শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি ১০টি ব্যবহার
শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার শিক্ষার মান উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া শিক্ষাকে উন্নত করা সম্ভব না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে আমাদের তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার ভালোভাবে শিখতে হবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি চারিপাশে দিয়ে জড়িয়ে গেছে। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সমাজে চলাফেরা করা অনেকটাই কঠিন। আমরা এখন এ আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার। এ ব্যবহারগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্র শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
- শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি
- তথ্য ও প্রযুক্তি কি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিরে গুরুত্ব
- অনলাইন ক্লাস ও দূর শিক্ষণ
- ডিজিটাল রিসোর্স ও ইবুক
- ব্যক্তিগত শিক্ষার উন্নয়ন
- সহযোগিতামূলক শিক্ষণ
- শিক্ষার ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন
- গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ
- দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ
- ভার্চুয়াল ল্যাব ও সিমুলেশন
- শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক
- তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ
- FAQ: শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের মন্তব্য শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি
তথ্য ও প্রযুক্তি কি
তথ্য ও প্রযুক্তি বলতে বোঝায় তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণ, সংস্করণ এবং উৎপাদন ও যোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত সকল উপকরণ। তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কৃত হচ্ছে।বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত উপকরণ গুলোর মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট, মাল্টিমিডিয়া, টেলিভিশন ও রেডিও ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য।
UNESCO কর্তৃক গঠিত Information and Communication on Education for Twenty-Fast Century এর একটি প্রতিবেদনের তথ্যপ্রযুক্তি বা আইসিটিকে এক বিশ শতাব্দীর জন্য আবশ্যকীয় দক্ষতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিসিটির ব্যবহার নিশ্চিত করণ পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশের সরকারি-বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ ও মোবাইল ব্যাংকিং লোন
আমাদের দৈনিন্দন জীবনের এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার দিন দিন
বেড়ে চলেছে তথ্য ও প্রযুক্তির। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার মূলত হার্ডওয়ার
এবং সফটওয়্যার সম্পর্কিত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করাকে
বোঝায়। আমরা যদি তথ্য ও প্রযুক্তির ওপর পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে পারে
তাহলে দেশকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের সমাজের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত
হয়েছে। দিন দিন তথ্য ও প্রযুক্তির যোগাযোগ চাহিদা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে
তথ্য ও প্রযুক্তির মিনিটে মিনিটে ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্বে যে সকল দেশ সবচেয়ে
বেশি উন্নত তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার তত বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশ ধীরে ধীরে
ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে ২১ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান যার অর্থ কৃষি,
খনিজ সম্পদ কিবা শক্তির উৎস নয়, শিল্প কিংবা বাণিজ্য নয় এখন সম্পদ হচ্ছে
সাধারণ মানুষ।
একজন শিক্ষার্থীর যতক্ষণ প্রযুক্তির ব্যবহার ভালোভাবে শিখে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, সংযোজন করে নতুন তথ্য সৃষ্টি করতে পারবেনা।২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ স্থাপন করে নিতে পারবে না যদি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ভালোভাবে শিখতে না পারে।এখন আমরা নিচে শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব বা জানবো
অনলাইন ক্লাস ও দূর শিক্ষণ
বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে। শিক্ষার
ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস এর ব্যবস্থা আছে। কোন কারণবশত যদি
কোন শিক্ষার্থী বাইরে যেতে না পারে বা আর্থিক সমস্যার কারণে পড়তে না
পারে তাহলে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করতে পারে।
অনলাইন ক্লাস ভার্চুয়াল স্কুল এবং বিভিন্ন শিক্ষামূলক অ্যাপের মাধ্যমে
শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে মানুষ সম্মত শিক্ষা লাভ করতে পারে এবং বিশ্বের নামকরা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কাছ থেকেও অনলাইনে ক্লাসের শেখার সুযোগ পায়।
আবার ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মের এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে
বিভিন্ন কোর্স ও ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে যা তাদের যাতায়াতের সময় বাঁচায়
এবং দেশ-বিদেশি শিক্ষকদের কাছ থেকেও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়।
ডিজিটাল রিসোর্স ও ইবুক
তথ্য ও প্রযুক্তির শিক্ষার ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যবহারের নিয়ম হলো ডিজিটাল
রিসোর্স ও ইবুক। ডিজিটাল রিসোর্স বলতে এমন সব শিক্ষা সামগ্রী বোঝা যায়
ইলেকট্রিক মাধ্যমে পাওয়া যায় এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় এগুলো
ইন্টারনেট কম্পিউটার ট্যাব মোবাইল এবং যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইসের
মাধ্যমে। ই-বুক গবেষণা পত্র এবং ডিজিটাল লাইব্রেরির মাধ্যমে
শিক্ষার্থীরা বিশ্বকাপে জ্ঞানের ভাণ্ডারে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ
করতে পারে।
ব্যক্তিগত শিক্ষার উন্নয়ন
অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ব্যক্তিগত শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শিক্ষকের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করে থাকে। মোবাইল এমন একটা প্রযুক্তি যার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ
মোবাইল আর চ্যাটজিপিটি সাহায্যে আয় করার ১০০% গাইড
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করেও শিক্ষা অর্জন করা যায়।মোবাইলের
মাধ্যমে বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহার করেও
শিক্ষার্থীরা নিজস্ব গতিতে শেখার এবং ব্যক্তিগত দক্ষতার বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি
করছে। শিক্ষার্থীরা যত প্রযুক্তির ব্যবহার শিখবে দেশ তত উন্নত দিকে আগাবে।
সহযোগিতামূলক শিক্ষণ
বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম ওটুলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাথে তথ্য
আদান প্রদান করতে পারে এবং দলগতভাবে কাজ করতে পারে যা সহযোগিতামূলক শিক্ষাকে
উৎসাহিত করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে বিভিন্ন
দেশের শিক্ষকের কাজ থেকে মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে
থাকে। পরে গ্রুপ স্টাডি করে একে অপরের অনুভূতি জানিয়ে শিক্ষার উন্নত
বিস্তার ঘটাচ্ছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে যত বেশি তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে
পারবে তত বেশি উন্নত হবে দেশ।
শিক্ষার ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন
শিক্ষার ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখনো অতটা উন্নত হয়নি।
কারণ প্রযুক্তির ব্যবহার এখনো সেভাবে হয়নি বাংলাদেশে।বর্তমানে আমরা অনেক কাজ
অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকে আর সেটা হচ্ছে প্রযুক্তি যেমন অনলাইনে ভর্তির
ফরম, সার্টিফিকেট উঠানো, বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ যা আমরা
প্রযুক্তির মাধ্যমে করে থাকি। শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির
অবদান অনেক।যেমন ভর্তি, ফি সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন এবং ফলাফল প্রকাশের মতো
প্রশাসনিক কাজগুলো তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে সহজে সম্পূর্ণ করা যায়।
গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ
বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার দিন দিন
বাড়ছে। সেই সাথে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে
শিক্ষার্থীরা অনেকটাই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। যে কোন তথ্য এখন
সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার
পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে শিক্ষা অর্জন করার জন্য তথ্য সংগ্রহ
করে। আরে এই তথ্য পাই প্রযুক্তির মাধ্যমে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে
শিক্ষার্থীরা সহজে যেকোনো বিষয়ে তথ্য অনুশোধন করতে পারে এবং বিশ্বের বিভিন্ন
প্রান্তের লাইব্রেরী ও ডেটাবেজ থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারে প্রযুক্তির
মাধ্যমে।
দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ
শিক্ষামূলক অ্যাপ ও অনলাইন কোচের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারে প্রযুক্তির মাধ্যমে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা শুধু বই বা গাইড এর উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে না এখন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স বা ক্লাস করে শিক্ষা অর্জন করে।
ভার্চুয়াল ল্যাব ও সিমুলেশন
বিজ্ঞান ইতিহাস বা জীববিজ্ঞান শিখাতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের
বাস্তব অভিজ্ঞতা দেওয়া সম্ভব। যেমন মানবদেহের অভ্যন্তরিন অঙ্গ দেখানো
ইতিহাস ঘটনা প্রবাহ পুনঃনির্মান ইত্যাদি। কিছু ক্ষেতের প্রযুক্তি ব্যবহার করে
শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ল্যাব বা সিমুলেশন এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম
চালাতে পারে যা বাস্তবে পরিবেশের বিকল্প হিসেবে কাজ করে প্রযুক্তি
ভার্চুয়াল লাভ হল এমন একটি অনলাইন বা সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম যেখানে
শিক্ষার্থীরা বাস্তব লাইব্রেরীতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও কার্যক্রম
অনলাইনে করতে পারে এটা কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমেও পরিচালিত হয়।
বর্তমানে শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন উন্নত হচ্ছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার যত উন্নত হবে দেশ তত উন্নত হবে।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও ফিডব্যাক
শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করার জন্য কোচিং বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
পরীক্ষা নেওয়া হয়। এখন বর্তমানে এসবের পাশাপাশি প্রযুক্তির মাধ্যমেও এর
ব্যবস্থা করা আছে। শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের জন্য বা পড়াশোনায় এডভান্স
হওয়ার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে বা অ্যাপ আছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির
মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনলাইন কুইজ পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন সিস্টেমের মাধ্যমে
শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা যাচাই করা যায় এবং দ্রুত ফিডব্যাক প্রদান করা
সম্ভব হয়।
তথ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ
যখন একটা প্রতিষ্ঠান দেওয়া হয় তখন তার বিভিন্ন কাগজ নোট থাকে এবং শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সব থাকে। আগে মানুষকে এসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হতো কোন ফাইলের মাধ্যমে । আর এখন বর্তমানে রাখছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে। তথ্য সংরক্ষণ হলো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি, নোট, চিত্র, অডিও, ভিডিও, প্রেজেন্টেশান ইত্যাদি ।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম করা ১০ টি সেরা উপায়
ডিজিটাল ফরম্যাটে সঞ্চয় করে রাখা যেন ভবিষ্যতে তা প্রয়োজন অনুযায়ী সহজে
ব্যবহার করা যায় এবং খুঁজে পাওয়া যায়।শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক এর মাধ্যমে শিক্ষা সামগ্রী নিরাপদ ভাবে সংরক্ষণ করা
যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সহজে অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়া যায়।
FAQ: শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ শিক্ষাদানের আইসিটির ব্যবহার?
উত্তরঃ শিক্ষার্থীকে তথ্যের সবচেয়ে কার্যকর উৎস গুলো সনাক্তন এবং নির্বাচন
করার সুযোগ দেন আইসিটি।
প্রশ্নঃ দৈনন্দিন জীবনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে কি কি?
উত্তরঃ দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আইসিটি ব্যবহার অনেক ব্যাপক
ও বিস্তারিত। যেমন যোগাযোগ, তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষা, banking, স্বাস্থ্যসেবা,
কেনাকাটা, বিনোদন, কৃষি, পরিবহন ও কর্মসংস্থান।
প্রশ্নঃ পাঁচটি শিক্ষা প্রযুক্তির নাম কি কি?
উত্তরঃ শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পাঁচটি প্রযুক্তি হল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ,
ইন্টারনেট, স্মার্টফোন বা ট্যাব, মাল্টিমিডিয়া এবং অনলাইন লার্নিং
প্লাটফর্ম।
লেখকের মন্তব্য শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
আধুনিক বিশ্বের শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই তবে শিক্ষার মাধ্যমে কেবল প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয় বরং তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা গুণগতমান উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তির ব্যবহার কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া উচিত যেন প্রযুক্তিগত হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার বিষয়ে।
তাহলে শিক্ষার্থীর তথ্য ও প্রযুক্তির বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করতে
পারবে। প্রযুক্তির ব্যবহার যদি ভালোভাবে না করতে পারে তাহলে দেশের উন্নত
হওয়া সম্ভব নয়। কারণ গোটা বিশ্ব এখন প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত। তাই দেশের
উন্নতির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
আর্টিকেল এর মাধ্যমে ত শিক্ষার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি
বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনাদের পড়ে যদি উপকৃত হয় তাহলে কমেন্ট
বক্সে এসে জানান। তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে নতুন কোন তথ্য পেতে হলে ওয়েবসাইট
ভিজিট করুন। আর আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে পড়ার
জন্য ধন্যবাদ।
সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url