মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও কুফল


মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। আমরা সকলে কম বেশি মোবাইল  ব্যবহার করি।বর্তমান যুগকে বলা হয় ডিজিটাল যুগ প্রযুক্তির অসাধারণ অগ্রগতির অন্যতম ফল হলো মোবাইল ফোন।মোবাইল ফোন একসময় ছিল শুধুমাত্র কথা বলার মাধ্যম।

মানুষের-জীবনে- মোবাইল-ব্যবহারের -সঠিক-নিয়ম

আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ শিক্ষা, ব্যবসা, বিনোদন কেনাকাটা সবকিছু হাতের মুঠোয়। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এই আশীর্বাদই অভিশাপে পরিণত হতে পারে। তাই প্রয়োজন মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা এবং এর কুফল সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

পেজ সূচিপত্রঃ মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও কুফল

মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম 

বর্তমান আধুনিক যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগে এসে প্রযুক্তির দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে মানুষের জীবনে নিত্যদিনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো যে ডিভাইস আছে সে গুলো পরিবর্তন হচ্ছে। তার মধ্যে  হচ্ছে মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে এমন ভাবে জড়িয়ে পড়েছে যেটা ছাড়া মানুষ অচল।

মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহারের একটা সঠিক নিয়ম আছে। কিন্তু আমরা কম বেশি সঠিক নিয়মটা সম্পর্কে জানিনা বা মানি না। আমরা এখন মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম গুলো সম্পর্ক আলোচনা করব চলুন তাহলে জেনে নিন।

সময় নির্ধারণঃ বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে একটা অংশ হয়ে আছে। যোগাযোগ, তথ্য সংগ্রহ, ব্যবসার ক্ষেত্রে, বিনোদন এসব কিছুর জন্য আমরা মোবাইল ব্যবহার করি। কিন্তু সীমাহীন ও নিয়ন্ত্রণ হীন ব্যবহার শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক জীবনের একদম খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরী।

  • দৈনিক ফোন ব্যবহার করা সময় হলো প্রাপ্তবয়স্ক জন্য দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ব্যবহার না করা উত্তম।
  • শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১-২ ঘন্টা।
  • স্কিন টাইম ফিচার ব্যবহার করুন।
  • অ্যান্ড্রয়েড ও iphone ডিজিটাল ওয়েল বিং, স্ক্রিন টাইম সেটিং ব্যবহার করে অ্যাপ ও সময় সীমা নির্ধারণ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন যেমন দুপুরে খাবার পর ৩০ মিনিট বা আটটার আগে পর্যন্ত। রাতে ঘুমানোর আগে সর্বোচ্চ এক ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চোখের যত্নঃ মোবাইল ব্যবহারের সময় চোখের যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতিরিক্ত স্ক্রীন টাইমে চোখ শুকিয়ে যাওয়া মাথাব্যথা ঝাপসা দেখা এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লু লাইট ফিল্টার বা নাইট মোড ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল চোখ থেকে অন্তত ১৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি দূরে রাখতে হবে। অতি জরুরি কাজ ব্যতীত ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। অফলাইন সময়ের অভ্যাস গড়ে তোলা বই পরা, হাটা, হাতের কাজ এগুলোতে সময় দেওয়া উত্তম।

অতিরিক্ত ব্যবহার পরিহার করুনঃমোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হলো এর অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক মানসিক ও সামাজিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে আমরা বিরত থাকবো। কারো সাথে কথা বলার সময় খাবারের সময় পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ও মোবাইল ব্যাংকিং লোন

ডিজিটাল ডিটক্সঃএকটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মোবাইল ফোন, কম্পিউট্র‌র, ট্যাবলেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরত নেওয়া। যাতে মানসিক চাপ কমে এবং বাস্তব জীবনে মনোযোগ দেওয়া যায়। নোটিফিকেশন ও তথ্যের ভিড় থেকে বিরত নেওয়া যা মানসিক শান্তি আনবে। চোখ ঘাড় মস্তিষ্ক ঘুমের গুণগত মান উন্নত করা যা শরীরকে সুস্থ রাখবে । পরিবার বন্ধু শখের কাজ এবং নিজেকে সময় দেওয়া যা মনকে শান্ত মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখবে।

শারীরিক সুস্থতাঃ মোবাইল ব্যবহারের সময় ঘার সোজা রেখে হাত সামন্ত করে ধরো যাতে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা না হয়। অনেক সময় মোবাইল ব্যবহার করে অনেকক্ষণ ধরে কানের চেপে রাখলে কান ব্যথা করে এটা আমাদের শারীরিক সমস্যা হয়। অনেকক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলো চোখের সমস্যা হয়। এজন্য মোবাইল ব্যবহার করার সময় অবশ্যই শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজন।

মোবাইলের নোটিফিকেশন বন্ধ করাঃ মোবাইলে নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা ভালো। অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন যা আপনার মনোযোগ নষ্ট করে।

অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার না করাঃ মোবাইল ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার না করা। হেডফোন ব্যবহার করতে হবে এর ভলিউম অবশ্যই ৬০ ডেসিবেলের কম হতে হবে। আর সেটা এক ঘন্টার বেশি না। আপনি যখন হেডফোন দিয়ে কথা বলেন তখন ইলেকট্রোম্যাগনেটিভ রেডিয়েশন বের করে। এতে আমাদের শরীরের ভেতর যে ডিএনএ এটি ভেঙে যায়। আপনি যদি কথা বলেন তাহলে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস মোস্তিকে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।

মোবাইল ফোন ৫ মিনিট কথা বলার পরে তিন মিনিট অবশ্যই বিশ্রাম নিবেন। বিরতির আদর্শ সময় হল ১০ মিনিট। তবে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা যাবে না। কথা বললে ব্লুটুথ ব্যবহার করতে হবে পারলে আর ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করতে হবে। যেন সরাসরি রেডিয়েশন না আসে। এতে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

মোবাইল ফোন সীমা বন্ধ ভাবে ব্যবহার করুনঃ মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম এর মধ্যে একটি হচ্ছে মোবাইলের ফোন সীমাবদ্ধভাবে ব্যবহার করুন। প্রতিদিন মোবাইল ব্যাপারে সময় সীমা নির্ধারণ করুন অপ্রচলের ব্যবহার পরিধান করুন। এতে আপনার শরীর ও মাথা দুটোই ভালো থাকবে চলুন তাহলে জেনে নিন মোবাইল ফোন সীমাবদ্ধভাবে ব্যবহার করলে কি কি উপকার হয়।

  • চোখ ও মাথার চাপ কমে
  • ঘুম ভালো হয়
  • কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে
  • স্ট্রেস কমে  ও মন ভালো থাকে
  • বাস্তব জীবনে সম্পর্কের উন্নতি হয়
  • অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ
  • ফোনমুক্ত সময় ঠিক করুন যেমন ঘুমানোর আগে এক ঘন্টা ও সকালের প্রথম এক ঘন্টা 
  • প্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন
  • নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
  • সপ্তাহে অন্তত একদিন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করুন
  • বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলুন যেমন বই পড়া, হাটা, ব্যায়াম করা, রান্না বা  ইত্যাদি যেকোনো কাজ করা।

 নিরাপত্তা সচেতনতা বজায় রাখুন

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় অবশ্যই নিরাপত্তা সচেতনতা বজায় রাখুন। আমরা অনেক সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার  করতে করতে রাস্তায় চলাফেরা করি। এতে আমাদের অনেক সময় অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। আবার অনেক সময় এক্সিডেন্ট করে মানুষ মারা যায়। গাড়ি চালানোর সময় বা রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইল ব্যবহার করবেন না। আপনি কারো সাথে অনেকক্ষণ কথা বলবেন প্রয়োজনে তখন আপনি অবশ্যই হেডফোন বা ব্লুটুথ ব্যবহার করুন।

পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কে বজায় রাখা

আজকের ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোন সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন যোগাযোগের কারণে আমরা অনেকেই বাস্তব জীবনের সম্পর্ক থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনের কারণে আমাদের অনেক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল থাকে না। পরিবারের মানুষজনগুলো একে অপরের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। একমাত্র মোবাইলের কারণে।

মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন। এতে করে একে অপরের সাথে সুন্দর একটা সম্পর্ক থাকবে এবং অবসর টাইমটা আমরা আমাদের ফ্যামিলিকে দিতে পারব। পরিবার ও সমাজের সাথে সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সুখ এবং আত্মতৃপ্তির জন্য প্রয়োজন।

 মোবাইল ব্যবহারের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা

প্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয় ১৯৭৩ সালে যার ওজন ছিল প্রায় ১ কেজি এবং চার্জে কথা বলা যেত মাত্র  ৩০ মিনিট।বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আসে 1993 সালে তখন এটি ছিল শুধুমাত্র উচ্চবিত্তদের হাতের নাগালে।বর্তমানে স্মার্টফোন হয়ে গেছে সবার সঙ্গে ইন্টারনেটের সাহায্যে এটি শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় বরং এটি পুরো দুনিয়া দেখার একটি যন্ত্র। বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার মানুষ এমন ভাবে আসক্ত হয়েছে যা বলা মুশকিল। বর্তমান আর মানুষ এখন সব কাজ মোবাইলের মাধ্যমেই করে থাকে।

 মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুবিধা 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের চাহিদা অনেক বেশি, তাই প্রতিদিন মোবাইল স্ক্রিন টাইম দুই তিন ঘণ্টার বেশি না রাখাই ভালো (শিক্ষা ও কাজ ছাড়া)মোবাইল ফোনের ব্লু লাইট চোখের অনেক ক্ষতি করে তাই ব্লু লাইট ফিল্টার বা নাইট মোড ব্যবহার করা যেতে পারে।

  • ঘুমানোর সময় মাথার আশপাশে ফোন চার্জে দিয়ে ঘুমানো ঠিক নয় কারণ তাতে অনেক ফ্রিকোয়েন্সি ছড়ায় যা সরাসরি আমাদের ব্রেন কে আঘাত করে
  • মোবাইল কে বিনোদনের চেয়ে শিক্ষামূলক ও কর্মমুখী কাজের ব্যবহার করুন
  • প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার জন্য মোবাইল অ্যাপ বা কোর্স ব্যবহার করুন
  • পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে অনেক সহজেই মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করা যায়
  • গুগল ইউটিউব বা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে সহজে জ্ঞান অর্জন করা যায়
  • গান, সিনেমা, গেমস এবং সোশ্যাল মিডিয়া লাইভ এন্ড খবর সরাসরি দেখা যায় 
  • অনলাইন মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং ইকমার্স বিজনেস মোবাইল ব্যাংকিং ও পেমেন্ট সিস্টেম যা আমাদের জীবনকে আরো সহজ করে তুলেছে।

মোবাইল ব্যবহারের কুফল

মোবাইল ব্যবহারের যেমন সুবিধা আছে তেমন এর কুফল রয়েছে। মোবাইল ফোন যেমন মানুষের জীবনে সব কাজকে সহজ করে দিয়েছে। তেমনি মোবাইল ফোন মানুষ মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। চলুন তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনে কি কি সমস্যা হচ্ছে তা জেনে নিন।

  • অযথা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কলিং বা গেম খেলে এসো পড়াশোনা বা কাজের ক্ষতি হয়।
  • দীর্ঘ সময় যাবত স্ক্রিনে তাকালে চোখ শুকিয়ে যাওয়া ঝাপসা দেখা পাব লাইট জনিত ক্ষতি হয়।
  • রাজ্যের মোবাইল ব্যবহার করলে ঘুমের রুটিন নষ্ট হয় এবং ব্রেনের বিশ্রাম হয় না।
  • মোবাইল আসক্তি হতাশা উদ্বেগ ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • অনেক সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে                              যেমনঃ গলায় ব্যথা (টেক্সট নেক  সিন্ড্রোম) ছাত্র আঙ্গুলে ব্যাথা (টেনডোনাইটিস) ইত্যাদি সমস্যা হয়।
  • হ্যাকিং বার্থডেটা করি প্রতারণা হুইচ ক্যামেরা শিকার হতে পারে।

    কুফল এড়ানোর উপায়সমূহ

    মোবাইল ফোন ব্যবহারে কুফল এড়ানোর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মানতে হবে। নিয়মগুলো সঠিকভাবে পালন করলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সমস্যা হবে না। এতে করে মানুষের জীবন অনেকটা সহজ ও বিপদ মুক্ত হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন কুফল এড়ানোর উপায় সমূহ মোবাইল ফোনের।

    • অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন।
    • সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন।
    • সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জানুন।
    • অজানা লিংক বা ফাইল খুলবেন না।
    • সময় পেলে বই পড়ুন ব্যায়াম করুন বা আউটের গেমস খেলুন অথবা পরিবারের সাথে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটান। অথবা পুরনো বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

    মোবাইল ব্যবহারে সময় অন্যান্য সতর্কতা অবলম্বন করুন

    মোবাইল ব্যবহার করার সময় অবশ্যই আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে আমাদের সমস্যা গুলো থেকে কিছুটা হলেও সমাধান পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের ভাইব্রেশন মোট ব্যবহার করুন কল বা মেসেজ এর জন্য। এতে করে আপনি একটা কাজ করছেন তাতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হবে না। ফোন চার্জ করার সময় সঠিক চার্জার ব্যবহার করুন।

    আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব তার উপায়

    ফোন পকেটে রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন কারণে তে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টা করুন। রেডিয়েশন থাকলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি হয়। রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন আপনার কাছ থেকে দূরে রাখুন। মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন এবার মাঝে মাঝে বিরত নিন। সপ্তাহে একদিন করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সময় কাটান।

    FAQ: মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহার সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

    প্রশ্নঃ মোবাইলের আসক্ত প্রতিরোধের উপায় কি কি?

    উত্তরঃ মোবাইল ফোনে আসক্ত কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন নোটিফিকেশন কমানো, ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করা, স্ক্রীন টাইম কমানো এবং অন্যান্য কাজে মনোযোগী হওয়া।

    প্রশ্নঃ যুব সমাজের মোবাইল ফোনের অতিরক্ত ব্যবহারের কুফল কি কি?

    উত্তরঃ গবেষণা দেখা গেছে যেসব শিশু দীর্ঘক্ষন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের মস্তিষ্ক ও কানে নন ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার উচ্চতার আশঙ্কা থাকে। এবং মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের রেটিনা কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তৈরি হচ্ছে মায়োপিয়া বা ক্ষণদৃষ্টি সমস্যা।

    প্রশ্নঃ দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত?

    উত্তরঃ দিনে দুই ঘণ্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো।

    প্রশ্নঃ মোবাইল টিপলে কি ক্ষতি হয়?

    উত্তরঃ মোবাইল টিপলে চোখের সমস্যা, ঘুমের ব্যাঘাত, শ্রাবণ শক্তির হ্রাস, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

    শেষ কথা মানুষের জীবনে মোবাইল ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও  কুফল

    মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের এক অসাধারণ প্রযুক্তির উপহার দিয়েছে। তবে এটি যেন আমাদের সময় স্বাস্থ্য ও মানুষ শান্তিকে না নিয়ে সেজন্য সঠিক ব্যবহার জানা জরুরী। সঠিক নিয়ম মেনে মোবাইল ব্যবহার করলে এটি হবে জীবনের সহায়ক। আর ভুল ভাবে ব্যবহার করলে হয়ে উঠবে জীবনের জন্য বোঝা। তাই আসুন প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করি প্রযুক্তিকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না দিই।

    মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে সুবিধা হয়েছে তবে এর সঠিক ব্যবহার না করলে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মশালা ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে করে নিয়ম গুলো মেনে চলা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় জরুরী। তাই আসুন আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় অবশ্যই সঠিক নিয়ম গুলো মেনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করব। আর্টিকেল পড়ে আপনার যদি উপকার হয় তাহলে কমেন্ট করে জানান ধন্যবাদ।


    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url