ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার সহজ ৮টি উপায়

ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার সহজ উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি ভাবছেন ব্যবসা করবেন কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। আপনি যদি অনলাইনে ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

ঘরে-বসে-কসমেটিক-ব্যবসা-শুরু

জানতে হবে কিভাবে ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়। আর্টিকেলে প্রত্যেকটা ধাপে বোঝাবো ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা কিভাবে শুরু করা যায়।এই আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আপনার একটা ধারণা চলে আসবে কিভাবে আপনি ব্যবসাটা শুরু করবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার সহজ ৮টি উপায়

ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করা সহজ উপায়

 ঘরে  বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বাজার ও পণ্যের ধরন নির্বাচন করতে হবে। ব্যবসা করতে চাইলে তো আর করা যাবে না। এর জন্য চাই একটি ধারণা। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে সেটি আপনার লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে।

যারা ব্যবসার কথা চিন্তা করছেন বা ভাবছেন কসমেটিক ব্যবসা শুরু করব তারা একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বর্তমান বাজারে কসমেটিকের পণ্য সামগ্রী চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এখন শুধু মেয়েরা কসমেটিক ব্যবহার করে তা কিন্তু নয়। বর্তমানে ছেলেরাও এখন কসমেটিক ব্যবহার করছে।

আপনি যদি ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য একটু উত্তম পরিকল্পনা। ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কিছু পথ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। যে আপনি ব্যবসাটি কিভাবে করতে চান আর কেন বা করতে চান। বর্তমানে এখন অনেক মানুষ ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কসমেটিক ব্যবসা।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করা

আপনি যদি ঘরে বসে কম পুঁজিতে কসমেটিক ব্যবসা করতে যান তাহলে সব চেয়ে সুবিধা জনক হচ্ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার বা আধুনিক প্রযুক্তির। ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আপনার পণ্য আপনি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। আগের দিনের মানুষকে দেখেছি ব্যবস্থা করেছে মাথায় পণ্য নিয়ে ঘুরে ঘুরে। কিন্তু এখন আর এত কষ্ট হয় না শুধু একটু মেধা এবং সঠিক পরিকল্পনা আপনার ব্যবসা কে সফলতার দাড়ি নিয়ে যাবে।

আপনি ঘরে বসে কিভাবে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করবেন তার সহজে ৮ টি উপায় সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করব। যাতে আপনি খুব সহজে ঘরে  বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর আপনার ব্যবসা ভালোকে একটি লাভজনক এবং নিজের একটি ব্যান্ড তৈরি করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিন।

কসমেটিক ব্যবসা কেন লাভজনক

এখন আপনার মনের প্রশ্ন আসছে কসমেটিক ব্যবসা কেন লাভজন। কসমেটিক ব্যবসা কেন করব। বর্তমানে কসমেটিকের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কারণ এটি মানুষের একটি জীবনের অংশ। বাংলাদেশের প্রসাধনী বাজার প্রতি বছর দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আর সেই সাথে বাড়ছে মানুষেরও চাহিদা। বর্তমানে মানুষ দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র ব্যবসা থাকে লাভজনক করার জন্য।

আবার অনেকেই বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে বা দেশীয় হারবাল প্রোডাক্ট তৈরি করে সফল হয়েছে। যেহেতু কসমেটিক প্রোডাক্ট আমাদের দৈনিন্দন জীবনের ব্যবহারের জন্য এ পণ্যের চাহিদা রয়েছে তাই এর বিক্রি অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এ ব্যবসা খুব জনপ্রিয় ও লাভজনক একটি উদ্যোগ।তবে মেয়েদের জন্য ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা করা ভালো একটি দিক।

কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক পরিকল্পনা

আপনি যদি কসমেটিক ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটি সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে না আপনি যেকোনো কাজ করতে যান আপনাকে আগে পরিকল্পনা করা দরকার। কারণ পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজে সফলতা সম্ভব না।তাই ব্যবসা শুরু করার আগে একটি পরিকল্পনা করা জরুরী।

আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনি কোন ধরনের কসমেটিক পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান। সে সাথে আপনাকে টার্গেট করতে হবে আপনি কাদেরকে নিয়ে ব্যবসা করতে চান। আপনার ক্রেতা কোন লোকগুলো হবে। যেমন তরুণ, গৃহিণী অথবা মেকআপ আর্টিস্ট। এরপর আপনাকে একটা বাজেট নির্ধারণ করে ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা ও সময় সীমা ঠিক করতে হবে।

কোন ধরনের কসমেটিক পণ্য বেছে নিবেন

কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে কসমেটিক পণ্য বেছে নেওয়া। কারণ একসাথে সব প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয় নতুন অবস্থায়। তাই আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করতে চান। এজন্য আপনাকে বাজার চাহিদা সম্পর্কে বুঝতে হবে।

আপনাকে শুরুতে কয়েকটি জনপ্রিয় ও সহজ বিক্রয় যোগ্য পণ্য দিয়ে শুরু করাই ভালো। যেমন লিপিস্টিক, ফাউন্ডেশন, আইলানার, স্কিন কেয়ার ক্রিম, সানসিল্ক, ফেসিয়াল ক্লিনজার এবং হারবাল ফেসপ্যাক ইত্যাদি। আপনি আরো বাজার ঘুরে দেখবেন কোন পণ্যের চাহিদা সব থেকে বেশি। আর সেটা নিয়ে কাজ করলে আপনার ব্যবসার জন্য ভালো হবে।

বর্তমানে অর্গানিক ও হারবাল কসমেটিকের চাহিদা বেশি তাই সেদিকেই নজর দিতে পারেন। আপনি পণ্যনির্বাচন করার সময় অবশ্যই মাথায় খেয়াল রাখবেন আপনি যে পণ্যটা দিয়ে কাজ করতে যান তার চাহিদা যেন মানুষের থাকে। এতে আপনার পণ্য বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কিভাবে পণ্য সংগ্রহ করবেন

পণ্যনির্বাচন করার পরে আপনাকে ভাবতে হবে আপনি পণ্যটি কোথায় থেকে নিবেন বা কিভাবে সংগ্রহ করবেন। কারণ আপনাকে এমন এক জায়গা থেকে পণ্য নিতে হবে যেখান থেকে নিলে আপনার ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে। আপনি যেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করুন না কেন পণ্যের কোয়ালিটি যেন ভাল হয়। যাতে করে আপনার ব্যবসার জন্য উত্তম হয়।

আপনি যদি নিজের পণ্য তৈরি না করেন তাহলে আপনাকে নির্ভর করতে হবে যারা প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে তাদের উপরে। দেশে বেশ কিছু পাইকারি মার্কেট রয়েছে যেমন ঢাকা নিউ মার্কেট, চাঁদনী চক, বং সাল এবং চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার ইত্যাদি। আপনি চাইলে এখান থেকে কম মূল্যে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে ব্যবসা করতে পারেন ঘরে বসে কসমেটিকের।

আবার অনেকে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করছে। তবে বিদেশি পণ্য আনার জন্য আপনাকে একজন বিশ্বাসযোগ্য সাপ্লায়ার খুঁজতে হবে। বিশ্বাসযোগ্য সাপ্লায়ার বেছে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ যাতে করে আপনার পণ্যের গুণ গতমান বজায় থাকে।

কসমেটিক ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অনুমোদন

যদিও আপনি ছোটপরিসরে ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করছেন তারপরও ব্যবসার আইনগত দিকটাক গুরুত্ব সাথে নিতে হবে। প্রথমে ব্যবসা করতে আপনার হয়তো লাইসেন্সের অনুমতি লাগবে না কিন্তু যখন আপনার ব্যবসার বড় হয়ে যাবে বা আপনি বাহির থেকে প্রোডাক্ট আমদানি করতে যাবেন তখন অবশ্যই আপনার লাইসেন্স বা অনুমোদনের দরকার।

এজন্য একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় ট্যাক্স, টিআইএন নাম্বার এবং ব্র্যান্ড রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনি নিজে প্রোডাক্ট তৈরি করবেন তাহলে BSTI বা DGDA অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। এক কথায় বলতে গেলে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে আইনিগত দিকটাও ঠিক রাখতে হবে ।

মার্কেটিং ও প্যাকেজিং

ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার আরেকটি ধাপ হচ্ছে মার্কেটিং। কারণ মার্কেটিং ছাড়া কখনো ব্যবসা সফলতা আনতে পারবেন না। আগের মানুষ ব্যবসা করলে তাদের এই ব্যবস্থা ছিল না যে তারা পণ্যের প্রচারণা চালাবে। তাই তারা কষ্ট করে পায়ে হেঁটে মাথায় পণ্য নিয়ে ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে গেছে প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য। তখনকার মানুষের ব্যবসা করতে প্রচুর কষ্ট হয়েছে।

  • বর্তমানে এ কষ্টটা আর করতে হয় না। কারণ এখন হচ্ছে আধুনিক যুগ। এ আধুনিক যুগে এসে মানুষ ঘরের মধ্যে বসে থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানুষের কাছে তার প্রোডাক্ট এর প্রচারণা চালাতে পারছে। তাই ব্যবসা শুরুর আগে আপনার পণ্যের মার্কেটিং চালাতে হবে। মার্কেটিং চালানোর জন্য আপনি ফেসবুক পেজ, ইন্টারনেট, ইনস্টাগ্রাম এগুলোতে বুস্টিং চালাতে হবে।
  • তারপর সেগুলোতে পণ্যের ছবি, রিলস, ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন। শুরুতে কিছু প্রফেশনাল অফার দিন যেমন ১ কিনলে ১ ফ্রি, ডিসকাউন্ট অফার , রিটার্ন এক্সচেঞ্জ এগুলো যোগ করবেন। সেই সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইলে এসএমএস এর ব্যবস্থা রাখুন।
  • আপনার মার্কেটিং হয়ে গেলে যখন আপনার অর্ডার আসবে তখন আপনাকে এটা খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার প্যাকেজিং ব্যবস্থাটা ভালো হয়। একটি ভালো পণ্যের পাশাপাশি তার প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পণ্যের গায়ে ব্র্যান্ড লোগো, নাম, উৎপাদন, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এবং ব্যবহারবিধে ইত্যাদি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • আকর্ষণীয় ডিজাইন ওরা ব্যবহার করলে পণ্যের প্রতি গ্রাহকের আকর্ষণ বা আগ্রহটা বেশি বাড়ে। একটি স্মরণীয় নাম ও পরিচ্ছন্ন লোগো আপনার ব্যান্ডকে পরিচিত করে তুলবে। এজন্য মার্কেটিং এর পাশাপাশি প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনলাইনে বিক্রির সহজ উপায়

ব্যবসার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অনলাইনে বিক্রি সহজ উপায়। আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করুন না কেন অনলাইন বিক্রির সুযোগ রয়েছে। অনলাইন ব্যবসা বর্তমানে এখন একটি নতুন পথ। যা আপনি ঘরে বসে ব্যবসা করতে পারবেন। আপনি ঘরে বসে কসমেটিকের ব্যবসা অনলাইনে করতে পারবেন। অনলাইনে ঘরে বসে যে কেউ এ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে তার জন্য চায় তার একটু অনলাইন সম্পর্কে জ্ঞান। তাহলে খুব সহজে অনলাইনে বিক্রি করতে পারবে।

আজকের অনলাইনে হল সবচেয়ে কার্যকর বিক্রয়ের মাধ্যম। আপনি নিজের ফেসবুক পেজ ও instagram একাউন্ট খুলে পন্য প্রদর্শন করতে পারেন। চাইলে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে অর্ডার নিতে পারেন। এছাড়া দারাজ, ইবলি এবং বিক্রয় ডটকম এর মত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনার পণ্য তালিকাভুক্ত করা যায়। এজন্য অনেকে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার অনেকে অর্ডার করে থাকেন।

ব্যবসার লাভ-লোকসানের হিসাব করা

আপনি যখন ব্যবসা শুরু করবেন তখন আপনাকে লাভ লোকসানের হিসাব করতে হবে। আপনি কত টাকা দিয়ে প্রোডাক্ট কিনলেন বা বিক্রি করলেন আপনার লাভ হলো না ক্ষতি হলো এসব বিষয়গুলো আপনাকে প্রতিদিন হিসাব করতে হবে। তার সাথে থাকবে ডেলিভারি চার্জ, পরিবহন খরচ, মার্কেটিং খরচ, ইন্টারনেট বিল ইত্যাদি বিষয় কত খরচ হল এবং প্রোডাক্ট বিক্রি করার পরে আপনার কতটুকু লাভ থাকলো তা প্রতিদিন হিসাব করে রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

এজন্য আপনি একটি রেজিস্ট্রেশন খাতা বা কম্পিউটারে এক্সেল সিটে হিসাব করবেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ব্যবসা কতটা উন্নত হচ্ছে। সেই সাথে আপনাকে এটা হিসাব রাখতে হবে  চাহিদা কোন প্রোডাক্টস এর বেশি। আর বেশি বিক্রি হচ্ছে কোন প্রোডাক্ট। আর নতুন নতুন কালেকশন দিয়ে প্রতিদিন আপনার ফেসবুক পেজে ছবি বা ভিডিও আপলোড করবেন। তাহলে সফলভাবে  এবং লাভজনক ব্যবসা হবে।

FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা লাগবে?

উত্তরঃ কসমেটিক ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত লাগতে পারে। যা পণ্যের ধরন ও ব্যবসার পরিসরের উপর নির্ভর করে। তবে ঘরে বসে ছোট ব্যবসা শুরু করলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম হবে।

প্রশ্নঃ কসমেটিক ব্যবসায় লাভ কেমন?

উত্তরঃ কসমেটিক ব্যবসায় লাভের পরিমাণ সাধারণত ৩০% থেকে ১০০% পর্যন্ত হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি সরাসরি উৎপাদক বা পাইকারীর মূল্যয় পণ্য কিনে বিক্রি করেন। মানসম্পন্ন পণ্য ও ভালো মার্কেটিং থাকলে এ ব্যবসা থেকে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব।

প্রশ্নঃ বর্তমানে কোন ব্যবসায় লাভ বেশি?

উত্তরঃ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে হচ্ছে কসমেটিক ও স্কিন কেয়ার ব্যবসা। আরো রয়েছে ই-কমার্স বা অনলাইন পণ্য বিক্রি, ফাস্টফুড, গার্মেন্টস প্রোডাক্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস ও ড্রপশিপিং।

উপসংহার ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করা সহজ ৮টি উপায়

ব্যবসা শুরু করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আপনি কতটুকু সময় দিতে পারবেন বা আপনার ধৈর্য কেমন। কারণ ধৈর্য ও শ্রম ছাড়া কোন কাজে সফলতা আসে না। ঘরে  বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করা যেমন সহজ তেমন সঠিক পরিকল্পনা ও ধারাবাহিকতা থাকলে এটি খুব লাভজনক হয়ে উঠতে পারে । আপনার যদি পণ্যের মান,ব্র্যান্ডিং ও গ্রাহক সেবা মনোযোগ দেন এ তাহলে অল্প দিনে সাফল্য আসবে।

আপনি যদি ঘরে বসে কসমেটিক ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন তাহলেই আজ একটি ছোট উদ্যোগ নিয়ে শুরু করুন। কারণ বড় কিছু সব সময় ছোট থেকে শুরু হয়। এ আর্টিকেল পড়ে আপনার যদি উপকারে আসে তাহলে মতামতি কমেন্ট বক্সে জানান। এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url