মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ঘরে বসেই সফল হোন


মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন। কিভাবে মাসে ৩০০০০ টাকা আয় করে ঘরে বসে সফল হতে পারব। বর্তমান সময়ে অনেকে ঘরে বসে বা চাকরির পাশাপাশি আয়ের সুযোগ খুঁজছে। আবার অনেকে ভাবেন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা কি সম্ভব।

মাসে-৩০-হাজার- টাকা-আয়-করার- উপায়

উত্তর হল হ্যা, এটা সম্ভব যদি আপনি সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য, শ্রম এবং স্কেল ডেভলপ করতে পারেন। নিচে আমরা ৭টি কার্যকর উপায় ও কৌশল আলোচনা করেছি যা অনুসরণ করলে ঘরে বসে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

পেজ সূচিপত্রঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ঘরে বসেই সফল হোন

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা এখন আর অসম্ভব নয়। আপনি চাইলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা অনেক। তাদের বেকারতা দূর করতে  এবং মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে আপনাকে একটি স্কেল কাজে লাগে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করতে হবে। ধরেন ছোট ব্যবসা, কেকের ব্যবসা, পোশাক বা কসমেটিক বিক্রি করা।

এর জন্য আপনাকে সময় ও পরিশ্রম বেশি লাগে ধারাবাহিকতা থাকলে সফলতা নিশ্চিত পাবেন। তার জন্য আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে মাসের ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। নিজের চলুন আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় কিভাবে করবেন সেটার বিস্তারিত সম্পর্কে আমরা জানব।

ফ্রিল্যান্সিংএর মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। এখানে আপনার কাজের স্বাধীনতা আছে। আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং হল অনলাইন ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে অর্থ উপার্জনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। যেমন ফাইবার, আপ ওয়ার্ক এবং ফ্রিল্যান্সার ডটকম এর মত প্লাটফর্মে কাজ করে টাকা উপার্জন করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি স্কেল ভালোভাবে শিখতে হবে। সে স্কেলটা যদি আপনি ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি মাসে ৩০০০০ টাকা বা তার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। কাজগুলো হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং এবং ডাটা এন্ট্রি। এর ভিতর থেকে আপনাকে একটা ভালোভাবে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যে ১১ টি বিষয় জানা প্রয়োজন

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে যে আমি কিভাবে এ কাজটা শুরু করব। তাহলে আপনাকে প্রথমে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। আপনি যে কাজ শিখেছেন সে কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে। প্রথমে আপনি ছোট্ট প্রজেক্ট দিয়ে কাজ শুরু করুন। রিভিউ ও রেটিং ভালো হলে বড় প্রজেক্ট পাওয়া সহজ হয়।

এখন তাহলে আপনার মনে হচ্ছে এখান থেকে তাহলে কত টাকা আয় হবে। আমি আপনাকে উত্তরে বলব প্রথমদিকে ১০-১৫ হাজার টাকা হবে। আর আপনার অভিজ্ঞতা যখন বেশি হবে তখন আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং হল ঘরে বসে মাছের ত্রিশ হাজার টাকা আয় সব চেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়

আপনি যদি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তারা একটি মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এর জন্য আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। কোথায় কিভাবে কাজ করলে টাকা ইনকাম করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্রডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের একটি মাধ্যম।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ধরন আবার কি। এর জন্য আমাকে কি কাজ করতে হবে কোথায় গেলে কাজ পাবো। আমি আপনার এসব সমস্যা সমাধান দিচ্ছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ধরন হলো যেমন সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম), SEO, কন্টেন মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং।

এখন আপনি ভাবছেন কিভাবে আয় করা যায় এসবের মাধ্যমে। চলুন তাহলে জেনে আসি লোকাল বিজনেস বা অনলাইন কোম্পানি জন্য কাজ করা। যেমন ধরেন আপনি কোন কোম্পানি এর প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে তথ্য প্রচার করে দিলেন। আপনার প্রচারিত তথ্য দেখে কেউ যদি সে কোম্পানির প্রোডাক্ট কিনে নিতে চাই সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। ক্লাইন্ট একবার পাওয়া গেলে নিয়মিত মাসিক আয় সম্ভব।

আপনি এখন ভাবছেন এখান থেকে কত আয় হবে তবে বলি আপনাকে শুনুন এখান থেকে আপনি যদি কাজ করতে পারেন তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সহজ বিশেষ করে যদি একাধিক ক্লায়েন্ট থাকে।

ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়

ব্লগিং আবার কি এটা করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এমন ধারণা মনে হচ্ছে। ব্লগিং মানে নিজস্ব ওয়েবসাইট লিখে মানুষের জন্য তথ্য ও সমাধান দেওয়া। বা ব্লগিং এ আপনি আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে মানুষের কাছে আপনার তথ্য  প্রকাশ করছেন। এই এই ব্লগিংয়ে মাধ্যমে ভিজিটর আসলে গুগল এডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করা যায়।

এখন আপনার মনে হচ্ছে যে আমি কি বিষয় নিয়ে লিখব। আপনি লিখতে পারেন যেমন স্বাস্থ্য ও ফিটনেস, প্রযুক্তি বা গেজেট, রান্নার রেসিপি, শিক্ষা সম্পর্কিত টিপস, অজানা তথ্য এবং প্রোডাক্ট রিভিউ এ জাতীয় কনটেন্ট ব্লগে আপনি লিখতে পারেন।

এখন আপনি ভাবছেন আমি তো কাজ জানিনা কিভাবে শুরু করব। এর জন্য প্রথমে আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনুন। ওয়ার্ড প্রেস বা ব্লগার ব্যবহার করুন।SEO অনুশীলন করুন।

আয় কেমনে হবে এটা ভাবছেন। আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি প্রথম দিকে৩-৪ মাসে আয় কম কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে বা হবে। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে।

FAQ: সচরাচর প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ কাজ না করে টাকা আয় করার উপায় কি কি?

উত্তরঃ কাজ না করে টাকা আয় করার কোন উপায় নাই। কাজ ছাড়া টাকা ইনকাম করার কোন রাস্তা নাই তাই টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই কাজ করতে হবে। তবে আপনি যদি ঘরে বসে কাজ করতে চান বা কম পরিশ্রমে আয় করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।

প্রশ্নঃ মেয়েরা কিভাবে ঘরে বসে আয় করতে পারবে?

উত্তরঃ বর্তমানে আধুনিক যুগে এসে মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে আয় করতে পারবে। এর জন্য কিছুর জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব  চ্যানেল, অনলাইন কোর্স বিক্রি  এবং কন্টেন্ট রাইটিং। এছাড়াও মেয়েরা এখন অনলাইন ব্যবসা করতে পারে। যেমন বুটিকের ব্যবসা, কাপড়ের ব্যবসা এবং কেকের ব্যবসা।

প্রশ্নঃ অনলাইনে কোন কোন কাজ করা যায়?

উত্তরঃ অনলাইনে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা এবং অনলাইন কোর্স বিক্রি করা। এছাড়াও আপনি অনলাইন সার্ভিস, প্রোডাক্ট টেস্টিং এবং আপনার হাতে তৈরি পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়।

প্রশ্নঃ অনলাইন মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহী কেন?

উত্তরঃ অনলাইনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ হলো কন্টেন্ট ভিডিও। বর্তমানে মানুষ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিওর প্রতি বেচে আকর্ষিত হয়েছে। বর্তমানে এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের সব কিছু জানা যায় এ কনটেন্ট ভিডিওর মাধ্যমে।

প্রশ্নঃ অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক কাজ কি?

উত্তরঃ অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক কাজ হচ্ছে ডিজিটাল পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে ই-বুক, অনলাইন  কোর্স ওয়েবসাইট টেমপ্লেট এবং ছবি বা ভিডিওর মত ডিজিটাল মিডিয়া এসব কাজগুলো অনলাইনে সবচেয়ে লাভজনক কাজ।

ইউটিউবে এর মাধ্যমে টাকা আয় করার উপায়

ইউটিউব হচ্ছে একটি তথ্য প্রচারের মাধ্যম। যেখান থেকে মানুষ বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। আর এ পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষ youtube থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

এখন আপনি ভাবছেন কিভাবে কাজ শুরু করব। আপনাকে ইউটিউবে কাজ করার জন্য প্রথমে মোবাইল বা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও বানান। আপনি এমন সব কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও বানাবেন যেমন রান্না, টিউটোরিয়াল, ব্লগিং রিভিউ, এনিমেশন ভিডিও, বিনোদনমূলক ভিডিও বা শিক্ষামূলক ভিডিও। এসব কাজের জন্য ফ্রি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করুন।

ইউটিউবে থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে মনিটাইজেশন অন করা লাগবে। এবং তাহলে আপনি ভাবছেন মনিটাইজেশন কিভাবে হবে। এর জন্য আপনাকে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইমের ফ্লপ করতে হবে। তাহলে আপনি google মনিটাইজেশন পাবেন।

এখানে কি আয় করা সম্ভব, অবশ্যই সম্ভব আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে ভিউ অনুযায়ী প্রথম দিকে কম এবং আপনি যদি প্রতিদিন ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকা সহজে আয় করা সম্ভব।

অনলাইন টিউশন বা কোর্স বিক্রি করে টাকা আয় করা উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো অনলাইন টিউশন বা কোর্স বিক্রি করা। আপনি বিভিন্ন অনলাইন এর মাধ্যমে টিউশনি বা কোর্স বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনার মনে হচ্ছে কাকে শিখাবো বা কিভাবে করব প্রথমে আপনি টার্গেট করেন স্কুল বা কলেজের ছাত্র বা ছাত্রী। এরপরে আপনি ইংরেজি কম্পিউটার স্কেল বা প্রফেশনাল কোর্স তৈরি করা কাজ করতে পারেন।

আপনি এখন ভাবছেন তাহলে আমি কিভাবে কাজটা শুরু করব। আপনাকে Zoom বা Google  Meet এ ক্লাস নিন। ফেসবুক বা youtube এ মার্কেটিং করুন।Udemy  বা Teachable এ নিজের কোর্স আপলোড করুন।

এখান থেকে কত আয় করা সম্ভব কি। ১৫-২৫ জুল শিক্ষার্থী থাকলে মাসে ৩০ হাজার টাকা অর্জন করা খুব সাধারণ ব্যাপার। আপনি খুব ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন মাসে।

হোম বেইজড ব্যবসা করে টাকায় করা উপায়

আপনি ঘরে বসে খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে হোম বেইজড ব্যবসা করে মাসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে বাইরে কাজ করা প্রয়োজন নাই। আপনি ঘরে বসে খুব সহজে কাজগুলো করতে পারবেন।

প্রথমে আপনাকে ব্যবসার ধরুন গুলো ঠিক করতে হবে আপনি কি নিয়ে ব্যবসা করতে চান। তারপরে একটি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ব্যবসার ধরন সম্পর্কে জানতে হবে যেমন কেক, কুকিজ, হেনমোর প্রোডাক্ট। আবার বুটিক বা পোশাক বিক্রি এবং কসমেটিক বা স্কিন কেয়ার পণ্য এসব নিয়ে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসে।

বিক্রি কিভাবে করবেন এটা ভাবছেন এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার ফেসবুক পেজ বা মার্কেটপ্লেসে আপনার প্রোডাক্টগুলো দিয়ে বুস্ট করতে হবে। তারপরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আপনার প্রোডাক্টগুলো আপলোড করতে হবে। নিজের ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট দিয়ে আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন।

আপনার মনে হচ্ছে ব্যবসা করার জন্য পুঁজি লাগবে বা কত পুঁজি দিয়ে শুরু করব। এ ব্যবসা শুরু করতে আপনাকে প্রথমে বেশি টাকা খরচ করতে হবে না। শুরুতে আপনি ৫০০০-১০,০০০ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়।

অ্যাপ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

অ্যাপ দিয়েও আপনি মাসে টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন অ্যাপ সম্পর্কে জানতে হবে। এবং এ অ্যাপ গুলো দিয়ে কিভাবে কাজ করার টাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যেমন Roz dhan,Cashzine,ClipClaps।

এখন ভাবছেন কিভাবে কাজ করব। এটা একবার সহজ প্রথমে ভিডিও দেখুন। ভিডিও দেখার পরে অ্যাপ ব্যবহার করুন। এভাবে আপনি ভিডিও দেখে অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং সেই টাকা বিকাশ বা নগদে তুলে নিতে পারবেন।

এখান থেকে কত আয় করা সম্ভব এটা ভাবছেন। তাহলে আপনি প্রথমে ছোট পরিসরে দিনে ৫০-১০০ টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি যদি নিয়মিত কাজটা করলে মাসের ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

সর্তকতা অবলম্বন করুন

আপনি যে কাজটা করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ সব কিছুরই যেমন ভালো দিক আছে তেমন খারাপ দিক আছে। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা উপায় ঘরে বসে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং কাজ করার সাথে সাথে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ বিনা ইনভেসমেন্ট ছাড়া টাকা ইনকামের ৮ টি অ্যাপস

আপনাকে স্ক্যাম বা ভুয়া ইনভেস্টমেন্ট থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি আগে কাজ শিখুন পরে টাকা ইনভেস্ট করুন। নিজের সময় ও পরিশ্রমের মূল্য দিন।বাস্তব সম্মত লক্ষণ নির্ধারণ করুন। এবং সতর্কতার সাথে কাজ করুন তাহলে সফলতা পাবেন।

FAQ: মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে সবচেয়ে কার্যক্রম উপায় কোনটি?

উত্তর দেশের বেকারত্ব দূর করনের সবচেয়ে কার্যক্রমের উপায় হলো দক্ষ বৃদ্ধি ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কাজের সুযোগ তৈরি করা। বেকারত্ব দূর করতে হলে অবশ্যই কাজের প্রতি আগ্রহী হতে হবে।

প্রশ্নঃ সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং এর বাজার কত ডলারের?

উত্তরঃ২০২৫ সালে সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের আকার প্রায় ৭.৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি প্রতি বছর বেড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৬.৫৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

প্রশ্নঃ একজন ফ্রিল্যান্সার মাসিক আয় কত?

উত্তরঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় দক্ষতা কাজের পরিমাণ ও মার্কেটের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে আয় হতে পারে বিশ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা বা তার বেশিও হতে পারে। এটা তার কাজের উপর নির্ভর করছে।

প্রশ্নঃ লেখালেখি করে আয় করার জন্য কোন ওয়েবসাইট ভালো?

উত্তরঃ লেখালেখি করে আয় করার ভালো ওয়েবসাইট হলো Medium Partner Program,Vocal Media ও HubPages। কেশব প্লাটফর্মে নিয়মিত লিখে আয় করা যায় বিজ্ঞাপন বা ভিউয়ের ভিত্তিতে।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইউটিউব বা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সহজে আয় করা যায়। আয় কিন্তু টাকা ব্যাংক বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে তোলা যায়।

উপসংহার মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ঘরে বসেই সফল হন

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় অনেকেই আছে। ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং ইউটিউব বা বিভিন্ন বুটিক ব্যবসা, কেক ব্যবসা টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি ধৈর্যের সাথে এবং সঠিক পরিকল্পনা থাকলে ঘরে বসে এর পরিমাণে আয় করা সম্ভব। তার জন্য আপনাকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে নতুন স্কেল শিখতে উৎসাহ থাকতে হবে।

আপনি যদি নিয়মিত কাজ করেন নতুন স্কেল শিখেন এবং সুযোগগুলো কাজে লাগান তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকা নয় আরো বেশি আয় করা সম্ভব। এ আর্টিকেল মধ্যে  টাকা আয় করার উপায় ঘরে বসে সফল হন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আপনার যদি আর্টিকেল করে কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এবং আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করেন এবং তাদেরও টাকা আয় করার সুযোগ দেন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url