বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার সম্পর্কে জানব।এক সময় ছিল সমাজে নারীদের বাইরে গিয়ে কাজ করা নিষেধ ছিল।অনেকে মনে করেন নারীদের কাজ হচ্ছে ঘর এবং পরিবারের যত্ন নেওয়া।বর্তমানে মানুষের এই চিন্তা ধারণা এখন বদল হয়েছে।
আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মেয়েরাও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে পারবে।আর্টিকেলে আলোচনা করব নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।ব্যবসাকরে নারীরা সহজে নিজেকে স্বাবলম্বন করতে পারবে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।আসুন ব্যবসা গুলো জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
- বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে
- প্রজেক্ট লিখে অনলাইনে ইনকাম করা
- ডে-কেয়ার সার্ভিস ব্যবসা
- লাইফ কিচেন বা হোম বেকারি
- হ্যান্ডমেড সাবান ও স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড
- ইভেন্ট ও গিফট প্যাকেজিং ব্যবসা
- অনলাইন কাপড় ডিজাইন ও রিসেলিং
- থালাপাতা বা ইকো প্রোডাক্ট উৎপাদন
- পানির বোতল তৈরি বা রিফিলিং ব্যবসা
- FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্য বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে
বাংলাদেশে নারীদের অনেক অবহেলিত হতে হয়। এরা যদি বাইরে কাজ করতে যেতে চাইত
তাহলে এদেরকে না আপনার ধরনের বাজে কথা শুনতে হতো। এমন এক সময় ছিল
যখন নারীদেরকে নিয়ে ভাবা হতো এরা শুধু সংসারের দায়িত্ব পালন
করবে। কেউ কেউ মনে করত মেয়েরা সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম, ব্যবসাস সামলাতে পারবেনা।
আর টাকা পয়সা নিয়ে কাজ করা নাকি তাদের জন্য উপযুক্ত নয়। আসলে সে সময় শিক্ষা
কম ছিল, সুযোগ কম ছিল আর সাহস দেখানোর মত পরিবেশ ছিল না। তাই
অনেকে নারীর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারত না।
কিন্তু সময় বদলাচ্ছে সেই সাথে বদলাচ্ছে মানুষের চিন্তাও ভাবনা। বর্তমানে
শিক্ষা, প্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকের নারীরা আগের
তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এখন মানুষ বুঝে গেছে নারী শুধু ঘর সামলানোর
মানুষ নয়। এখন নারীরা পারে ব্যবসা করতে, প্রতিষ্ঠান চালাতে, সন্তান সামলাতে এবং
সমাজে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে। এখনো অনেকে বলে একজন নারী যদি সংসার চালাতে পারে
তবে ব্যবসা অবশ্যই সামলাতে পারবে।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া-ব্যবসার আইডিয়া সেরা ২১টি
বর্তমানে নারীরা ব্যবসার পথে অনেক সহজ হয়েছে। দোকান খুলতে হবে, বাইরে গিয়ে কাজ
করতে হবে এবং অফিস করতে হবে এসবের ঝামেলা বা বাধ্যতামূলক নেই। এখন মেয়েরা
সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন মার্কেটপ্লেস, মোবাইল ব্যাংকিং ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের
কারণে নারীরা ঘরে বসে শাড়ি বিক্রি, কেক বানানো, বিউটি পার্লার, ফ্রিল্যান্সিং,
টেইলারিং, বাচ্চাদের শিখানো, অনলাইন টিউশনি, হোমমেড প্রোডাক্ট বা ডিজিটাল
সার্ভিস। এমন অনেক ধরনের ব্যবসা করে আয় করতে পারছে নারীরা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এখন পরিবার ও সমাজে মেয়েদের উৎসাহিত করছে। কারণ
সবাই বুঝতে পেরেছে একজন নারী উপার্জন শুধু তার নিজের স্বাধীনতা নয় বরং পুরো
পরিবারে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ভবিষ্যতের স্থিতি এবং শিশুদের শিক্ষার জন্য বড়
ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে অনেক ব্যবসা রয়েছে যা নারীরা ঘরে বসেই করতে পারে।
আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করব বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
সম্পর্কে। যে ব্যবসাগুলো করে নারীরা সহজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। চলুন
তাহলে নিচে বিস্তারিত আলোচনা মাধ্যমে জানি।
প্রজেক্ট লিখে অনলাইনে ইনকাম করা
নারীরা ঘরে বসে খুব সহজে এ কাজটি করতে পারবে। বর্তমান সময়ে শিক্ষা, ডিজিটাল দক্ষতা এবং ইন্টারনেটের কারণে একটা নতুন আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যার নাম হচ্ছে প্রজেক্ট লেখা ইনকাম করা। আগে মানুষ এটা খুব কম জানতো কিন্তু এখন অনেক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার এবং হোমমেকার নারী এ কাজ করে ঘরে বসে ভালো আয় করছে। এখন ভাবছেন প্রজেক্ট লেখা মানে কি।প্রজেক্ট লেখা বলতে বোঝায় অন্য কারো পড়াশোনা, গবেষণা, অ্যাসাইনমেন্ট বাবা ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস তৈরি করে দেওয়া।
অনেকে সময় পায়না, অনেকে লেখায় দুর্বল, অনেকের সঠিকভাবে তথ্য সাজাতে পারেনা তাই তারা অন্যের দিয়ে তাদের প্রোজেক্ট বানিয়ে নেই। আর সেখান থেকে উপার্জন সুযোগ তৈরি হয়। এ কাজটি শুধু ছাত্রীদের জন্য নয় বিভিন্ন সেক্টরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেমন ইস্কুল কলেজের অ্যাসাইনমেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট এবং থিসিসি, রিসার্চ পেপার, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান, ব্যবসায়ীকে রিপোর্ট ও প্রপোজাল।যারা লেখা হয়েছে ভালো পারেন বা তথ্য সাজানো দক্ষতা আছে তারা সহজে কাজ করতে পারবে। এখন ভাবছেন এসব কাজ কোথায় পাবো।
এসব কাজ পাওয়ার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে যেমন ফাইবার, upwork, ফ্রিল্যান্সার, লোকাল বিশ্ববিদ্যালয় বা কোচিং সেন্টার, ফেসবুক গ্রুপ ও নিজের পেজ। একবার ভালো কাজ করলে ক্লাইন নিজেরাই আবার যোগাযোগ করবে। আপনি এখন ভাবছেন এসব কাজ করে কত টাকা ইনকাম করব। অনেকে মাসে ২০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছে। তাই অনেক গৃহিণী ও ছাত্র-ছাত্রী এর কাজকে আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এগুলো শেখা খুব কঠিন নয়। একটু চর্চা করলে সফল হওয়া যায়।
ডে কেয়ার সার্ভিস ব্যবসা
নারীরা চাইলে নতুন ব্যবসা হিসাবে ডে কেয়ার সার্ভিস ব্যবসা করতে পারে। এ ব্যবসার ধরন হচ্ছে শিশুদের সাময়িক যত্ন, খেলা, শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করা। বর্তমানে এমনও মানুষ আছে যারা কাজের চাপে তাদের সন্তানদের সময় দিতে পারেনা। তাই অনেকে এরকম প্রতিষ্ঠানও খুঁজছে তাদের সন্তানের জন্য। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা লাগবে। যেমন সেফটি ফোকাসড বা খোলা জায়গা এবং ছোট হাউসি যথেষ্ট।
যেখানে শিশুদের খেলাধুলা এবং ক্লাসের ব্যবস্থা করা যায়। তবে এ ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অনুমোদন থাকা প্রয়োজন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অভিজ্ঞ শিক্ষক বা ক্রিয়েটিভি স্টাফ থাকা দরকার। ওইসব লোকেরা শিশুদের যত্ন এবং সঠিক শিক্ষা দিতে পারবে। এ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সুযোগ-সুবিধা রাখতে হবে বাচ্চাদের জন্য। যেমন খেলা, গান, আঁকা, ছোট ছোট শিক্ষামূলক কার্যক্রম, খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
প্রথমে আপনার এ ব্যবসা শুরু করার জন্য মার্কেটিং করতে হবে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচার, স্থানীয় কমিউনিটি ও ওয়ার্ড প্রচারণা এবং রেফারেন্স। শিশু সংখ্যা, মাসিক ফি এবং অতিরক্ত কার্যক্রম অনুযায়ী পরিবর্তিত। ছোট সেন্টার থেকেও মাসে ২০,০০০-৫০,০০০+ টাকা আয়ের সম্ভব। আপনি যদি কষ্ট এবং পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে করতে পারে তাহলে আপনি ব্যবসায় সফলতা পাবেন। কারণ কথায় আছে পরিশ্রম হচ্ছে সফলতার মূল চাবিকাঠি।
লাইফ কিচেন বা হোম বেকারি
অনেক মেয়ে আছে যার হাতের রান্না অনেক ভালো। আপনার এ প্রতিভাকে কাজে লাগবেও আপনি লাইফ কিচেন বা হোম বেকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে মানুষ অনলাইনে এ হোম বেকারি থেকে খাবার অর্ডার করে। বর্তমানে এ ব্যবসার চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়বে। এ ব্যবসাটা শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে লাগবে স্বল্প পুঁজি আর সাহস। এ ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমে ব্যবসার ধরন ঠিক করতে হবে। তারপরে আপনার গ্রাহক নির্বাচন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় জায়গা নির্বাচন করতে হবে।
জায়গাটা এমন হবে যেখানে মানুষের আসা যাওয়া বেশি থাকে। ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই লাইসেন্স ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যেমন ফুড হ্যান্ডলিং লাইসেন্স বা নোটিশ বোর্ড রেজিস্ট্রেশন। তার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মানা আবশ্যক। এজন্য আপনার খাবার তৈরি করার জন্য লাগতে পারে মিক্সার, ওভেন, বেকিং ট্রে, কাটার, বাটার ফ্লাওয়ার ইত্যাদি। আর বিভিন্ন প্যাকেজিং এর উপকরণ। ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
কাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবে তার উপায়
এজন্য আপনার ব্যবসাকে প্রচারণা করতে হবে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক
ইনস্টাগ্রাম, টিক টক, বন্ধু, পরিবার ও স্থানীয় কমিউনিটি। আর সেই সাথে আপনাকে
রাখতে হবে হোম ডেলিভারির সুবিধা বিশেষ অফার বা কাস্টম অর্ডার। অর্ডার
সংখ্যা, প্রোডাক্ট টাইপ ও সিজনের ওপর নির্ভর করে ছোট হোম বেকারি থেকে মাসে
২০,০০০-৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। আপনি যদি ধৈর্য সহকারে করতে পারেন তাহলে
অবশ্যই একদিন সফলতা পাবেন।
হ্যান্ডমেড সাবান ও স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড
বর্তমানে মানুষ অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। বিশেষ করে করানোর পর থেকে মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়ে গেছে স্বাস্থ্য সচেতনতা দিক দিয়ে। আর বিশেষ করে মেয়েরা ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে হ্যান্ডমেড সাবান, লোশন, বডি স্ক্রাব, ফেসিয়াল কিট বা অন্যান্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট তৈরি ও বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে শুরু করার জন্য আপনাকে গ্রাহক নির্ধারণ করতে হবে। মার্কেট ও বাজার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। তার জন্য আপনি আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারেন। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় জায়গা ও কিছু সারঞ্জম লাগতে পারে। যেমন ছোট ঘর বা হোম কিচেন শুরু করতে পারবেন।
হ্যান্ডমেড সাবান মোল্ড, মিশ্রণ পাত্র এবং প্যাকেজিং উপকরণ। ব্যবসার জন্য আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফুড ও কসমেটিক রেজিস্ট্রেশন লাইসেন্স প্রয়োজন
হতে পারে। প্রোডাক্ট এর ধরন ও প্যাকেজে অনুযায়ী বিভিন্ন ছোট ব্যান্ড থেকেও
মাসে ২০০০০-৬০০০০ টাকাও তার বেশি আয় সম্ভব। আপনার ব্র্যান্ড যদি বড় হয় তাহলে
আয়ের সম্ভাবনাও বেশি হবে। আপনি যদি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপাদান ব্যবহার, ভালো
প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং, কেতার সন্তুষ্ট ও রিভিউ এবং নিয়মিত নতুন প্রোডাক্ট
লঞ্চ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
ইভেন্ট ও গিফট প্যাকেজিং ব্যবসা
বর্তমানে মানুষ এখন অনেকটাই সচেতন। এমনকি কাজের ফাঁকেও পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গিফট দিয়ে থাকে। আবার অনেক অনুষ্ঠানও আছে যেখানে গিফটেরও প্রয়োজন হয়। এসব কাজেরও জন্য মানুষের প্রয়োজন। ইভেন্ট ও গিফট প্যাকেজিং ব্যবসা এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ ব্যবসা ধরন হচ্ছে জন্মদিন, বিবাহ, ক্রিসমাস, কর্পোরেট ইভেন্ট বা যে কোন উৎসবের জন্য কাস্টমাইজ গিফট এবং প্যাকেজিং তৈরি করে বিক্রি করা। এ ব্যবসার লক্ষ্য গ্রাহক হচ্ছে ব্যস্ত পরিবার বা কর্পোরেট ক্লায়ন্ট। ছোট ঘরে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। আর লাগবে র্যাপিং পেপার, বক্স, লেবেল,ক্রাফট উপকরণ, রিবন এবং স্টিকার ইত্যাদি। সাধারণ ব্যবসার লাইসেন্স যথেষ্ট বড় প্রতিষ্ঠান হলে ট্রেনিং লাইসেন্স নেওয়া যেতে পারে।
এ ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করতে হবে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, স্থায়ী মার্কেট, হ্যান্ডমেড ফেয়ার, কাস্টম অর্ডার, এবং রেফারেন্স। আর সবথেকে ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রিভিউ ফটো ও রিভিউ ব্যবহার করে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা কাস্টমারের কাছে। প্যাকেজের ধরন ডিজাইন ও কাস্টমাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন ছোট অর্ডার থেকেও মাসে২০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় হতে পারে। বড় বা কর্পোরেট অর্ডার হলে মাসে ১-২ লক্ষ বা তার বেশি আয় হতে পারে। ক্রিয়েটিভ ডিজাইন ও আকর্ষণীয় প্যাকেজিং, সময় মত ডেলিভারি, ক্রেতা সন্তুষ্ট এবং বিশেষ অফার ও সিজনাল প্যাকেজ এগুলো হচ্ছে ইভেন্ট ও গিফট প্যাকেজিং ব্যবসার সফলতার চাবিকাঠি।
অনলাইন কাপড় ডিজাইন ও রিসেলিং
অনলাইনে নিজের ডিজাইন করা কাপড়, শাড়ি, লেবেল বা প্রিন্টেড পোশাক অনলাইনে বিক্রি
করাও যায়। সরাসরি উৎপাদক থেকে কেন অনলাইনে রিসেলিং করা যায়। এ ব্যবসার জন্য
লক্ষ্য গ্রাহক হবে যুবক-যুবতী বা বিয়ের উপহার এবং বিশেষ অনুষ্ঠানের থাকা ক্রেতা।
বা যারা অনলাইনে ফ্যাশান পছন্দ কারীরা। এ ব্যবসার জন্য লাগতে পারে ফেব্রিক,
সেলাইয়ের যন্ত্র, ডিজাইন সফটওয়্যার এবং ভালো ফটো তোলার ক্যামেরা বা মোবাইল। এ
ব্যবসার জন্য সাধারণ ট্রেন্ডিং লাইসেন্স যথেষ্ট। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে
তথ্য কালেক্ট করতে হবে। ডিজাইন, ক্রেতার সংখ্যা ও রিসেল মার্জিন অনুযায়ী বিভিন্ন
ছোট স্কেল থেকে শুরু করে ও মাসে বিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা সম্ভব।
থালাপাতা বা ইকো প্রোডাক্ট উৎপাদন
থালাপাতা বা ইকো প্রোডাক্ট উৎপাদন ব্যবসা করে নারীরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
পরিবেশবান্ধব থালা, কাঁঠালের পাতার থালা, বায়োডিগ্রেডেবল প্লেট ও কাপ তৈরি।
এছাড়াও ইকো ফ্রেন্ডলি পণ্য যা পিকনিক, পার্টি বা ইভেন্টের ব্যবহার করা যায়। এ
ব্যবসার জন্য গ্রাহক হচ্ছে পরিবেশ সচেতন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, পার্টি হোল্ডার,
রেস্টুরেন্ট, হোটেল, স্কুল কলেজ ও কর্পোরেট ইভেন্ট। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য
মাঝারি বা ছোট ওয়ার্কশপ বা ঘর। আর সেই সাথে লাগবে প্রেস মেশিন, শুকানোর
ব্যবস্থা, কাটার এবং মোল্ড ইত্যাদি আর সুরক্ষিত স্টোরেজ। ব্যবস্থার লাইসেন্স
ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অনুরোধ থাকা প্রয়োজন। যদি খাদ্যের সাথে সরাসরি সংযোগ
থাকে। উদ্বোধনের ক্ষমতা ও বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ছোট উৎপাদন থেকেও মাসে ২০
হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।
পানির বোতল তৈরি বা রিফিলিং ব্যবসা
বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার মধ্যে হচ্ছে পানের বোতল তৈরি বা রিফিলিং ব্যবসা। এই ব্যবসা ধরন হচ্ছে বোতলজাত পানি উৎপাদন,পুনঃ ভর্তি রিফিলিং, এবং ছোট ছোট বোতল বাজার বিক্রি। গ্রাহক হবে ঘরোয়া ব্যবহারকারী, অফিস, স্কুল, কলেজ, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।ইভেন বা আউটডোরে কার্যক্রম পানি সরবরাহ করে।ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন, বোতল ও লেবেলিং মেশিন, প্যাকেজিং ও স্টোরেজদের জন্য পরিষ্কার স্থান।
আরো পড়ুনঃ
গৃহিনীদের জন্য ঘরে বসে টাকা আয়ের ১০টি উপায়
আর ব্যবসার জন্য লাগবে ট্রেড লাইসেন্স।এগুলো বিক্রি করার জন্য স্থানীয় দোকান,
রেস্টুরেন্ট স্কুলও অফিসে সরাসরি বিক্রি। এর সাথে থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া ও হোম
ডেলিভারি সুবিধা। বোতল এবং রিফল প্রতি ইভেন্টের দাম অনুযায়ী ছোট স্কেল থেকে মাসে
২০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব।সৎ এবং পরিশ্রম ও ধৈর্য
সহকারে করতে পারলে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব।
FAQ: প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ মেয়েদের জন্য কোন কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে?
উত্তরঃ মেয়েদের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা রয়েছে। যেগুলো করে মেয়েরাও সফল ব্যবসায়ী
হতে পারে। যেমন অনলাইনে ফুল বিক্রি, গাছ বিক্রি, হোম টিউশনে, হস্তশিল্প
বিক্রি, ফ্রিল্যান্সিং এবং হেলদি ফুড।
প্রশ্নঃ অল্প পুঁজিতে কোন কোন অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায়?
উত্তরঃ অল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসায় হিসেবে শুরু করা যায় ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি
ও বিক্রি, মোবাইলে ছোট গ্রাফিক্স ডিজাইন, ই-বুক বা নোটিশ বিক্রি, ভয়েস ওভার
সার্ভিসিং বা হোম হেলদি স্ন্যাকস। এসব কাজের জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না শুধু
কম্পিউটার বা মোবাইল ও ইন্টারনেট থাকলে কাজ শুরু করা যায়।
প্রশ্নঃ মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় কি কি?
উত্তরঃ মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে লাগে শিক্ষা ও কাজের যোগ্যতা। আর সব থেকে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। যদি নিজের ভিতরে আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে
অবশ্যই সব কাজে মেয়েরা সহজে স্বাবলম্বন হতে পারবে।
লেখকের মন্তব্য বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে মেয়েরা এখন ঘরে বা বাইরে দু জায়গায় কাজ করছে। ঘর সামলানোর পাশাপাশি
চাকরি বা ব্যবসা করছে। এমন এক সময় ছিল মানুষ ভাবতো মেয়েরা কি ব্যবসা করতে
পারবে এটা তো শুধু পুরুষদের কাজ। কিন্তু এখন সময় বদলাচ্ছে আর সেই সাথে
নারীরাও উদ্যোক্তা হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এখনো অনেক মেয়ে আছে
যারা ভাবছে ব্যবসা করব কিন্তু সঠিক ব্যবসার ধারণা পাচ্ছে না। আলোচনা করেছে
নতুন ৮টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে। এ ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটা বেছে নিয়ে
আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারবেন।
কে আর্টিকেলে আলোচনা করেছে বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন ৮টি ব্যবসার আইডিয়া
সম্পর্কে। আপনি যদি ব্যবসা করতে চান বা নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী বানাতে চান
তাহলে আপনি এর ব্যবসা গুলো করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন সফলতা কিন্তু একদিন আসেন।
তাই আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। আর্টিকেল পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে
আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন এবং আপনার মতামত কমন বক্সে জানান
ধন্যবাদ।

সামিজা৪২ কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url