পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায় যা ঘরে বসে নিজেকে ফিট করা যায়।বর্তমানে পেটে চর্বি মানুষের দিন দিন বাড়ছে।কাজের চাপের কারণে মানুষ নিজেকেযে একটু ফিটনেস রাখবে সেই সুযোগটা পাচ্ছে না।প্রতিদিনের কাজের ব্যস্ততা কারণে শরীরের দিকে তাকানোর সময় নাই।
যার কারণে দিন দিন পেটে চর্বি বা ভুড়ি বেড়ে চলছে। আর্টিকেলে জানাবো কিভাবে খুব সহজে পেটের চর্বি কমানো ১১টি সহজ উপায়।আপনি নিজে ঘরে বসে একটু সময় ব্যয় করলে এতে করে আপনার শরীর ও ফিটনেস দুটোই ভালো থাকবে। চলুন তাহলে নিচে বিস্তারিত জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়
- পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায় ঘরে বসে
- সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করুন
- প্রতিদিন অত্যন্ত ৩০ মিনিট হাটা বা হালকা ব্যায়াম করা
- পরিমাণ মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা
- প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা
- চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কমানো
- প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো
- স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানো
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান
- ঘরে তৈরি ডিটক্স ড্রিংকস পান করা
- জাঙ্ক ফুড ও সফট ড্রিংক সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা
- নিয়মিত নিজের ওজন ও ফ্যাট পর্যবেক্ষণ করুন
- FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথা পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায় ঘরে বসে
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সাধারণ একটি সমস্যা হল পেটের চর্বি বা বেলি ফ্যাট।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা আছে। এসব সমস্যার কারণ হচ্ছে
অনিয়মিত জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বসে কাজের অভ্যাস, ঘুমের অভাব
ইত্যাদি এসব কারণে ধীরে ধীরে পেটে চর্বি জমে যায়। পৃথিবীতে এমন সব লোক আছে
যারা শুয়ে খাবার খেতে ভালোবাসে। কাজের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নাই। সারাদিন শুয়ে
থেকে থেকে ফোন চালানো তাদের কাজ। এসব কারণে পেটে চর্বি দিন দিন বেড়ে চলছে।
এই অতিরক্ত ফ্যাট শুধু সৌন্দর্যের ক্ষতি করে না বরং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ,
উচ্চ রক্তচাপ ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্টের মত জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে। আবার
অনেকে ভাবে পেটে চর্বি কমানো খুব কঠিন কাজ। কিন্তু আসলে এটা সত্য না একটু ধৈর্য
আশ্রম আর কিছু নিয়ম মাফিক চললে অবশ্যই পেটে চর্বি কমানো সম্ভব। আপনি যদি কিছু
সহজ ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে ঘরে বসে পেটে চর্বি কমাতে পারবেন আসুন
তাহলে নিচের জেনে নিন পেটে চর্বি কমানোর জন্য ১১ টি সহজ উপায়গুলো।
সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করুন
আমাদের শরীরে একটা বিষাক্ত পদার্থ আছে যেটা বের করার জন্য আমাদের গরম পানির
খাওয়ার প্রয়োজন। আপনি যদি সকালে শুরুটা গরম পানি দিয়ে করলে শরীরের টক্সিন বা
বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং মেটাবলিজম দ্রুত কাজ শুরু করে। এর জন্য আপনাকে
করতে হবে।
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে কমে যাওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।এই পানীয়টি প্রতিদিন খালি পেটে পান করলে পেটে চর্বি
দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখবেন আমি খুব গরম নয় হালকা গরম রাখুন।
খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর নাস্তা করবেন।
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা এবং বা হালকা ব্যায়াম করুন
পেটের চর্বি কমানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে প্রতিদিন ব্যায়াম করা বা ৩০ মিনিট হাটা।
ব্যায়াম শরীরের ফিটনেস ভালো রাখে এবং সেই সাথে স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই আমাদের
প্রত্যেকের পেটে চর্বি কমানোর সাথে সাথে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করা
অত্যন্ত জরুরী। তাই চর্বি কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা আমাদের জন্য প্রয়োজন।
প্রতিদিন সকালে বাস সন্ধ্যায় ৩০ মিনিট হাটা, জগিং, দড়ি খেলা,স্কোয়াট বা
যোগব্যায়াম করলে শরীরের ক্যালরি দ্রুত খরচ হয়। এতে করে পেটের চর্বি
তাড়াতাড়ি কমানো যায়।
আরো পড়ুনঃ
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
তবে বিশেষ করে পেটের চারিপাশে মাংসপেশি শক্তিশালী করার ব্যায়াম যেমন
প্ল্যাঙ্ক,লেগ,রেইজ, সাইকেল ব্যায়াম ইত্যাদি ফ্যাট কমাতে সবচেয়ে বেশি
কার্যকর। যদি বাইরে বের হওয়া না যায় তবে ঘরেই হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।
মনে রাখবেন ধারাবাহিকভাবে হলে সফলতার চাবিকাঠি। মন দিয়ে ধৈর্য সহকারে কাজ করলে
কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়।
পরিমাণ মত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা
আমাদের পেটে চর্বি বাড়ানোর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে খাবার। আমাদের খাবারের
কোন নিয়ম নাই। যখন যেভাবে পারে খাবার খেয়ে নেই। এতে করে আমাদের পেটের
চর্বির দিন দিন বেড়ে চলছে। কারো কারো এত বড় ভুরি হচ্ছে যে তা নিয়ে চলাফেরা
করতে অনেক সমস্যা হয়। তাই পেটে চর্বি কমাতে হলে অবশ্যই আমাদের পরিমাণ মতন খাবার
খাওয়ার অভ্যাস করে তুলতে হবে।
তাই আমাদের একবারে অনেক বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে
তুলতে হবে। এতে হজম ভালো হয় এবং শরীরের অতিরিক্ত ক্যালরি জমে না। তবে বিশেষ করে
রাতে ভারে খাবার যেমন ভাত, মিষ্টি, তেলে ভাজা খাবার এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে মস্তিষ্কে বুঝতে
পারে আপনি পরিপূর্ণ হয়েছেন এবং অতিরক্তর খাবার খাওয়া কমে যায়।
প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা
পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায় এর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে পানি পান করা।
পানি পান করার কোন বিকল্প নাই। আমাদেরকে সুস্থ সবল থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের
প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পানি শরীরের ফ্যাট
বার্নিং প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে। এ ছাড়া পানির ক্ষুদা কমিয়ে দেয় ফলে আপনি
অপ্রয়োজনীয় খাবার খেতে চাইবেন না।
খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করলে এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের মেদ
কমায়। তাছাড়া ঠাণ্ডা পানি নয় হালকা গরম পানি পান করলে আরো বেশি উপকারী। তাই
আমাদের শরীর বা পেটের চর্বি কমানোর জন্য পানির গুরুত্ব অপরিসীম।
চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কমানো
পেটে চর্বি বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার। অনেকের আছে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। যার কারণে সেসব লোকের পেটে চর্বির বাড়ে বেশি করে। তখন সে ইয়া বড় একটা ভুড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে পারেনা। চিনি হল পেটে চর্বি জমার অন্যতম বড় কারণ। সফট ড্রিংক, আইসক্রিম, মিষ্টি এবং বিস্কিট এসব খাবারের প্রচুর হেডিং সুগার থাকে। যা পেটে চর্বি বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত খাবার।চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়, ফলে ফ্যাট জমা হতে শুরু করে। পরবর্তীতে আপনি প্রাকৃতিক মিষ্টি যেমন খেজুর, মধু,স্টিভিয়া বা ফলের রস বেছে নিতে পারেন। একটা কথা স্মরণ রাখবেন চিনি যত কম, পেট তত সমান।
প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমায়
মানুষের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হচ্ছে ঘুম ঠিক মতন হয় না। ঘুমের অভাবে মানুষ
ক্লান্তি আনে না, এটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ও ক্ষুধা বাড়ায়। হলে আপনি
অপ্রয়োজনীয় খাবার খেতে শুরু করেন এবং ওজন দ্রুত বাড়ে। প্রতিদিন একই সময়
ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময় ওঠার অভ্যাস করুন। তাই শরীর ভালো রাখতে ও পেটে চর্বি
কমানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম দরকার। যদিও তাও না পারেন তাহলে
অত্যন্ত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানো
বর্তমানে মানুষ প্রায় স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ভিতরে বেশি থাকে। কারণ
কাজের প্রেসার এত থাকে যে মানুষ তাদের বেঁচে থাকার মানেটা এখন ভুলে যাচ্ছে।
কিন্তু এ অতিরিক্ত মানসিক চাপ মানুষকে ভিতর থেকে শেষ করে দেয়। যার ফলে মানুষ
অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া জীবন যাপনের কারণে পেটের চর্বি দিন দিন বেড়ে যায়। তাই
আমাদের সকলের উচিত মানসিক চাপ কমানো।
আরো পড়ুনঃ
সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের কর্টিসল নামের হরমোন বাড়িয়ে দেই যা পেটে
চারিপাশে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। তাই মানসিক প্রশান্তি খুব জরুরী। প্রতিদিন
১৫-২০ মিনিট ধ্যান বা যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে যায় এবং শরীর ফ্যাট
নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া গান শোনা, বই পড়া বা প্রিয় কাজ করা মনের ভারসাম্য
রাখতে সহায়তা করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়ের মধ্যে হচ্ছে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।প্রোটিন
শরীরে ফ্যাট জামাতে বাধা দেয় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই আমাদের শরীরে
পেটের চর্বি যেন না কমে তার জন্য আমাকে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। যারা
ওজন কমাতে চান তাদের প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকায় ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল,
ছোলা বাদাম ও দুধ রাখা উচিত। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার মেটা বলিজম বাড়ায় এবং
দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ফলে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। তাই আমাদের
চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন খাদ্যের তালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা
প্রয়োজন।
ঘরের তৈরি ডিটক্স ড্রিংকস পান করা
ডিটক্স পানি শরীরের থেকে বিষাক্ত পদার্থ ও ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে। এটি আপনি বাড়িতে বানাতে পারবেন আপনার বাড়ির উপকরণ দিয়ে খুব সহজে ১ লিটার পানিতে কয়েক টুকরা শসা, লেবু, আদা ও পুদিনা পাতা দিয়ে সারা রাত রেখে সকালে সেই পানি পান করুন।এই পানীয়টি শুধু পেটের চর্বি কমায় না বরং ত্বক উজ্জ্বল করে ও হজম শক্তি বাড়ায়। প্রতিদিন অন্তত একবার এই ডিটক্স পানি পান করুন।
জাঙ্ক ফুড ও সফট ড্রিংক সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা
বর্তমানে মানুষ ছেলে ও মেয়ে সবাই ফাস্টফুড খাবারের প্রতি এতটা আকৃষ্টিত হয়েছে যে বলার বাইরে। এসব খাবার খেলে আমাদের শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জানা সত্ত্বেও আমরা খাচ্ছি। যেমন বার্গার, পিজ্জা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোমল পানীয় এসব খাবার থাকে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট ও চিনি যা পেটে চারিপাশে দ্রুত ফ্যাট জমায়। ফাস্টফুডের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি চাল ভাজা, ফলের সালাদ, দই, সবজি সুপ বাদাম খেতে পারেন। এগুলো পুষ্টিকর সহজে হজম হয় এবং শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত নিজের ওজন ও ফ্যাট পর্যবেক্ষণ করুন
পেটের চর্বি কমানোর সময় নিজের ওজন ও অগ্রগতি ট্র্যাক করা খুবই দরকার। প্রতি
সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন সকালে ওজন মাপুন এবং পর্ব পরিবর্তন লক্ষ্য করুন। আপনি
যদি ওজন মাসে মাসে মাপেন তাহলে আপনার পরিবর্তন আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন তাহলে
আপনি সে কাজগুলো বেশি বেশি করে করবেন। যদি ওজন না কমে তবে খাবারের ছোট
পরিবর্তন আনুন। এ অভ্যাস আপনাকে মোটিভেটেড রাখবে এবং সফলতার পথে এগিয়ে দিবে।
FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়?
উত্তরঃ মহিলাদের পেটের মেদ বাড়ানোর উপায় হচ্ছে অনিয়মিত জীবন যাপন এবং
অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য। এবং তাদের শরীরের যত্ন না নেওয়ার কারণে।
প্রশ্নঃ কোন খাবার খেলে পেটের চর্বি কমে যায়?
উত্তরঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ ও ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে পেটে
চর্বি কমে যায় দ্রুত।
প্রশ্নঃ শসা খেলে কি পেটে চর্বি কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, শসা খেলে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে ক্যালরি কম ও
পানি বেশি থাকে যা শরীরের ফ্যাট বার্ন প্রক্রিয়া করে। এছাড়া শসার ফাইবার
হজমের সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
প্রশ্নঃ দৌড়ানো কি পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে?
উত্তরঃহ্যাঁ, দৌড়ানো কমাতে খুব কার্যকরী একটি ব্যায়াম। এটি শরীরের ক্যালরি
দ্রুত বার্ন করে এবং পুরো শরীরের ফ্যাট বিশেষ করে পেটে চর্বি কমাতে সাহায্য
করে
শেষ কথা পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর জন্য আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যেগুলো খেলে আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার এবং চর্বি দ্রুত কমে। যেমন সাঁতার, ব্যায়াম
পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম স্বাস্থ্যকর খাবার, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি এসব খাবার গুলো
খাওয়া আমাদের প্রয়োজন। আর মেদ কমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে সবুজ চা যেটাতে
রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেটের মেদ কমাতে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আবার
অনেক সময় দেখা যায় ঘুমের কারণ ও পেটে চর্বি জমে।
আসলে আমাদের জীবনযাত্রা কিছু ছোট পরিবর্তন আমাদের জীবনটাকে সুন্দর করতে পারে।
সকালে গরম পানি সুষুম খাবার নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি এই জিনিসগুলো যদি
আমরা মেনে চলি তাহলে আমাদের পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায় খুব দ্রুত
কাজ করবে। তবে যায় কাজ করি না কেন আমাদের ধৈর্যের দরকার। তেমনি পেটের চর্বি
কমাতে সময় লাগে হতাশ না হয়ে নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যান অবশ্যই পেটে চর্বি
কমে যাবে। আর্টিকেলটা পড়ে আপনার যদি উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানান
ধন্যবাদ

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url