খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে

খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা গুলো কি সেগুলো জানবে। শীতকালের হাড় কাঁপানোর ঠাণ্ডার মধ্যে কাঁচা খেজুরের রস খেতে পছন্দ করে অনেকে। শীতকাল আসলে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গ্রাম বাংলার খেজুর রসের পিঠা খাওয়ার ঐতিহ্য এখনো আছে।

খেজুরের-রস-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা

শীতকালে মানুষ খেজুরের রস দিয়ে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে। কিন্তু শীতকালে খেজুরের রস বেশি সুস্বাদু। যেকোনো জিনিসের উপকারিতা যেমন আছে তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানব খেজুরে রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা

খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে

বাংলার শীতকাল মানে সকালের মাটির কলসিতে জমে থাকা মিষ্টি খেজুরের রস। শীতকাল মানেই খেজুরের রস খাওয়ার ধুম। খেজুরের রস দিয়ে গ্রাম বাংলার মানুষেরা এখনো নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি করে থাকে। এ প্রাকৃতিক পানীয় শুধু সুস্বাদ নয় বরং শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে সব ভালো জিনিসের যেমন কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তেমনি খেজুরের রস অতিরিক্ত খেলে  স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা যে খাবার খাই না কেন অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা।

আরো পড়ুনঃ পেটের চর্বি কমানোর ১১ টি সহজ উপায়

খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা গুলো নিয়েও আলোচনা করব। যাতে খেজুরের রস খাওয়ার সময় আমরা সাবধানতা অবলম্বন করি। আজ আমরা জানবো খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা, পুষ্টিগুণ এবং সঠিকভাবে খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে। চলুন নিছে তা বিস্তারিত জেনে নিন।

  • শরীরের শক্তি যোগায়ঃ খেজুরের রসে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ শরীরের দ্রুত শক্তিশালী সরবরাহ করে। খেজুরের রস দিয়ে দুধ হয় এবং দিনভর কাজের শক্তি পাওয়া যায়।
  • রক্তশূন্যতা দূর করেঃ খেজুরের রসে থাকা আয়রন বা লোহা শরীরের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। নিয়মিত খেজুরের রস খেলে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • হজমে সহায়তা করেঃ খেজুরের রসে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম ও ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। যারা বদহজম বা কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগেন, তাদের জন্য খেজুরের রস হচ্ছে অত্যন্ত উপকারীর খাবার।
  • ত্বক ও চুলের জন্য উপকারীঃ খেজুরের রস যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকার তেমনই ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। খেজুরের রসের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। নিয়মিত পান করলে ত্বক নরম ও দীপ্তিময় হয়।
  • রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়ঃখেজুরের রসে থাকা ভিটামিন সি ও মিনারেলস শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ঠান্ডা, কাশি এবং জ্বর থেকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক উপায়ে।
  • হৃদরোগে ঝুঁকি কমায়ঃ খেজুরের রসে থাকা পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
  • শীতজনিত ক্লান্তি দূর করেঃ শীতকালে অনেকের শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয়। এক গ্লাস তাজা খেজুরের রস শরীরকে উষ্ণতা ও প্রাকৃতিক শক্তি দেয়।
  • লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখেঃ প্রাকৃতিক মিষ্টতার কারণে এটি লিভারের ওপর চাপ ফেলে না এবং বিষাক্ত উপাদান বের করতে সহায়তা করে। এছাড়া কিডনির কার্যকারিতা ও উন্নতি করে।
  • মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা মধ্যে হল মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াই। খেজুরের রসে থাকা প্রাকৃতিক সুগার মস্তিষ্কের শক্তি যোগায় হলে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য প্রাকৃতিক টনিকঃ খেজুরের রস এটি একটি প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক হিসাবে কাজ করে। শিশুরা যেমন দ্রুত শক্তি পায় তেমন বৃদ্ধদের দুর্বলতা দূর হয়। তাই উভয়ের জন্য খেজুরের রস খাওয়া অনেকই উপকার।

খেজুরের রস খাওয়ার ৫টি অপকারিতা

খেজুরের রস খাওয়া যেমন উপকার তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে। অনেকে আছে খাবারটা অনেক সুস্বাদু তাই বেশি করে খেয়ে নেই। যার কারণে শরীরে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তেমনি অতিরক্ত খেজুরের রস খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো না। তেমনি খেজুরের রস খেলে যেমন উপকার আসে তেমনি অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতির কারণও হতে পারে। এখন নিচে  অতিরিক্ত খেজুরের রস খেলে কি কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে সেগুলো জানবো।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণঃ খেজুরের রথে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও এর মাত্রা অনেক বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অতিরক্ত খেলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যেতে পারে। তখন তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে খেজুরের রস।
  • সংরক্ষিত বা পচা রস খাওয়া বিপদজনকঃ আমরা অনেক সময়  সংরক্ষিত করে ফ্রিজে বা বাইরে রেখে দিন। যার কারণে একটি পঁচা গন্ধ বের হয় যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বিপদজনক। অনেক সময় আমরা রাতভর রাখা বা দূষিত রস ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুতে ভরে যায় যা খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। আর এটা আমরা খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বিপদজনক।
  • দাঁতের ক্ষতি করতে পারেঃ খেজুরের রথে অতিরক্ত মিষ্টি তা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। নিয়মিত খাওয়ার পর সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করলে দাঁতের উপর চিনি জমে ক্যাভিটি বা প্লাক তৈরি হয়। ফলে দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ি ব্যথা দেখা দিতে পারে।
  • ওজন বৃদ্ধি ঘটাতে পারেঃ খেজুরের রসে ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক চীনের সমৃদ্ধ হওয়ার যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। অতিরিক্ত পান করলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে।
  • পেটের সমস্যা হতে পারেঃ আমরা অনেকে আছি খেজুরের রস অনেক ঠান্ডা বা রাতভর রাখা রস সকালে খেয়ে ফেলি। কিন্তু এ ধরনের রস আংশিক ভাবে ফারমেন্টেড হয়ে গেলে তার পেটে গ্যাস, ব্যথা বা অস্বস্তি কর কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে এর রস সমস্যা আরো বাড়াতে পারে।

খেজুরের রস কি

খেজুর গাছের কাণ্ডে নির্দিষ্ট ভাবে কাটা অংশ থেকে রাতে ঝরে পড়া প্রাকৃতিক মিষ্টি তরল কে বলা হয় খেজুরের রস। এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এক ধরনের চিনি জাতীয় রস যা মূলত ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ ভরপুর। সাধারণত সিট কালে এর অস সংগ্রহ করা হয় এবং এটি দিয়ে গুড়, পটালি ও মিঠাই তৈরি হয়। খেজুরের রস হলো খেজুরের গাছ থেকে সংগ্রহ করা মিষ্টি রস শীতকালে গ্রাম অঞ্চলে খুব জনপ্রিয়।

খেজুরের রসের পুষ্টিগুণ

খেজুরের রস খেতে যেমন সুস্বাদু ও মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। খেজুরের রসে থাকে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। যা মানবদেহে দ্রুত শক্তি যোগায়। খেজুরের রসে আরো পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন ক্যালসিয়াম, লোহা, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বিওসি। যা মানব দেহে কে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার আছে। যা হজমে সহক হিসেবে কাজ করে। খেজুরের রসে থাকা প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে। তবে নিপাহ ভাইরাসের কারণে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাই রস পানের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

খেজুরের রস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

সব খাবার খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম থাকে। খেজুরের রস খাওয়ারও সঠিক নিয়ম রয়েছে। যদি সঠিকভাবে না খায় তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই খেজুরের রস খাওয়ার সময় সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে খাওয়া উচিত। চলুন নিচে নিয়মগুলো বা সঠিক সময় গুলো জেনে নিন।

  • সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস তাজা রস পান করা সবচেয়ে ভালো।
  • সংরক্ষিত করতে হলে ফ্রিজে রেখে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে।
  • কখনো পচা, টক বা  গন্ধযুক্ত রস খাওয়া উচিত নয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ সীমিত পরিমাণে খেতে পারেন।

কারা খেতে পারবে খেজুরের রস আর কারা খেতে পারবে না

খেজুরের রস একটু প্রাকৃতিক মিষ্টির পানীয়, যা বেশিরভাগ মানুষের জন্য উপকারী হল সবার জন্য সমানভাবে উপযুক্ত নয়। প্রথমে বলব শিশু, কিশোর, গর্ভবতী নারী ও বৃদ্ধরা পরিমিত পরিমাণ খেজুরের রস খেতে পারেন। এতে থাকা প্রাকৃতিক গ্লুকোজ ও মিনারেল শরীরের দ্রুত শক্তি যোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে দুর্বল শরীরে মানুষ বা শীতকালে যাদের শক্তির ঘাটতি থাকে তাদের জন্য এটি প্রাকৃতিক এনার্জীর ড্রিংক হিসাবে কাজ করে। গর্ভবতী নারীরা অল্প পরিমাণ খেলে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ঘাট্টি পূরণ করতে পারে যা মায়ের ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খেজুরের রস খাওয়া একদম নিরাপদ নয় খাওয়া উচিত। যারা ওজন কমাতে ডায়েট আছেন বা যাদের ওজন বেশি তাদের খেজুরের রস খাওয়া উচিত নয়। কারণ খেজুরের রসে ক্যালোরিযুক্ত পানীয়। এছাড়া যাদের হজমের সমস্যা পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুরের রস কখনো কখনো অস্বস্তি তৈরি করতে পারে বিশেষ করে ঠান্ডা বা পচা রস খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া হতে পারে।

সুতরাং খেজুরের রস খাওয়ার আগে নিজে শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি। যাদের কোন শারীরিক জটিলতা নেই তারা প্রতিদিন সকালে তাজা রস খেলে উপকার পাবেন। তবে ডায়াবেটিস, হজমে সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায় সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

খেজুরের রস দিয়ে তৈরি জনপ্রিয় খাবার

খেজুরের রস খেতে যেমন ভালো তেমনি খেজুর রস দিয়ে তৈরি পিঠা পুলি খেতে দারুন মজা। খেজুরের রস দিয়ে বানানো খাবার গুলো খেতে ও অত্যন্ত মজাদার। চলুন খেজুরের রস দিয়ে কি কি মজাদার বা জনপ্রিয় খাবার তৈরি যাই তার নিচে আমরা জানবো।

  • খেজুরের গুড়
  • পাটালি
  • পায়েস
  • খেজুরের রসের দুধ
  • রসগোল্লা ও ছানার মিষ্টি
  • এসব খাবারে প্রাকৃতিক নিশ্চয়তা ও অজ্ঞান থাকে যা কৃত্রিম চিনির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

খেজুরের রস সংরক্ষণ

খেজুরের রস খুব সংবেদনশীল একটি প্রাকৃতিক পানীয়। যা সংগ্রহের কয়েক ঘন্টার মধ্যে নষ্ট হতে শুরু করে। তাই এটি দীর্ঘ সময় পতেজ রাতে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত খেজুরের রস চিতের রাতে সংগ্রহ করা হয় এবং উপরের দিকে চেটে দ্রুত ফুটানো বা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করা উচিত। সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হল তাজা রস ফ্রিজে রাখা। রস সংগ্রহের পরে পরিষ্কার বোতল বা কাঁচের জারে ঢেলে সরাসরি ফ্রিজে রাখলে এটি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।

তবে আরও দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করতে চাইলে রসটিকে চুলায় হালকা জালে ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে রসের জীবাণু নষ্ট হয় এবং সেটি ৪-৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। যারা অনেকদিন ধরে রাখতে চান, তারা রসটিকে বরফের ঘনক আকারে ফ্রিজে ফ্রিজার অংশে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনে সেই বরফ বলে ব্যবহার করা যায় এতে রসের সাদ ও ঘ্রাণ প্রায় অপরিবর্তিত থাকে।

আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম ও স্বাস্থ্যের উপকারিতা

তবে বারবার গলানো ও আবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয় এতে রস টক হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও খেজুরের রস দিয়ে গুড় বা পাটালি তৈরি করে সংরক্ষণ করাও একটি জনপ্রিয় ও প্রাচীন পদ্ধতি। এতে রসের পুষ্টি গুণের একটি বড় অংশ কখনো থাকে এবং সারা বছর জুড়ে ব্যবহার করা যায়।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন রথ কখনো ধুলাবালি, পোকামাকড় বা অসাস্থ্যকর পাত্রের সংস্পর্শে না আসে। পরিছন্নতা বজায় রেখে ফ্রিজে বা ফ্রিজারে রাখলে খেজুরের রস অনেকদিন পর্যন্ত সতেজ ও নিরাপদ থাকে।

FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ প্রতিদিন খেজুরের রস খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিদিন খেজুরের রস খাওয়া যায় কারণ এটি শক্তি ও পুষ্টি যোগায়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ খেজুরের রসে কি রোগ হয়?

উত্তরঃ অপরিষ্কার বা সংরক্ষণবিহীন খেজুরের রস খেলে পেটে ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমন জনিত রোগ হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

প্রশ্নঃ রিও ভাইরাসের লক্ষণ কি কি?

উত্তরঃরিও ভাইরাসের সাধারণত জ্বর, ডায়রিয়া, গলা ব্যথা ও নাক দিয়ে পানি পড়া দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে বমি ও পানি শূন্যতাও হতে পারে।

প্রশ্নঃ খেজুরের রস খেলে কি রক্তচাপ বাড়ে?

উত্তরঃ সাধারণভাবে খেজুরের রস রক্তচাপ বাড়ায় না বরং পটাশিয়াম থাকার কারণে তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে অতিরক্ত পরিমাণ খেলে কিছু মানুষের রক্তচাপ সামান্য বাড়তে পারে।

প্রশ্নঃ খেজুরের রস কখন পাওয়া যায়?

উত্তরঃ খেজুরের রস সাধারণত খেজুরের মৌসুমে বা গ্রীষ্মকালে ও বর্ষা শুরুতে পাওয়া যায়। এটি তাজা খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।

লেখকের  মন্তব্য খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা

খেজুরের রস প্রাকৃতিক এক অন্যান্য উপহার। এটি শুধু শীতের সকালের মিষ্টি করে তোলে না বরং শরীরকে দেয় প্রাকৃতিক শক্তি ও পুষ্টি। তবে মনে রাখতে হবে যে কোন খাবারের মতো খেজুরের রস ও পরিমাপ পরিমাণ খাওয়া উচিত। বেশি বা অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিয়মিত ও সতর্কভাবে খেলে এটি হতে পারে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস আবার অসতর্কতার ভাবে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই খেজুরের রস খাওয়ার সময় অবশ্যই আমরা সতর্কতা অবলম্বন করব।

এই আর্টিকেলে খেজুরের রস খাওয়ার ১০টি উপকারিতা এবং অপকারিতা ও তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বা কি পরিমান খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো আর অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির সেগুলো আলোচনা করেছি। সামনের শীতকাল আছে আমরা খেজুরের রস প্রায় সকলে খেয়ে থাকি। তাই খেজুরের রস খাওয়ার আগে সঠিক নিয়মে খাব এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখবো। এ আর্টিকেল করে আপনার উপকারে আসলে আপনার মতামতি কমেন্ট বক্সে জানান ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url