১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানবো। আমাদের দেশের শীতকালীন সবজি অনেক পাওয়া যায়। শীতকালীন সবজিগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। শীতের প্রতিটি সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকে।
তাই আমাদের সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই শীতকালীন সবজি গুলো প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। শীতকালে কি কি সবজি পাওয়া যায়, এর পুষ্টিগুণ এবং খেলে কি কি উপকারিতা আছে এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে নিচে এখন জেনে নিব।
পেজ সূচিপত্রঃ ১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
- ১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে
- ফুলকপি খাওয়ার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
- বাঁধাকপি খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা গাজর খাওয়ার
- উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ শালগম খাওয়া
- মুলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
- টমেটো পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার উপকারিতা
- পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
- লাল শাক খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- বরবটি বা সিম খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
- ধনেপাতা পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার উপকারিতা
- FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- শেষ কথা ১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে
শীতকাল মানে সবজির সমাহার। বাজারে গেলে বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায় শীতকালে।
এবং এসব সবজিগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। শীতকাল মানে সবুজ এবং
পুষ্টিকর সবজি ভান্ডার। শীতের হালকা কুয়াশা এবং ঠান্ডা সকালে বাজারে তাজা
সবজির উপস্থিতি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। শীতকালের সবজিগুলো খেতে
যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি গুনো ভরপুর।
আমরা যদি সঠিকভাবে শীতকালীন সবজিগুলো খায় তাহলে রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পাবে শরীরের
শক্তি বাড়বে এবং মন থাকে সতেজ। আমাদের শরীরের জন্য শীতকালীন সবজি গুলো ও
তার পুষ্টিগুণ এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধ। শীতকালীন সবজি গুলো খেলে আমাদের শরীরে যে
পুষ্টিগুণগুলো পাবে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। চলুন নিজের জেনে নিন
১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
ফুলকপি খাওয়ার পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
ফুলকপি শীতে অন্যতম জনপ্রিয় সবজি। এটি সাদা ফুলাকৃত মাথা বিশিষ্ট, পাতা দিয়ে ঘেরা। এটা আকারে বড় হয় আবার ছোটও হয়। শীতকালে এর সবজিটা পাওয়া যায়। ফুলকপি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন স্যুপ, তরকারি এবং স্যালাড। ফুলকপি বাংলাদেশের শীতকালীন বাজারের সহজলভ্য। ফুলকপি তে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেমন ভিটামিন সি, কে, ফোলেট, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং প্রোটিন। ফুলকপিতে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আরো পড়ুনঃ
শরীরের জন্য পানির ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা
এবং আমরা সেগুলো যদি সঠিকভাবে রান্না করে বা সালাডে মাধ্যমে খাই তাহলে অনেক উপকারে আসবে। ফুলকপি খেলে চলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হজমের শক্তি উন্নতি করা হয় এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের সহায়ক। কম ক্যালরি থাকার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্টের কারণে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
বাঁধাকপি খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
বাঁধাকপি প্রতি পরিচিত একটি সবজির। যা শীতকালে সহজে পাওয়া যায়। এটা দেখতে
গোলাকার এবং সবুজ পাতা দিয়ে ঘেরা। বাঁধাকপির পাতা ঘন, সবুজ এবং একসাথে
পাতাগুলো বাধা থাকে। এটি স্যুপ বা তরকারি এবং সালাডে ব্যবহার করা হয়।
বাঁধাকপি ও বিভিন্ন রকমের পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন ভিটামিন সি, কে, ক্যালসিয়াম ও
ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাঁধাকপি তে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে
তা যদি আমরা সঠিকভাবে আমাদের শরীরে গ্রহণ করতে পারি তাহলে এর বিভিন্ন উপকার পাব।
যেমন বাঁধাকপি হজমে সহায়ক। বাঁধাকপি খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাট টক্সিন
দূর করে, রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। এর আরও
উপকারিতা রয়েছে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা গাজর খাওয়ার
বাজারে গেলে লাল রং এর এবং লম্বা এক ধরনের সবজি পাওয়া যায় যেটার নাম
হচ্ছে গাজর। গাজোল মূলত নাড়ী জাতীয় সবজি। লম্বা বা ছোট হতে পারে লাল ও কমলা রঙের
এবং ছাদের মিষ্টি। গাজর সবজিটা সব তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। গাজরের
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি রয়েছে যেমন বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, কে,
পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজর বিভিন্ন তরকারি সঙ্গে, কাঁচা সালাদে
এবং রস হিসাবে খাওয়া যায়। গাজর খেলে শরীরের যে উপকারিতা আসবে তা হল চোখের
দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়, ত্বক সুন্দর রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নতি করে
এমং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গাজরের ফাইবার থাকার কারণে হজম ভালো থাকে এবং
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ শালগম খাওয়ার
শালগম এটি একটি পরিচিতি সবজি। যার শীতকালে পাওয়া যায়। তবে মানুষ শালগমটা আগে অত
খেত না। কিন্তু বর্তমানে এখন এর চাহিদা ও বেশি। শালগম আকারে ছোট, গোলাকার।
শালগম গায়ের রং সাদা ও সবুজ রঙের। এটি স্যুপ, তরকারি বা ভাজিতে ব্যবহার করে
খাওয়া যায়। শালগমও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে যেমন ভিটামিন সি, ফাইবার, আ আয়রন,
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এসব পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক
উপকারী। শালগম খেলে আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায়, হাড় মজবুত করে, ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং ঠান্ডা ও কাশি কমাতে সহায়ক।
মুলা খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
মুলা অতি পরিচিত একটি সবজি। বর্তমানে মূলা এখন সব সময় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের
দুই ধরনের মুলা দেখতে পাওয়া যায়। এক সাদা রংয়ের এবং লাল রঙের। মূলা দেখতে
লম্বা এবং গোলাকার। খাদে তীক্ষ্ণ বা মিষ্টি। মূলত রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যেমন
ভিটামিন সি,B6, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মূলা
খাওয়ার অনেক গুণ রয়েছে। এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। মুলা খেলে যে
উপকারগুলো পাওয়া যায় তা হল লিভার পরিষ্কার, হজ ও উন্নতি, ত্বক চুলের স্বাস্থ্য
ভালো এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
টমেটোর পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার উপকারিতা
টমেটো এটি একটি অতি পরিচিত সবজি। বর্তমান বাজারে সব সময় পাওয়া যায়। তবে শীতকালীন বেশি পাওয়া যায়। টমেটো কাঁচাতে সবুজ পাকলে লাল রংয়ের হয়। এটা আকারে ছোট বা মাঝারি। এটা দেখতে গোলাকার। খেতে কিছুটা টক। এটি ফল হলো সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত। টমেটো সব তরকারি সাথে খাওয়া যায়। কাঁচা সালাদ, রস,সস এবং তরকারি করে রান্না করে খাওয়া যায়।
টমেটো তো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ যেমন ভিটামিন সি, এ, লাইকোপিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। টমেটো খেলে আমাদের হাতের যে উপকার হবে তা হল হৃদরোগের প্রতিরোধ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ত্বক ও চুল সুস্থ রাখে আর সেই সাথে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। টমেটো খেলে আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পালং শাক খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
পালং শাক এটা শীতকালীন সবজি। সবজি পাতা শীতকালীন পালং শাক। পালং শাক বিভিন্ন
তরকারি সঙ্গে দিয়ে রান্না করা যায়। পালং শাক
রান্না তরকারি,স্যুপ বা সালাদ করে খাওয়া যায়। পালং শাকে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ
রয়েছে যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে এবং ফাইবার।
পালং শাক খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকার হয়। যেমন রক্তস্বল্পতা
দূর, হাড় ও দাঁত মজবুত, চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই আমাদের সকলের উচিত পালং শাক খাওয়া।
লাল শাক খাওয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
লাল শাক শীতকালীন জনপ্রিয় সবজি। এটি গাঢ় লাল বা লাল সবুজ রংয়ের পাতা
বৈশিষ্ট্য। ছোট, কোমল ও নরম পাতা থাকে এবং ডাল ও গাছের কান্ড ব্যবহারযোগ্য।
সাধারণত শীতকালের অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি তে চাষ করা হয়। গ্রীষ্ম চাষ করা যায় তবে
শীতকালে এই রং স্বাদ ও পুষ্টি সর্বাধিক থাকে। সাধারণত বীজ বপনের ৩০-৪৫ দিনের
মধ্যে পাতা কেটে খাওয়া যায়। লাল শাক অত্যন্ত পুষ্টিকর। পুষ্টিগুণ গুলো হল
আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। লাল শাক খেলে
স্বাস্থ্যের যে উপকার হবে তা হলো রক্ত বৃদ্ধি, ত্বক উজ্জ্বল, লিভার সুস্থ, রোগ
প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
বরবটি বা সিম খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
বরবটি বা সিম এই দুইটি সবজি শীতকালীন। তবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিম পাওয়া যায়।
সিম এবং বরবটি রং সবুজ। বরবটি বা সিম হলো লম্বা, সবুজ ও ডাল যুক্ত শীতকালীন
সবজি। বরবটি মূলত শীতকালে অক্টোবর-ফেব্রুয়ারিতে চাষ করা হয়। তবে কিছু জাত
গ্রীষ্মকালেও চাষযোগ্য। লম্বা বা ছোট গাছ হতে পারে সবুজ ডাল গুলো পাতা ও কান্ড
লম্বা অবস্থায় জন্মায়। লম্বা সিম, ছোট সিম চাইনিজ সিম ইত্যাদি। বরবটি ও সিমের
পুষ্টিগুণগুলো হল প্রোটিন, ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার।
এগুলো খেলে যে পুষ্টিগুণগুলো পাব তা হল পেশি গঠন, শক্তি বৃদ্ধি, হৃদযন্ত্র
সুস্থ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্লান্তি কমায়।
ধনেপাতার পুষ্টিগুণ এবং খাওয়ার উপকারিতা
১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এর মধ্যে হচ্ছে ধনেপাতা ।ধনেপাতা একটি সুগন্ধি এবং স্বাদে অন্যান্য শীতকালীন সবজি। তবে বর্তমানে এখন মানুষ ধনেপাতা চাষ সারা বছর পরে থাকে। তবে শীতকালে এর স্বাদ অন্যান্য। ধনেপাতা বিভিন্ন সবজির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খাওয়া, চাটনি,সস, সালাদ এবং তরকারির পুষ্টি যোগ করে। ধনেপাতা চাল শীতকালে সবচেয়ে ভালো হয়। সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরো পড়ুনঃ
পেটের চর্বি কমানোর ১১টি সহজ উপায়
বীজ বপনের ২০-৩০ দিনের মধ্যে কেটে খাওয়া যায়। পাতাগুলো কোমল ও তাজা থাকলে বেশি
পুষ্টিকর। ধনেপাতা জনপ্রিয় সবজি আর সেই সাথে এর পুষ্টিগুলো ভরপুর।
যেমন ভিটামিন সি, এ, কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ধনেপাতা
খেলে আমাদের যে উপকার হয় তা হলো রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, হজম ও লিভার
সুস্থ রাখে, ত্বক ও চুলের যত্ন সহায়ক, রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ শীতকালীন সবুজ সবজি কি?
উত্তরঃ শীতকালীন সবুজ সবজি হল পাতাশি সবজি যা শীতকালে ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়। যেমন
লাল শাক, পালং শাক, ধনেপাতা, বাঁধাকপি এবং ফুলকপি ইত্যাদি। এগুলো ভিটামিন,
মিনারেল ও ফাইবার সমৃদ্ধ।
প্রশ্নঃ পাঁচটি বারোমাসি সবজির নাম কি কি?
উত্তরঃ ১২ মাসে চাষযোগ্য পাঁচটি সবজি হলো টমেটো, লাউ, কাঁচা মরিচ, করলা
এবং সিম। এগুলো প্রায় সব মৌসুমে চাষ করা যায়।
প্রশ্নঃ গরমে বারোমাস কোন সবজিগুলো পাওয়া যায়?
উত্তরঃ গরমে ১২ মাসে যে সবজি গুলো পাওয়া যায় যেমন টমেটো, ভেন্ডি, মিষ্টি
কুমড়া, পালং শাক, ধনেপাতা, লাল শাক, মুলা পাতা এবং মেথি শাক আর বিভিন্ন
ধরনের কচু। এগুলো প্রায় সারা বছর সহজে চাষ ও বাজারে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ বসন্ত কালে কি কি সবজি হয়?
উত্তরঃ বসন্ত কালে পাওয়া যায় শীতের অবশিষ্ট সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি,
মুলা, গাজর এবং বসন্তকালে নতুন সবজি যেমন শসা, টমেটো, লাউ ও করলা। এ সময়ে হালকা
ও তাজা সবজির স্বাদ ও পুষ্টি বেশি থাকে।
প্রশ্নঃ মূল জাতীয় সবজি কি কি?
উত্তরঃ মূল জাতীয় সবজি হল ভুট্টা, গাজর, শালগম, আলু, মুলা,টার্নিপ এবং
বাঁধাকপি। এসব সবজি সাধারণত মূল বা মূল জাত অংশ থেকে বৃদ্ধি পায় এবং প্রচারিত
খাদ্য তালিকায় ব্যবহৃত হয়।
শেষ কথা ১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা
শীতকালীন যে সবজিগুলো রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। তাই আমাদের
সকলের উচিত খাদ্যের তালিকায় প্রতিদিন এ সবজিগুলো রাখা উচিত। মনে
রাখবেন শীতের সবজি খান সুস্থ থাকুন সারা বছর। বাজারে গেলে শীতকালীন সবজি
গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তাই আমাদের সুস্থ রাখতে হলে বেশি বেশি করে সবজি
খাওয়া ভালো। তাহলে শীতকালীন যে সবজির পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে তা আমাদের দেহে
প্রবেশ করবে। এবং সেই সাথে স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
এই আর্টিকেলে উপরে ১০টি শীতকালীন সবজির নাম ও পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা গুলো নিয়ে
আলোচনা করেছি। তাই আজ থেকে আসুন আমরা সকলে প্রতিদিন খাদ্যের তালিকায় শাকসবজি
একটা করে হলে রাখার চেষ্টা করব। তাহলে সবজি যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তা সহজে আমাদের
দেহে প্রবেশ করবে এবং স্বাস্থ্য কে ভালো রাখবে। আপনার যদি উপকার হয় তাহলে কমেন্ট
বক্সে জানান এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url