ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে A to Z


ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বর্তমান যুগে একটি নতুন আশার আলো। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সকলে কম বেশি জানি।ডিজিটাল মার্কেটিং কি, এর কাজ কি, কোথায় শিখব, এবং কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করব এসব প্রশ্ন অনেকের মনে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং  

ডিজিটাল-মার্কেটিং -সম্পর্কে

এ টু জেড জানতে চান তাহলে এ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনি যদি অনলাইন বা অফলাইন কে দুই মাধ্যমে ব্যবসা প্রচার করতে চান তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন তাহলে নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হল।

পেজ সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে A to Z

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি। ডিজিটাল মার্কেটিং হল ডিজিটাল প্রযুক্তি বা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা বা পণ্যের বিজ্ঞাপন বা ভিডিও প্রচার করা। যেমন facebook, instagram, youtube ইত্যাদি মাধ্যমে। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তি আছে যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর সেই সাথে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সারা বিশ্ব জুড়ে রয়েছে। আপনি চাইলে ঘরে বসে নেটওয়ার্কের সাহায্যে আপনার ব্যবসার পণ্য অনলাইনে প্রচার করতে পারেন খুব সহজে।

আপনি দুই ভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। অনলাইন ও অফলাইন। অনলাইনে ব্যবসা পণ্য বা বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য আপনি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কের সাহায্যে সারা বিশ্বে  করতে পারবেন। অফলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি টিভিতে বিজ্ঞাপন সাইনবোর্ড প্রচারের মাধ্যমে করতে পারবেন। এতে আপনার সময় অনেক ব্যয় হবে।

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একটি সফলতার সিঁড়ি। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে আপনি সফলভাবে ব্যবসা করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেটের সাহায্যে  পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করার মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং এ সব চেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ক্লায়েন্টদের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া আপনার পণ্য। ক্লায়েন্টদের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয় আপনার।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ কি

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনার পণ্য বা সেবা দ্রুত অনলাইনের মাধ্যমে প্রচার করা যায়। এতে করে আপনার সময় কম লাগে। বর্তমান বিশ্বের মানুষ ইন্টারনেট সাহায্য অনলাইনে বেশি থাকে। তাই আপনার ব্যবসা ক্ষেত্রে অডিয়েন্সেদের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং জ্ঞান দক্ষতা প্রয়োজন। আপনি যত ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা থাকবে তত  ব্যবসা সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রকারভেদ ও বিভিন্ন শাখা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ ও বিভিন্ন শাখা বা উপাদান রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হলে আমাদের প্রকারভেদ ও বিভিন্ন শাখা বা উপাদান গুলোর সম্পর্কে জানা অনেক জরুরী। আসুন তাহলে আমরা নিচে জেনে নিন।

অ্যানালিটিক্স, ব্লগিং, কন্টেন মার্কেটিং, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন, ইমেইল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, হ্যাশট্যাগ,Influencer marketing,Journey mapping, কিওয়ার্ড, ল্যান্ডিং পেজ, মোবাইল মার্কেটিং,Native Advertising, অপটিমাইজেশন,PPC (Payper Click),Quality Score,Remarketing,SEO (Search Engine optimization),Target Audience,UX/UI, ভিডিও মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট,XML Sitemap, ইউটিউব মার্কেটিং, জুম মার্কেটিং,এফিলিয়েট মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এ টু জেড গাইড লাইন

ডিজিটাল মার্কেটিং করতে গেলে একটা লম্বা তালিকা হয়ে যাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ অনেক গুলো শাখা রয়েছে। কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটিং সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলো।

অ্যানালিটিক্স (Analytics): আপনার কনটেন্ট, ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পারফরম্যান্স পরিমাপ করার জন্য গুগল অ্যানালিটিক্স, ফেসবুক ইন্সাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট এর অবস্থান জানতে পারবেন। কন্টেনটার ঠিক ভাবে কাজ করছে না করছে না।

ব্লগিং (Blogging): ব্লগিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনি যে একটা কনটেন্ট লিখবেন লেখার পরে সেটাকে রাখার জন্য আপনার একটা ওয়েবসাইট বা ব্লগিং এর দরকার। ব্লগিং হচ্ছে কন্টেন মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।SEO লিখে অর্গানিক ট্রাফিক আনা যায় আপনার ওয়েবসাইটের জন্য।

কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing): আর্টিকেল, টেক্সট, ছবি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স,পডকাস্ট,ইমেল নিউজলেটার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। কনটেন্ট মার্কেটিং হল কন্টেন্ট তৈরি এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে এবং তাদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি করা যায় যাতে তারা আপনার পণ্য বা সেবা সহজে নিতে পারে।Content is king বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং কে।

ডিজিটাল বিজ্ঞাপন (Digital Ads): ডিজিটাল বিজ্ঞাপন হল অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার করা। এটি অনলাইন বিজ্ঞাপন ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন বা ওয়েব বিজ্ঞাপন নামেও পরিচিতি। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টেক্সট, ছবি, ভিডিও এবং অডিও বিভিন্ন মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। আবার গুগল এডস, ফেসবুক এডস, ইউটিউব এডস এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী বিজ্ঞাপন চালানো।

ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing): ইমেল মার্কেটিং হল একটি কার্যকর উপায় বা ব্যবসার প্রচার, পণ্য বা সেবা অডিয়েন্সদের আকর্ষণ করেএবং ব্যবসা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার সাবস্ক্রাইবারদের ই-মেইলে পাঠিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার করা হয়।Automation tools যেমন Mailchimp,GetResponse ব্যবহার করা হয়।

ফেসবুক মার্কেটিং (Facebook Marketing): ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক পেজ, গ্রুপ, অ্যাড এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং ও বিক্রি করা যায়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) :SEO হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যেখানে মানুষ গুগল কোন কিছু লিখে সার্চ করে বা খোঁজার জন্য যায়। আপনি একটা কিছু খুঁজছেন তা জানার জন্য গুগলের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে যাবেন। আবার আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে সেটাকে গুগলের প্রথম দিকে আনার জন্য যে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে অপটিমাইজ করা এটাই হচ্ছে SEO। আপনার কন্টাক্ট থেকে গুগলের প্রথম দিকে আনার জন্য আপনার ওয়েবসাইট জন্য কৌশল ব্যবহার করতে হবে।যেমন On-page SEO,Off-page SEO এবং Technical SEO অন্তর্ভুক্ত।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ব্যবসায়িকেরা তাদের পণ্য বা সেবা ও বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির যে পদ্ধতি ব্যবহার করে তাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। যেমন facebook, instagra, twitter, lingdom, প্রিন্টারেস্ট ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসায়ীক এবং কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। আর এটা কে সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বলে। সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রচার করা সাথে সাথে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এবং অডিয়েন্সের কাছাকাছি যাওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলতে গেলে এটা  মানুষের জীবনে নতুন আশার আলোর পথ। যা মানুষকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলছে। সেই সাথে মানুষ প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এখন বর্তমানে মানুষ অনলাইনে মাধ্যমে বেচাকেনা করছে। আর কিছুদিন পরে দেখা যাবে মানুষ সবকিছু নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করবে।

 ঘরের বাইরে যে আর কোন কাজ করতে হবে না। এতে মানুষের সময় এবং খরচ কম হবে। আপনি যদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন ব্যবসা করবেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা বা জ্ঞান অর্জন করেন। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি হবেন একজন সফল ব্যবসায়ী বা সফল একজন মানুষ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করতে চান। তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এই জন্য আপনাকে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্স করা লাগবে। অনলাইন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এর মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকোর্স করতে পারেন। ইউটিউব থেকেও শিখতে পারেন। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বুঝে তাদের কাছে যেও শিখতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকলে আপনি কোন কাজে সফল হতে পারবেন না। তাই ডিজিটাল মার্কেটে সম্পর্কে আগে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করুন। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে কাজ করতে পারবেন। এবং নিজের ব্যবসা সঠিকভাবে করতে পারবেন। সেই সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

কেন ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ

বর্তমান যুগে আপনি যদি সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লাগবে। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যবসার প্রচার জন্য অত্যন্ত জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব সহজে একটি বিশাল সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায় এবং ব্যবসার প্রচার করা যায়।

  • ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইমেইল মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
  • পণ্যের বিজ্ঞাপন করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এ খরচ অনেক কম।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট বয়স লিঙ্গ আগ্রহী বা অঞ্চলের গ্রাহকদের টার্গেট করা যায় খুব সহজে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায় বা রিয়াল টাইম ডেটা বিশ্লেষণ করে কৌশল পরিবর্তন করা যায় পরবর্তীতে আবার কি করব।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডের পরিচিত দ্রুত বৃদ্ধি করা যায় যা অডিয়েন্সদের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করা যায়।
  • আপনি যদি সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে সহজে আপনার পণ্য বিক্রি করা যায়।
  • অনলাইন অফলাইন দুইভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার করে ব্যবসা করা যায়।

 লক্ষ্য নির্ধারণ করুন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য লক্ষণ নির্ধারণ করার জন্য পাশাপাশি ব্যবসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলো নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল তৈরি করতে হবে। লক্ষ্যগুলো অবশ্যই স্মার্ট হতে হবে যেমন পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক এবং সময়বদ্ধতা হতে হবে।

  • প্রথমে আপনাকে নতুন গ্রাহক অর্জন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর লিড তৈরি করা এবং বিক্রয় বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে হবে।
  • ব্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার বাড়ানো ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের আগমন বাড়ানো ব্র্যান্ডের পরিচিতি করতে হবে।
  • ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সার্চ ইঞ্জিন  অপটিমাইজেশন এসইও এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে আরো বেশী দর্শক নিয়ে আসতে হবে।
  • লাইক কমেন্ট শেয়ার এবং ফলোয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
  • ওয়েবসাইটের ফরম পূরণ করা এবং অন্যান্য বিষয়ের গ্রাহকদের তথ্য সংগ্রহ করা লিড জেনারেশন এর মাধ্যমে।
  • অনলাইন ইনস্টোর বা ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা।
  • গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা।

উদাহরণস্বরূপ যদি কোন ব্যবসা লক্ষ্য হয় নতুন গ্রাহক অর্জন করা তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। উদারন থেকে এটা স্পষ্ট যে লক্ষ নির্ধারণ করার পর থেকে লক্ষ অর্জনের একটি সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করা প্রয়োজন এ পরিকল্পনা কোন কোন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করা হবে কত বাজেট  এবং কিভাবে কার্যক্রম  পরিচালনা করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকবে।

সময় ব্যবসার বর্তমান অবস্থা বাজারে পরিস্থিতি এবং প্রতিযোগিতার কার্যকলাপ বিবেচনা করা উচিত ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে।

লক্ষ নির্ধারণ করার সাথে সাথে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে চলুন আমরা এখন কৌশল গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

  • Facebook instagram সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন চালানো।
  • এসইও এবং এসএমএসের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনিয়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা।
  • ব্লক বা ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করা।
  •  ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ রাখা।
  • Affiliate marketing এর মাধ্যমে অন্যদের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রচার করা।

প্রয়োজনীয় টুলস ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস প্রয়োজন। এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়টি টুলস হল। কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবস্থাপনার জন্য ক্যানভাস, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার জন্য হ্যাশট্যাগ বা Buffer, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর জন্য Ahrefs বা  SEMrush, ইমেল মার্কেটিং এর জন্য Mailchimp বা Constant Contact, এবং অ্যানালিটিক্স ও ট্র্যাকইংয়ের জন্য Google Analytics বা Google Tag Manager। এছাড়াও মার্কেটিং অটোমেসন গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার সি আর এম জন্য টুলস এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় টুলস ডিজিটাল marketing এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সেরা ৪টি ল্যাপটপ ২০২৫

এ টুলস গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে বিভিন্ন দিক যেমন কনটেন্ট তৈরি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনা এসইও ইমেইল মার্কেটিং এবং গ্রাহক সম্পর্কে ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে থাকে এই টুলগুলোর কার্যকর ব্যবহার আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচার আরও শক্তিশালী হতে পারে।

FAQ: ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শিখানো হয়?

উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর শিখানো হয় এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কন্টেন মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এস এম এম, অ্যাফালিয়েন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ই-কমার্স প্রোডাক্ট মারকেটিং, সিপিএ মার্কেটিং।

প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনক কে?

উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনক ফিলিপ কোটলার।

প্রশ্নঃ পৃথিবীতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা কেন?

উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে টার্গেট করতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়ার গুগল ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং ৮ প্রকার।

প্রশ্নঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি আইটি জব?

উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভবত একটি আইটি কাজ নয় প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

প্রশ্নঃ4P এর জনক কে?

উত্তরঃমার্কেটিং এর ৪টি পি (4Ps) এর জনক হলেন ই.জেরোম ম্যাকার্থি।

শেষ কথা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে A to Z

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনার ধারণা এসেছে। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ব্যবস্থা করতে চান তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি একটি ভাল পথ অবলম্বন করেছেন নিজেকে সফল একজন ব্যক্তি হিসেবে তৈরি করার জন্য।

 আপনার যদি আর ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু জানার থাকে তাহলে আপনার মতামত কমেন্ট করতে জানান। আপনার যদি আর্টিকেলটা পড়ে উপকারে আসে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন ধন্যবাদ



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url