবে চেক করে নিবেন। আপনার নাম ঠিকানা বয়স মোবাইল নাম্বার এন আইডি কার্ডের জাতীয় পরিচয় পত্র সব ঠিক আছে কিনা চেক করে নিবেন। চেক করা হয়ে গেলে বা সব ঠিকঠাক থাকলে আপনি অনলাইন ফরম পূরণ ও ফ্রি পরিশোধ করার পর আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে অথবা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।

ডেলিভারিঃ ই পাসপোর্ট করার যাবতীয় কাজ ভালোভাবে সফল হলে আপনাকে একটা পাসপোর্ট নেওয়ার ডেলিভারির রশিদ দেওয়া হবে। আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেলে আপনাকে সেই রশিদ দিয়ে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিতে হবে। ডেলিভারি রশিদ এনরোলমেন্ট সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রদেয় স্লিপ। কোন প্রতিনিধির নিজ জাতীয় পরিচয় পত্র সাথে আনতে হবে কাছে পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে।

ই-পাসপোর্ট করার খরচঃ আমরা এতক্ষণ জানলাম ই- পাসপোর্ট করার নিয়ম। এখন আমরা জানব ই পাসপোর্ট করার খরচ সম্পর্কে। আপনি তিনভাবে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক অ্যানো রোলমেন্টের তারিখ হতে ১৫কর্ম দিবস বা ২১ দিনের মধ্যে। আপনি যদি জরুরিভাবে করতে চান তাহলে ৭ কর্ম দিবস বা ১০ দিনের মধ্যে। আবার যদি আপনি খুব প্রয়োজন হয় তাহলে ২ কর্ম দিবসের মধ্যে আপনি পাসপোর্ট বানাতে পারবেন।

 তাহলে আমরা এখন জেনে পাসপোর্টের কত পৃষ্ঠায় কত খরচ হবে। বাংলাদেশের অভত্রারা আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাটসহ কত খরচ হবে চলুন জেনে নিন।

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদি সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৪,০২৫ টাকা
  • জরুরী বিতরণঃ ৬,৩২৫টাকা
  • অতীব জরুরি বিতরণঃ ৮,৬২৫টাকা

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৫,৭৫০ টাকা
  • জরুরি বিতরণঃ ৮,০৫০ টাকা
  • অতিব জরুরি বিতরণঃ ১০,৩৫০ টাকা

৬৪ পৃষ্ঠে এবং ৫ বছর মেয়াদি সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৬,৩২৫ টাকা
  • জরুরী বিতরণঃ ৮,৬২৫ টাকা
  • অতিব জরুরি বিতরণঃ ১২,০৭৫ টাকা

৬৪ পৃষ্ঠায় এবং১০ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৮,০৫০ টাকা
  • জরুরী বিতরণঃ ১০,৩৫০ টাকা
  • অতিব জরুরি বিতরণঃ ১৩,৮০০ টাকা

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে সাধারণ আবেদনকারী খরচ হবে

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়নিত বিবরণঃ ১০০ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ১৫০ মার্কিন ডলার

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদি সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ১২৫ মার্কিন ডলার
  • জরুরি বিতরণঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার

৬৪ পৃষ্ঠা ৫ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ১৫০ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ২০০ মার্কিন ডলার

৬৪ পৃষ্ঠায় এবং ১০ বছর মেয়াদীসহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ২২৫ মার্কিন ডলার

বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে শ্রমিক ও ছাত্র কত খরচ হবে তা জেনে নিন।

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৩০ মার্কিন ডলার
  • জরুরি বিতরণঃ ৪৫ মার্কিন ডলার

৪৮ পৃষ্ঠা এবং ১০ বছর মেয়াদী সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ৫০ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ৭৫মার্কিন ডলার

৬৪ পৃষ্ঠা এবং ৫ বছর মেয়াদি সহ পাসপোর্ট

  •  নিয়মিত বিবরণঃ ১৫০ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ২০০ মার্কিন ডলার

৬৪ পৃষ্ঠায় এবং ১০ বছর মেয়াদি সহ পাসপোর্ট

  • নিয়মিত বিবরণঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার
  • জরুরী বিতরণঃ ২২৫ মার্কিন ডলার

অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ

অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফর পূরণের জন্য প্রথমে ই-পাসপোর্ট পোর্টালে ওয়েবসাইটে লিংক প্রবেশ করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটের দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করার ফরম পূরণ করতে হবে ফরম পূরণ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে কারণ ভুল তথ্যের কারণে আবেদন বাতিল হতে পারে। অনলাইন আবেদন ফর্মটা পূরণ করার জন্য অনলাইন আবেদন ওখানে ক্লিক করেন।

অনলাইন-আবেদন-ফরম

তারপরে অপশনে আপনার প্রয়োজন এড্রেস দিয়ে কন্টিনিউতে ক্লিক করেন এভাবে আপনি আপনার অনলাইন ফর্মটা পূরণ করবেন। এভাবে আপনি আপনার প্রত্যেকটা ধাপ পূরণ করে অনলাইন ফর্মটা পূরণ করবেন।

অনলাইন-আবেদন-ফরম (2)

ই-পাসপোর্ট কি

ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে একটি এমবেডেড ইলেকট্রিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ রয়েছে।ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্ট ধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে মাইক্রোপ্রসেস চিপ (কম্পিউটার চিপ) এবং এন্টেনা সহ স্মার্ট কার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।পাসপোর্ট এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ও মোবাইল ব্যাংকিং লোন

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট এর যে সকল বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হয় তা হলো ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দ্বারা পাসপোর্ট চিপের বাইরে বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্য গুলো তুলনামূলক যাচাই করা হয়। পাবলিক অবকাঠামো (PKI) এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চিপ ইলেকট্রনিক সংরক্ষিত ডাটা যাচাই করা হয়।

এটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে জালিয়াতি করা কঠিন। এ পর্যন্ত ১২০টি দেশে ই পাসপোর্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। এটি মূলত প্রচলিত পাসপোর্ট এর থেকে উন্নত একটি পাসপোর্ট ব্যবস্থা যা ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার একটি অংশ।

ই- পাসপোর্ট মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভ্রমণকারীরা আরো সহজ এবং দ্রুতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করতে পারবে।

ই পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আবেদনপত্রে সারাংশ প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)।
  • সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন নথি)।
  • পেমেন্ট স্লিপ (for Offline Payment only)।
  • পূর্ববতী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি যদি থাকে।
  • সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC যদি থাকে।
  • আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি।
  • তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি থাকে

ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশনাবলী

কি পাসপোর্ট ফরম পূরণের সময় কিছু নির্দেশনা বলে থাকে। নির্দেশনাবলী জানার জন্য ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েব সাইটে গিয়ে ওখানে ক্লিক করতে হবে।

নিদের্শনাবলী

ক্লিক করার পর এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে নির্দেশ পেয়ে যাবেন। এখানে লিংক দেওয়া হল ওয়েবসাইটের।

পাসপোর্ট আবেদনের ফরম ডাউনলোড

ই-পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর একটি অনলাইন আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ফরমটি পূরণ করে প্রয়োজনে কাগজপত্র সহ পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন এডিট করার জন্য e-Passport Offline-Editable From ও ডাউনলোড করা যেতে পারে। ওয়েবসাইটের এই লিঙ্কে যান। যা যা চাইবে তাই দিয়ে নিয়ম অনুসারে আপনার পাসপোর্ট আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

১০ বছর মিয়াদি ই পাসপোর্টে আবেদন করতে কি কাগজপত্র লাগে

সাধারণত দুইভাবে পাসপোর্ট করা যায়। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি। আমরা এখন জানবো ১০ বছর মেয়েদের পাসপোর্ট করতে গেলে কি কি কাগজ  লাগে।

  • মূল জাতীয় পরিচয় পত্র বা এর অনলাইন প্রিন্ট কপি।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং এর কপি।
  • পুরনো মেসিন রেডিবল পাসপোর্ট এমআরপি কপি যদি থাকে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদ।
  • ব্যক্তির পেশা নিম্নরূপে যেন স্টুডেন্ট আইডি কার্ড সার্টিফিকেট অথবা চাকরির পরিচয় পত্রের কপি।
  • বিবাহিতদের ক্ষেত্রে নিকাহনামা।
  • সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য NOG/GO।
  • এবং পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন ফ্রি পরিষদের সংক্রান্ত রশিদ।

ই-পাসপোর্টে টাকা জমা দেয়ার নিয়ম

ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার শেষ পর্যায়ে পাসপোর্ট ফ্রি দিতে হয় এবং ই পাসপোর্ট এর টাকা জমা দেওয়ার জন্য সক্রিয় ও চালান পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে হবে। চলুন তাহলে এ পাসপোর্ট করার জন্য ফ্রি পরিশোধ এর নিয়ম গুলো জেনে নিন।

  • প্রথমে ভিজিট করতে হবে Automated Challan System Bangladesh ওয়েবসাইটে।
  • পাসপোর্ট অপশন থেকে ই পাসপোর্ট ফি লিঙ্কে ক্লিক করুন।
  •  পাসপোর্ট কয় পাতা এবং কত বছর মেয়াদ তা সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
  • পরিচয় সনাক্ত করতে পাসপোর্ট আবেদনের সময় ব্যবহার করা আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে ভেরিফাই করুন।
  • মোবাইল নাম্বার টাইপ করুন
  • প্রেমের গেট ওয়াল সিলেট করুন।
  • এবং পেমেন্ট সম্পূর্ণ করুন।
  • পেমেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম (MFS-Mobile Financing Service) এর বিকাশ নগদ উপায় সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং চ্যানেল।

FAQ: ই- পাসপোর্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে?

উত্তরঃ পাসপোর্ট পেতে সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবো?

উত্তরঃ বাংলাদেশের অফিশিয়াল পাসপোর্ট ওয়েব সাইটে যান আপনারা আবেদনপত্র আইডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে বিবরণ লিখুন এবং আপনার পাসপোর্ট অবস্থা দেখার জন্য নিদের্শাবলী অনুসরণ করুন।

প্রশ্নঃ ই-পাসপোর্ট চেক করব কিভাবে?

উত্তরঃ আপনার ই পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা জানতে আপনি এই সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন আইডি ( ওআইডি) এবং জন্ম তারিখ দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন।

প্রশ্নঃ পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ পাসপোর্ট রিনিউ করার খরচ নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠা এবং কত বছরের জন্য পাসপোর্ট নবায়ন করছেন তার উপরে।

শেষ কথা ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ এবং অনলাইন আবেদন ফরম

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ এবং অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য যা যা তথ্যের প্রয়োজন তা ওপরে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্ট থাকাটা অনেক জরুরী। কি পাসপোর্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের এর বড় সাফল্য। এটি শুধু নাগরিক সেবা উন্নত করেনি বরং দেশের ভাবমূর্তি তো বিশ্ব দরবারে ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপনা করেছেন।

 যারা এখনো পুরনো এমআরপি পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন তাদের দ্রুত ই পাসপোর্টে রূপান্তর করা উচিত।কারন ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভ্রমনে ই পাসপোর্ট ছাড়া চলাচল সীমাবদ্ধ হতে পারে। সঠিক তথ্য দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা সহজ পাওয়া যায়। কি পাসপোর্ট এর একটি বড় সুবিধা হল মেসন লেডি বল হাওয়ায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রতে দ্রুত প্রসেসিং হয় যা ভ্রমণকারীদের জন্য সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।

এখন পাসপোর্ট বানাতে যেয়ে লাইনে ঘন্টা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এ পাসপোর্ট শুধু ভ্রমণ নাই বরং এক বিশ শতাব্দীর ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনার যদি এই পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। তাহলে আপনার মতামতি কমেন্ট বক্সে জানান ধন্যবাদ



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url