কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি ঘরোয়া উপায়
কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় এটা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন। আসলে আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে চুলের খুশকি। কারণ প্রত্যেকটা মানুষই চায় সুন্দর ও ঝলমলে চুল। চুল মানুষের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। সামনে শীতকাল আসছে। আর শীতকালে বেশি চুলে খুশকি হয়।
তাই আমরা এ আর্টিকেলের মধ্যে জানব চুলের খুশকি দূর করার জন্য এবং ৭টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। ৭টি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে চুলের খুশকি দূর করার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি ঘরোয়া উপায়
- কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি উপায়
- কেন চুলে খুশকি হয়
- খুশকি থেকে মুক্তির উপায়
- খুশকি হলে কিভাবে চুলের যত্ন নিব
- যে সব ভুলের কারণে চুলে খুশকি বাড়ে
- চুলে খুশকি হওয়ার প্রধান কারণগুলো
- কি কি এড়িয়ে চলবেন খুশকির সময়
- চুলে খুশকি হলে কখন ডাক্তার পরামর্শ নেয়া জরুরী?
- FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথা কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি ঘরোয়া উপায়
কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭ টি উপায়
চুলের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেওয়ার একটি সাধারণ সমস্যা হলো খুশকি। এটি শুধুমাত্র এক
ধরনের অস্বস্তি নয়,বরং এটি চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বর্তমানে এটা
দিন দিন বড় আকারের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুশকি থাকলে মাথার ত্বক শুষ্ক ও
চুলকানি যুক্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে চুল পড়ে যায় এবং আত্মবিশ্বাসও কমে যেতে পারে
। বাজারে পাওয়া নানা ধরনের শ্যাম্পু ও পণ্য খুশকি কমানোর দাবি করল তা অনেক সময়
সাময়িক ফল দেই এবং ত্বকের ক্ষতি করে।
তবে প্রাকৃতিক উপহার হিসেবে আমাদের চারপাশে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা ঘরোয়া
পদ্ধতিতে খুশকি দূর করতে কার্যকর ভাবে সাহায্য করতে পারে। আজকে আর্টিকেলে আমরা
জানব কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি ঘরোয়া উপায়। উপায়গুলো কিভাবে
ব্যবহার করতে হবে তা নিচে ব্যাখ্যা করে দেওয়া হল।
আরো পড়ুনঃ
চেহারা বা ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য থানকুনি পাতার ১৫টি উপায়
মেথি বীজ পেস্ট ব্যবহার করুনঃ মেথি বীজে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি নির্মল করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। এতে আপনার চুল পড়া কমে যায়। আর আপনার চুল হয় সৌন্দর্য ও ঝলমল। ব্যবহারের নিয়ম যেমন
- ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
- সকালে ভেজানো মেথি পানি থেকে আলাদা করে নিন। তারপর সেটিকে পেস্ট করুন।
- মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান।
- ৩০ মিনিট রেখে স্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার চুলের খুশকি দূর হবে।
নারিকেল তেল ও লেবুর রসঃ নারিকেল তেল মাথা ত্বকের পুষ্টি যোগায় আর লেবুর রস
সাইট্রিক অ্যাসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং ফাঙ্গাস দূর করতে সাহায্য
করে। এই কম্বিনেশন একসাথে স্ক্যাল্প হাইড্রেট করে ও ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে।
ব্যবহারের নিয়ম যেমন
- ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল হালকা গরম করুন।
- এর সাথে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগান।
- ৩০ মিনিট রেখে সেম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে অন্তত ১ বার করুন।
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল মাথার ত্বকের জন্য উপকারী এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যা মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে এবং খুশকি কমায়। ব্যবহারের নিয়ম যেমন
- গাছ থেকে কেটে সরাসরি অ্যালোভেরা জেল বের করে মাথায় লাগান। তবে অনেকের সমস্যা হতে পারে তাই চুলে লাগিয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে নিন।
- ৩০ মিনিট রেখে সেম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
পেঁয়াজের রসঃ পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং খুশকি
কমায়। পেঁয়াজের রস মাথায় ম্যাসাজ করলে খুশকি সমস্যা দ্রুত কমে।
- পিয়াজ ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। যাদের ব্লেন্ডার নাই তারা সিল পাটা দিয়েও করতে পারেন।
- মাথার ত্বকে লাগান ও ৩০ মিনিট রেখে দিন।
- গন্ধ দূর করতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন গোসলের সময়।
টক দইঃ টক দই হলো একটি প্রাকৃতিক উপাদান। যা শুধু খাওয়ার জন্য নয় চুল ও
ত্বকে যত্নে অত্যন্ত কার্যকর। এতে রয়েছে প্রোবায়োটিকস,
ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি৫ ও প্রোটিন যা চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য
করে। ব্যবহার করার নিয়ম যেমন
- একটি পাত্রে দই ভালোভাবে ফাটিয়ে নেন।
- চাইলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
- এর মিশ্রণটি আঙ্গুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে ও চুলে ভালোভাবে লাগান।
- হালকা ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- তারপর মাইন্ড হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- সপ্তাহে ১-২ ব্যবহার করা যায়।
- নিয়মিত ব্যবহারে ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফল পাবেন।
জোজোবা তেলঃ জোজোবা তেল তৈরি হয় জোজোবা গাছের বীজ থেকে। যায় এক ধরনের প্রাকৃতিক ওয়াক্স। এই তেল মাথার ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেলের সঙ্গে মিশে স্ক্যাল্পের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং খুশকি উপাদান কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়া উপাদান যা মাথার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমন প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- সপ্তাহে ১-২ বার জোজোবা তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন।৩০-৪০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
শিয়া বাটারঃ কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে শিয়া বাটার।শিয়া বাটার একটি ঘন ও ক্রিমজাত উপাদান যা আফ্রিকার শিয়া গাছের বাদাম থেকে তৈরি। এটি ভিটামিন এ ও ই সমৃদ্ধ এবং চুলের ত্বক প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। যাদের স্ক্যাল্প শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত তাদের জন্য শিয়া বাটার একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। এটি ত্বককে মসৃণ রাখে ও খুশকির ঝরঝরে ভাব অনেকটা কমিয়ে দেয়।
- সপ্তাহে ১ দিন শিয়া বাটার হাতে গরম করে চুল ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। চাইলে রাতে লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
কেন চুলে খুশকি হয়
চুলে খুশকি মূলত মাথা ত্বকের ফাঙ্গাস বা ছত্রাক, ত্বকের শুষ্কতা, তৈলাক্ত এবং
শরীরের শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্যহীনতার কারণে। সংক্ষেপে বলতে গেলে
খুশকি হয় এমন মানুষের মাথার ত্বক বা জীবনধারার কারণে। এছাড়া আরো কিছু সাধারণ
কারণ নিচে দেওয়া হল।
- যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত মাথার ত্বকের সঙ্গে জন্মগত বা হরমোন জনিত সমস্যায় ভোগে। তাদের এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
- মাথার ত্বকে থাকা Malassezia ছত্রাকের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের খুশকি বেশি হয়।
- ভিটামিন বি, জিংক, ওমেগা-৩ এর অভাব বা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকলে খুশকি সহজে হয়।
- নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করা বা হেয়ার স্প্রে কালার ইত্যাদি অতিরিক্ত ব্যবহারে খুশকি বাড়ায়।
- দীর্ঘদিন চাপ দুশ্চিন্তা বা ঘুমের অভাবে মাথার ত্বক দুর্বল হয়ে যায় এবং খুশকি হয়।
খুশকি থেকে মুক্তির উপায়
চুলের খুশকি দূর করতে প্রথমে দরকার মাথার ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখা। এজন্য
নিয়মিত বাট অতিরিক্ত নয় ব্যবহার করতে হবে। ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। মাথার
ত্বকে যেন ধুলাবালি না লাগে। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ভালো মানের হালকা শ্যাম্পু
দিয়ে চুল ধোয়া উচিত। এতে করে তেল ও মৃত চামড়া সরিয়ে দেয় কিন্তু
ত্বক স্বাভাবিক তেল কমায় না।
পরিবেশগত যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের অতিরক্তর ওসি থেকে মাথা ঢেকে রাখা, ধুলাবালি
বা ধোঁয়া এড়িয়ে চলা। এবং শীতকালে হালকা তেল দিয়ে ম্যাসাজ করালে মাথার ত্বকের
শুষ্কতা কমায়।
প্রাকৃতিক ও নিয়মিত যত্নের খুশকি মুক্তির মূল চাবিকাঠি। একাধিক উপায় একসাথে
ব্যবহার করলে খুশকি দ্রুত কমে এবং চুল শক্ত ও স্বাস্থ্যবান থাকে।
খুশকি হলে কিভাবে চুলের যত্ন নিব
খুশকি হলে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে মাথার ত্বকে সঠিক পরিচর্যা দিয়ে।
চুলে খুশকি থাকলে তোকে ভালো রাখতে ভালো মানে শ্যাম্পু ব্যবহার করা। চুল খুব বেশি
শক্ত হাতে ঘুসলে ত্বক আরো শুষ্ক বা প্রদানিত হতে পারে তাই হালকাভাবে মাথার
ত্বক ম্যাসাজ করে চুল ধোয়া উচিত। চলুন আর কি কি করতে হবে জেনে নিন।
আমরা অনেকে চুলের শ্যাম্পু করার পরে আর কিছু করি না সেভাবে চুল রেখে দেই। কিন্তু
না চুলে শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশন ব্যবহার করুন তবে ভালো মানের। মনে রাখবেন চুলে
কন্ডিশন লাগানোর সময় চুলে দিবেন ত্বকে দিবেন না।
চুলে খুশকি থাকলে অতিরিক্ত স্টাইল এড়িয়ে চলা উচিত। সিট ব্যবহার করা যেমন সোজা
করা যন্ত্র বা হেয়ার ডায়ার ত্বকে আরো সুস্থ করে তোলে যা খুশি কে বাড়াতে পারে।
চুলকে ভেজা রাখার পর সরাসরি বেলক বা হিট প্রয়োগ করা এড়িয়ে চলা উচিত।
চুলের যত্নে হালকা তেল মাসাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। নারকেল তেল,আর্গান অয়েল বা
জলপাই তেল দিয়ে সপ্তাহে ১-২ বার হালকা মাসাজ করলে ত্বক মাথার ত্বক নরম থাকে রক্ত
সঞ্চালনের বৃদ্ধি পায় এবং খুশকি কমে। তেল ম্যাসাজ পর ৩০-৪০ মিনিট রেখে
তারপর দোয়া সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
চুলে খুশকি থাকলে চুলকে সুস্থ রাখতে মৃত মৃদু শ্যাম্পু, প্রাকৃতিক মাস্ক,
হালকা তেল ম্যাসাজ , পুষ্টিকর খাদ্য পর্যাপ্ত ঘুম ও পরিবেশগত যত্ন মেনে চললে চুল
এবং মাথার ত্বক ভালো থাকে। নিয়মিত এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুশকি দ্রুত কমে এবং
চুল শক্ত ও মসৃণ থাকে।
যেসব ভুলের কারণে চুলের খুশকি বাড়ে
আমাদের ভুলের কারণে বা ঠিকভাবে চলে যখনই না সে কারণে চুলের খুশকি ও বাড়ে। আমরা
অনেক সময় চুলের খুশকি থাকে সমস্যা মনে করে না। কিন্তু যখন খুশির কারণে চুল পড়া
শুরু হয়ে যায় তখন আমাদের মাথায় কাজ করে। তাই যেসব ভুলের কারণে চুলের
খুশকি বাড়ে চলুন তা জেনে নিন।
- অতিরিক্ত চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা বা ঠিকভাবে না ধোয়া।
- তেল বা কন্ডিশনার সঠিকভাবে ব্যবহার না করা।
- কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট অতিরক্ত ব্যবহার করার কারণে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বা খাবারের খেলে।
- মানসিক চাপ ও ঘুমের অভাবের কারণে।
- চুল ভেজা অবস্থায় অতিরক্ত বাধা বা ঘষাঘষি করালে।
- পরিবেশগতভাবে প্রভাব এর ফলে।।
- অপুষ্টি ও হরমোন সমস্যার ।
চুলে খুশকি হওয়ার প্রধান কারণ গুলো
চুলে খুশকি হওয়ার প্রধান কারণ হলো মাথার ত্বক স্বাভাবিক ব্যালেন্সের ক্ষতি। মাথার ত্বকে থাকা প্রাকৃতিক তেল ও পানি সঠিক মাত্রায় না থাকা অথবা ত্বকে থাকা ছত্রাক বা ফাং গাছের অতিরক্ত বৃদ্ধি যা তকে শুষ্ক বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে। চলুন তাহলে প্রধান কারণ গুলো জেনে নিন।
- বয়ঃ সন্ধি, গর্ভাবস্থায় বা মাসিক চক্রে হরমোনের পরিবর্তন কারণে।
- ভিটামিন বি, জিংক বা ওমেগা-৩ এর অভাবের কারণে।
- ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে ত্বকের ছত্রাক বৃদ্ধির কারণে।
- চুলে খুশকি হওয়ার প্রধান কারণ হলো যখন মাথার ত্বক সুস্থ থাকে না এবং মাথার ত্বকে ফাঙ্গাস বা মৃত চামড়া অতিরক্ত জমে যায়।
কি কি এড়িয়ে চলবেন খুশকির সময়
খুশকি থাকলে কিছু অভ্যাস ও জিনিস এড়িয়ে চলা খুবই জরুরী যাতে খুশকি আরো বাড়ে
না। নিচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দেওয়া হলো।
- চুলের খুশকি থাকলে অতিরিক্ত তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। অতিরক্ত চুলের শ্যাম্পু করলে প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয় এবং ত্বকে আরো শুষ্ক হয়ে খুশকি বাড়ায়।
- সপ্তাহে ২-৩ বার চুল ধোয়া উচিত শ্যাম্পু দিয়ে।
- ভেজা চুলে সরাসরি হেড প্রয়োগ করা ঠিক নয়। চুলে খুশকি থাকলে এটা থেকে এড়িয়ে চলুন।
- চুলে খুশকি থাকলে অতিরক্ত ঘষাঘষি করা উচিত নয়। এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং খুশকি আরো বেড়ে যেতে পারে।
- অতিরক্ত সূর্যের রশ্নি বা শীতকালে শুষ্ক বাতাস থেকে মাথা রক্ষা না করলে খুশকি আরো বৃদ্ধি পায়। তাই বাইরে গেলে মাথা ঢেকে যাওয়া উচিত।
- এসব এড়িয়ে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এগুলো মেনে চললে খুশকি নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং চুল ও ত্বক সুস্থ থাকে।
চুলে খুশকি হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি?
চুলের খুশকি সাধারণত স্বাভাবিক হলো কিছু পরিস্থিতি ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
জরুরি। যখন দেখবেন ঘরোয়া যত্ন বা শ্যাম্পু ব্যবহার অনেক সময় ধরে থেকে যায় তখন
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরী। চলুন আর কি কি জরুরী জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ
গরমের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিব তার ১৪ টি উপায়
- যদি চুলকানির সঙ্গে ত্বকে লাল দাগ, ফোলা, ছত্রাক বা ফোড়া দেখা দেয় তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
- অনেক বেশি খুশকির সঙ্গে চুল পড়া শুরু হলে এটি প্যাজিয়াসিস বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন সহ অন্যান্য ত্বকের রোগের লক্ষণ হতে পারে।
- ত্বকের ব্যথা, পুরা বা রক্তপাত দেখা দিলে সাধারণত খুশিকতে এমন উপসর্গ হয় না। এ ধরনের সমস্যা থাকলে তা ত্বকের গুরুতর রোগের ইঙ্গিত।
- শিশু বা বৃদ্ধদের খুশকি অনেক সময় রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে তাই তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ নেয়া নিরাপদ।।
FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় কি?
উত্তরঃ চিরতরে খুশকি দূর করতে হবে মাথা ত্বকের সঠিক যত্ন, নিয়মিত প্রাকৃতিক
মাস্ক ও পুষ্টিকর খাদ্য অনুসরণ করে। সেই সাথে পর্যাপ্ত পরিমান পানি খেতে হবে। এটি
নিয়মিত অভ্যাস করলে খুশকি কমে যাবে।
প্রশ্নঃ ভাতের পানি খেলে কি খুশকি কমে?
উত্তরঃ ভাতের পানি খেলে সরাসরি খুশকি কমে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তবে
ভাতের পানি প্রাকৃতিকভাবে কিছু ভিটামিন বা শর্করা থাকে যা ত্বকে সামান্য
ময়েশ্চারাইজ করতে পারে।
প্রশ্নঃ কি করলে চুল ঘন হবে?
উত্তরঃ চুল ঘন করতে হবে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য, নিয়মিত তেল
ম্যাসাজ এবং প্রাকৃতিক মাস্ক ব্যবহার করে। পাশাপাশি হিট কেমিকেল ও চাপ
চললে চুল স্বাস্থ্যবান ও ঘন থাকে।
প্রশ্নঃ কি করলে নতুন চুল গজাবে?
উত্তরঃ নতুন চুল গজানোর জন্য প্রয়োজনীয় ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা এবং
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া।
প্রশ্নঃ ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়?
উত্তরঃ সালফেট, প্যারাবেন বা অ্যালকোহল যুক্ত রুক্ষ চুলের পণ্য ব্যবহার
করা বন্ধ করুন। তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
শেষ কথা কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭ টি ঘরোয়া উপায়
কিভাবে চুলের খুশকি দূর করা যায় ৭টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরের বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। এ আলোচনার মাধ্যমে চুলের কি কিভাবে দূর করা যায় বাইরের সমস্যা
সমাধান গুলো কি। আবার চুলের খুচকে একটু সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর সমস্যা। তবে
দুশ্চিন্তার কিছু নেই। উপরে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আপনি যেহেতু
নিয়মিত প্রয়োগ করেন আপনি খুব সহজে খুশকি দূর করতে পারবেন।
সবচেয়ে বড় কথা এ উপায় গুলো সম্পন্ন প্রাকৃতিক কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নেই এবং সহজে ঘরে বসে ব্যবহার করা যায়। আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক উপায়
বেছে নিন এবং নিয়মিত ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক যত্ন ধৈর্য থাকলে খোঁজ কি শুধু
কমানো নয় সম্পূর্ণরূপে নির্মাণ করা ও সম্ভব। আর্টিকেলটা আপনার কাছে কেমন মনে
হয়েছে মতামতটি কমেন্ট বক্সে জানান। ধন্যবাদ।
সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url